চাটখিল উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। মদ-জুয়ার আসর, মাদক বিক্রয় কেন্দ্র, চুরি-চামারি, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও পুলিশের সোর্স কর্তৃক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
পুলিশ দায়সারা দায়িত্ব পালন করায় এসব অপরাধ ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বক্তব্যে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।
সভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নে মাদক বিক্রি-সেবন, চুরি-চামারী, মোটরসাইকেল চুরি, ইভটিজিং ও অবৈধভাবে মাটি বিক্রি এবং ভেকু ব্যবহারে রাস্তার ক্ষয়-ক্ষতি, বিভিন্ন বাজারে ফুটপাত দখল করে সড়কে যানজন সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধের কথা তুলে ধরেছেন। পুলিশ আন্তরিক নয় বিধায় এসব অপরাধ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশ চেয়ারম্যানদের গুরুত্ব না দিয়ে তাদের সোর্স ও দালালদের গুরুত্ব দিচ্ছে বলে চেয়ারম্যানরা সবাই অভিযোগ করেন।
চেয়ারম্যানরা আরও বলেন, পুলিশ অপরাধী চক্রের হোতাদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়। কিশোর গ্যাংদের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক বড় ভাইদের হাত। যে কারণে কিশোর গ্যাং কাউকে তোয়াক্কা না করে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
সভায় চাটখিল প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যানদের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে বলেন, অনেক সময় অপরাধীদের আটক করার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে সাংবাদিকরা জানার পর পুলিশ আটককৃতের পরিবারের সঙ্গে লবিং শেষ করার আগে কোনো তথ্য দেয় না।
এ সময় তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশ আন্তরিক না হলে কখনো অপরাধ দমন করা যাবে না। সভায় ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার উপস্থিত থাকলেও পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বক্তব্যে বলেন, চাটখিলে যোগদানের পর আইনশৃঙ্খলা কমিটির এটি প্রথম সভা। তিনি সভায় উত্থাপিত সব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দেন।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
চাটখিল উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। মদ-জুয়ার আসর, মাদক বিক্রয় কেন্দ্র, চুরি-চামারি, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও পুলিশের সোর্স কর্তৃক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
পুলিশ দায়সারা দায়িত্ব পালন করায় এসব অপরাধ ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে চলছে। গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের বক্তব্যে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।
সভায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যানরা তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নে মাদক বিক্রি-সেবন, চুরি-চামারী, মোটরসাইকেল চুরি, ইভটিজিং ও অবৈধভাবে মাটি বিক্রি এবং ভেকু ব্যবহারে রাস্তার ক্ষয়-ক্ষতি, বিভিন্ন বাজারে ফুটপাত দখল করে সড়কে যানজন সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অপরাধের কথা তুলে ধরেছেন। পুলিশ আন্তরিক নয় বিধায় এসব অপরাধ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুলিশ চেয়ারম্যানদের গুরুত্ব না দিয়ে তাদের সোর্স ও দালালদের গুরুত্ব দিচ্ছে বলে চেয়ারম্যানরা সবাই অভিযোগ করেন।
চেয়ারম্যানরা আরও বলেন, পুলিশ অপরাধী চক্রের হোতাদের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়। কিশোর গ্যাংদের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক বড় ভাইদের হাত। যে কারণে কিশোর গ্যাং কাউকে তোয়াক্কা না করে অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে।
সভায় চাটখিল প্রেস ক্লাবের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক মো. হাবিবুর রহমান চেয়ারম্যানদের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়ে বলেন, অনেক সময় অপরাধীদের আটক করার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে সাংবাদিকরা জানার পর পুলিশ আটককৃতের পরিবারের সঙ্গে লবিং শেষ করার আগে কোনো তথ্য দেয় না।
এ সময় তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশ আন্তরিক না হলে কখনো অপরাধ দমন করা যাবে না। সভায় ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার উপস্থিত থাকলেও পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তার বক্তব্যে বলেন, চাটখিলে যোগদানের পর আইনশৃঙ্খলা কমিটির এটি প্রথম সভা। তিনি সভায় উত্থাপিত সব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের আশ্বাস দেন।