সৌম্য দাশগুপ্ত
যেদিন সুবিমল মিশ্র চলে গেলেন সেদিনও আটটা দশের বনগাঁ লোকাল পাক্কা কুড়ি মিনিট লেট, লাইনের পাশে চটের বস্তাগুলো শুকোচ্ছিল একই রকম, শুধু শেয়ালদায় জেরক্স গলিতে একটা ছোকড়া অসতর্কতায় গেলাস ভেঙে ফেলে মালিকের বেধড়ক মার খেল।
ঝাঁঝাঁ রোদে এম জি রোড ধরে একই রকম তেড়ে এসেছিল এল-দুশো আটত্রিশ কিন্তু সেন্ট্রাল আভিনিউয়ের মোড়ের হুমদো সার্জেন্টটার সামনে তার কম্যান্ডো ট্রেনিংপ্রাপ্ত কন্ডাকটারের সব জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। ফোরম্যান লেট থাকায় বিবিদি বাগ মেট্রোর এই শিফটের কাজ সময়মত শুরু করা যায়নি। চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে পিজিতে নিয়ে যেতে হয় তড়িঘড়ি আর বেলা পড়ে এলে যাদবপুরের ছেলেমেয়েরা সেদিন একটা মিছিল বের করেছিল অবিলম্বে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ইলেকশনের দাবিতে। তাদের সাথে চে-গেভারার ছবি আর কাগজের তৈরি মশাল ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন রাজভবনে, আর রেডক্রস প্লেসের ধারে তটস্ত পুলিশ মোড়ের বাদামওয়ালাটাকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছিল। অনেক মনকষাকষির পর ময়দানে একজোড়া ছেলেমেয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পরশু নয় বরং আজই তারা বইমেলায় যাবে, আর গোয়ালিয়র ঘাটে একটা লাশ ভেসে এসেছিল- চোখদুটো কিসে যেন খুবলে খেয়েছে!
রোজকার মতো সেদিনও সন্ধ্যা নামতেই মায়ের কাশি শুরু হলো আর ধান্দায় শেফালির মন ছিল না মোটেই, তবুও কিছুটা দোনোমোনো করে শেষপর্যন্ত সে বেরিয়ে পড়ল।
যেদিন সুবিমল মিশ্র চলে গেলেন সেদিন রাতেও আকাশে চাঁদ উঠল উজ্জ্বল হয়ে, আর সবার অলক্ষ্যে একটা তারা ঝরে গেল। হাতেগোনা যে কজন পাঠক তার ছিল তাদেরই এক ছোকড়া ঠিক করে তাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখবে, কিন্তু শবযাত্রায় কজন লোক হয়েছিল ঠিক ঠিক জানা না থাকাতে শেষপর্যন্ত সে শুরু করতে পারেনি।
সৌম্য দাশগুপ্ত
বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০২৩
যেদিন সুবিমল মিশ্র চলে গেলেন সেদিনও আটটা দশের বনগাঁ লোকাল পাক্কা কুড়ি মিনিট লেট, লাইনের পাশে চটের বস্তাগুলো শুকোচ্ছিল একই রকম, শুধু শেয়ালদায় জেরক্স গলিতে একটা ছোকড়া অসতর্কতায় গেলাস ভেঙে ফেলে মালিকের বেধড়ক মার খেল।
ঝাঁঝাঁ রোদে এম জি রোড ধরে একই রকম তেড়ে এসেছিল এল-দুশো আটত্রিশ কিন্তু সেন্ট্রাল আভিনিউয়ের মোড়ের হুমদো সার্জেন্টটার সামনে তার কম্যান্ডো ট্রেনিংপ্রাপ্ত কন্ডাকটারের সব জারিজুরি শেষ হয়ে যায়। ফোরম্যান লেট থাকায় বিবিদি বাগ মেট্রোর এই শিফটের কাজ সময়মত শুরু করা যায়নি। চাকরি প্রার্থীদের অনশন মঞ্চে একটা মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে পিজিতে নিয়ে যেতে হয় তড়িঘড়ি আর বেলা পড়ে এলে যাদবপুরের ছেলেমেয়েরা সেদিন একটা মিছিল বের করেছিল অবিলম্বে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ইলেকশনের দাবিতে। তাদের সাথে চে-গেভারার ছবি আর কাগজের তৈরি মশাল ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী সেদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে পায়ের ধুলো দিয়েছিলেন রাজভবনে, আর রেডক্রস প্লেসের ধারে তটস্ত পুলিশ মোড়ের বাদামওয়ালাটাকে আগাম সতর্ক করে দিয়েছিল। অনেক মনকষাকষির পর ময়দানে একজোড়া ছেলেমেয়ে সিদ্ধান্ত নেয় পরশু নয় বরং আজই তারা বইমেলায় যাবে, আর গোয়ালিয়র ঘাটে একটা লাশ ভেসে এসেছিল- চোখদুটো কিসে যেন খুবলে খেয়েছে!
রোজকার মতো সেদিনও সন্ধ্যা নামতেই মায়ের কাশি শুরু হলো আর ধান্দায় শেফালির মন ছিল না মোটেই, তবুও কিছুটা দোনোমোনো করে শেষপর্যন্ত সে বেরিয়ে পড়ল।
যেদিন সুবিমল মিশ্র চলে গেলেন সেদিন রাতেও আকাশে চাঁদ উঠল উজ্জ্বল হয়ে, আর সবার অলক্ষ্যে একটা তারা ঝরে গেল। হাতেগোনা যে কজন পাঠক তার ছিল তাদেরই এক ছোকড়া ঠিক করে তাকে নিয়ে একটা কবিতা লিখবে, কিন্তু শবযাত্রায় কজন লোক হয়েছিল ঠিক ঠিক জানা না থাকাতে শেষপর্যন্ত সে শুরু করতে পারেনি।