অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষা আর প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর উদ্বোধনের পরপরই পদ্মা সেতুতে ঢল নামে হাজারো মানুষের। সকল বাধা উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে স্বপ্নের এই সেতুতে উঠে পড়েন তারা। পদ্মা সেতুতে উঠে সবাই নিজেকে মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করছেন।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পদ্মা সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর শরীয়তপুরের জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়। এর আগে পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সব আনুষ্ঠানিকতার পর দুপুর ১টার দিকেই সেখানে অপেক্ষারত সাধারণ মানুষ সেতুর ওপর ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে আইনশৃখলা বাহিনী সেতুর দুই প্রান্তে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিল। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়েন অনেকে।
এর কিছুক্ষণ পরই সেতুতে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। আধা ঘণ্টা পর সেতুতে প্রবেশ করা মানুষকে নামিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর ৩টার দিকে পুরো সেতু খালি হয়ে যায়। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর বাউন্ডারি টপকে পার হচ্ছেন শত শত মানুষ। কারও ঘাড়ে ব্যাগ, কারও হাতে মোবাইল। সবাই পদ্মা সেতুতে উঠতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাউন্ডারি টপকে পায়ে হেঁটেই তারা সেতুতে উঠে পড়েন। পদ্মা সেতুতে উঠে সবাই মোবাইল ফোনে সেতু ক্যামেরাবন্দি করে এবং সেলফি তোলেন।
সেতুতে প্রবেশ করা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছেন তারা। এজন্য পদ্মা সেতুতে উঠে সেলফি তুলেছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
অবশেষে দীর্ঘ অপেক্ষা আর প্রতীক্ষার অবসান ঘটলো। দীর্ঘ ২৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর উদ্বোধনের পরপরই পদ্মা সেতুতে ঢল নামে হাজারো মানুষের। সকল বাধা উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে স্বপ্নের এই সেতুতে উঠে পড়েন তারা। পদ্মা সেতুতে উঠে সবাই নিজেকে মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করছেন।
শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় যোগাযোগ প্রকল্প পদ্মা সেতুর নামফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে পদ্মা সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর শরীয়তপুরের জাজিরার অভিমুখে রওনা হয়। এর আগে পদ্মা সেতুর নির্ধারিত টোল পরিশোধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সব আনুষ্ঠানিকতার পর দুপুর ১টার দিকেই সেখানে অপেক্ষারত সাধারণ মানুষ সেতুর ওপর ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে আইনশৃখলা বাহিনী সেতুর দুই প্রান্তে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছিল। কিন্তু সেসব উপেক্ষা করেই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়েন অনেকে।
এর কিছুক্ষণ পরই সেতুতে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। আধা ঘণ্টা পর সেতুতে প্রবেশ করা মানুষকে নামিয়ে দেওয়া হয়। দুপুর ৩টার দিকে পুরো সেতু খালি হয়ে যায়। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর বাউন্ডারি টপকে পার হচ্ছেন শত শত মানুষ। কারও ঘাড়ে ব্যাগ, কারও হাতে মোবাইল। সবাই পদ্মা সেতুতে উঠতে প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বাউন্ডারি টপকে পায়ে হেঁটেই তারা সেতুতে উঠে পড়েন। পদ্মা সেতুতে উঠে সবাই মোবাইল ফোনে সেতু ক্যামেরাবন্দি করে এবং সেলফি তোলেন।
সেতুতে প্রবেশ করা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসেছেন তারা। এজন্য পদ্মা সেতুতে উঠে সেলফি তুলেছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ৪ জুলাই পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্মাণকাজ শুরু হয়। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এ সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে।
পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৪২টি পিলার ও ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যানের মাধ্যমে মূল অবকাঠামো তৈরি করা হয়। সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার স্বপ্নের কাঠামো নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।