ফরিদপুরের সালথায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি পানের পর বিষ আতঙ্কে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অসুস্থদের মধ্যে ১০ শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুরের দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি পানে নয়Ñ গরমে ও মনের ভয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
পানি পানে অসুস্থ রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুকলা রানী জানান, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি। এ সময় গুইসাপ মরা ছিল বারান্দায়। তারপর আবার বাথরুম করে রেখেছিল যেন কে। এ সবের গন্ধে আমি কয়েকবার বমি করি। তখন এক ছাত্র এসে বলে ম্যাডাম টিউবয়েলের পানিতে বিষ আছে। এই আতঙ্কে পানি পান করা শিক্ষার্থীরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, আমিসহ অসুস্থ সবাইকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এখন সবাই সুস্থ আছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে স্কুলে এসে অসুস্থ সবাইকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সবাই সুস্থ আছে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন দুপুরে জানান, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।
ফরিদপুরের সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান জানান, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডা. এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষাথীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পায়নি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরেও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখবে। একই সঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
ফরিদপুরের সালথায় তীব্র তাপদাহের মধ্যে টিউবওয়েলের পানি পানের পর বিষ আতঙ্কে ৩ শিক্ষক ও ১০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
অসুস্থদের মধ্যে ১০ শিক্ষার্থীসহ তিন শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুরের দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সালথা থানার ওসি ঘটনাস্থল পরিবদর্শন করেন।
তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, পানি পানে নয়Ñ গরমে ও মনের ভয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে রানিতা নামে এক শিশুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অসুস্থদের মধ্যে শিক্ষক সুকলা রানী শীল, রেবেকা বেগম, রবিউল ইসলাম, শিক্ষার্থী সাদিহা, নাহিদ ও তৌকিয়ার নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
পানি পানে অসুস্থ রামকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুকলা রানী জানান, রোজার ঈদের পর থেকে স্কুল বন্ধ ছিল। প্রধান শিক্ষকও মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। দীর্ঘদিন পর রোববার স্কুল খোলা হয়। সকালে স্কুলে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম ও মাঠে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করি। এ সময় গুইসাপ মরা ছিল বারান্দায়। তারপর আবার বাথরুম করে রেখেছিল যেন কে। এ সবের গন্ধে আমি কয়েকবার বমি করি। তখন এক ছাত্র এসে বলে ম্যাডাম টিউবয়েলের পানিতে বিষ আছে। এই আতঙ্কে পানি পান করা শিক্ষার্থীরা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তিনি আরও জানান, আমিসহ অসুস্থ সবাইকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এখন সবাই সুস্থ আছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামাল বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে স্কুলে এসে অসুস্থ সবাইকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়। সবাই সুস্থ আছে।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মমিন দুপুরে জানান, টিউবওয়েলের পানিতে কোনো ধরনের বিষক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অসুস্থদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত।
ফরিদপুরের সালথা থানার ওসি ফায়েজুর রহমান জানান, আমরা প্রথমে খবর পেয়েছিলাম টিউবওয়েলের পানি খেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে এসে ডা. এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তিনি জানিয়েছেন টিউবওয়েলের পানিতে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ পাননি।
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী জানান, রোববার স্কুল খোলার পর শিক্ষক-শিক্ষাথীরা সকালে স্কুলে এসে টিউবওয়েলের পানি খেয়ে অসুস্থ পড়লে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখন সবাই মোটামুটি সুস্থ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন, তারা বিষক্রিয়ার কোনো আলামত পায়নি। গরমের কারণেও এ ঘটনা ঘটতে পারে। তারপরেও টিউবওয়েলের পানি আমরা পরীক্ষা করে দেখবে। একই সঙ্গে আগামীকাল থেকেই ছাত্রছাত্রীরা যাতে নিরাপদ পানি খেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে।