রাজশাহীর তানোরে প্রচণ্ড রোদ ও খরতাপের মধ্যেই বিল কুমারী বিলের জমিতে রোপণ করা বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও খরতাপের কারণে এবছর একটু আগেই ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, প্রচন্ড রোদে এবছর একটু আগেই ধান পেকে গেছে। রোদ ও খরতাপ উপেক্ষা করেই ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। কাল বৈশাখীর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে পাকা ধান জমিতে রাখতে চাননা কৃষকরা।
সরেজমিনে তানোর বিল কুমারী বিলের ধানরে গুবির পাড়া, আমশো, জিওল, বুরুজ, তালন্দ, কামারগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আগাম রোপণ করা এইসব এলাকার জমির ৮০ ভাগ ধানই পেকে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ওইসব এলাকার জমির ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর ১২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এরমধ্যে ১২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষা করা হয়েছে। এসব জমিতে প্রতি বিঘায় কেজির ওজনে ২১ মণ ধানের উৎপাদন ধরা হয়। সেই হিসেব মতে উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান। অন্যবারের চেয়ে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। তবে এবার শ্রমিকের তেমন সংকট নেই। আরও ১৫ দিন এরকম আবহাওয়া অনুকলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, পুরো উপজেলার বেশিরভাগ জমিতে বোরো ধানে পাক ধরেছে। আবার কেউ কেউ ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছে। এবারে বোরো ধানের ফলন ভাল হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহ মেঘ-বৃষ্টি না হলেই আমরা বেশি খুশি। তাহলে আমরা জমির ধান কেটে ভালভাবে ঘরে তুলতে পারব।
কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের প্রায় ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। এরমধ্যে ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ২ বিঘা জমির ধান মাড়াই করে ৬৫ মণ পাওয়া গেছে। উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। আর আলুর জমিতে রোপিত ধান কাটতে কিছুদিন সময় লাগবে। এ অবস্থায় আর মাত্র দুই সপ্তাহ আবহাওয়া ভালো থাকে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, উপজেলার সব জায়গায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে, এবারে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট নেই। বৈরি আবহাওয়া থাকলেও কৃষক-শ্রমিকের কাছে প্রভাব নেই। এজন্য এ বছরও ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে ভালোভাবে তাদের ধান ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য আমাদের অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আর এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা ।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
রাজশাহীর তানোরে প্রচণ্ড রোদ ও খরতাপের মধ্যেই বিল কুমারী বিলের জমিতে রোপণ করা বোরো ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড রোদ ও খরতাপের কারণে এবছর একটু আগেই ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
কৃষকরা বলছেন, প্রচন্ড রোদে এবছর একটু আগেই ধান পেকে গেছে। রোদ ও খরতাপ উপেক্ষা করেই ধান ঘরে তুলতে শুরু করেছেন কৃষকরা। কাল বৈশাখীর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা চিন্তা করে পাকা ধান জমিতে রাখতে চাননা কৃষকরা।
সরেজমিনে তানোর বিল কুমারী বিলের ধানরে গুবির পাড়া, আমশো, জিওল, বুরুজ, তালন্দ, কামারগাঁসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আগাম রোপণ করা এইসব এলাকার জমির ৮০ ভাগ ধানই পেকে গেছে। গত কয়েকদিন ধরে ওইসব এলাকার জমির ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা।
উপজেলার কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবছর ১২ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। এরমধ্যে ১২ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষা করা হয়েছে। এসব জমিতে প্রতি বিঘায় কেজির ওজনে ২১ মণ ধানের উৎপাদন ধরা হয়। সেই হিসেব মতে উৎপাদন ধরা হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন ধান। অন্যবারের চেয়ে এবার বোরো ধানের ফলন ভালো হচ্ছে। তবে এবার শ্রমিকের তেমন সংকট নেই। আরও ১৫ দিন এরকম আবহাওয়া অনুকলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, পুরো উপজেলার বেশিরভাগ জমিতে বোরো ধানে পাক ধরেছে। আবার কেউ কেউ ধান কাটা মাড়াই শুরু করেছে। এবারে বোরো ধানের ফলন ভাল হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহ মেঘ-বৃষ্টি না হলেই আমরা বেশি খুশি। তাহলে আমরা জমির ধান কেটে ভালভাবে ঘরে তুলতে পারব।
কৃষক লিয়াকত আলী বলেন, আমাদের প্রায় ২০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। এরমধ্যে ১৫ বিঘা জমির ধান কাটা শুরু হয়েছে। এরমধ্যে ২ বিঘা জমির ধান মাড়াই করে ৬৫ মণ পাওয়া গেছে। উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ লাভ হয়েছে। আর আলুর জমিতে রোপিত ধান কাটতে কিছুদিন সময় লাগবে। এ অবস্থায় আর মাত্র দুই সপ্তাহ আবহাওয়া ভালো থাকে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, উপজেলার সব জায়গায় পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে, এবারে ধান কাটা শ্রমিকের সংকট নেই। বৈরি আবহাওয়া থাকলেও কৃষক-শ্রমিকের কাছে প্রভাব নেই। এজন্য এ বছরও ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন তিনি।
তিনি বলেন, কৃষকরা যাতে ভালোভাবে তাদের ধান ঘরে তুলতে পারে, সেজন্য আমাদের অফিস থেকে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। আর এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা ।