১৯৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মন্থরতা নিরসনে উচ্চতর আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারকপতি নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে স্মারকপত্র দিয়েছেন ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে স্মারকপত্র প্রদান করেন। প্রতিনিধিরা আগামী ৩ মে (২০২৪) নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করার আমন্ত্রণ জানান। গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্মুল কমিটির প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন।
রাষ্ট্রপতিকে প্রদত্ত স্মারকপত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের গুরুত্ব এবং বর্তমান অচলাবস্থা উল্লেখ করে বলা হয়- ‘ আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি- ২০১৫ সালে বিচারপতি এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের চলমান বিচারের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মন্থরতা ও জটিলতা দেখা দিয়েছে। তিনি প্রথমেই দুটি ট্রাইব্যুনালের ভেতর একটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং বিচারিক কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। নির্মূল কমিটি এবং সমমনা অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের প্রবল বাধার কারণে বর্তমান ভবন থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়া সম্ভব না হলেও এই সব মামলার আপিল শুনানি তিনি বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে যে গতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল সেখানে শুধু ভাটাই পড়েনিÑ একরকম স্থবির হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আপনজনদের হত্যার বিচার না পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের সদস্যরা সময়ের দীর্ঘ ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করছেন, অন্যদিকে গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীরাও শাস্তি না পেয়েই মারা যাচ্ছেন, যা আইনের শাসনের শুধু পরিপন্থী নয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ও মর্যাদার প্রতিও আঘাতস্বরূপ।
’৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মন্থরতা নিরসনের প্রয়োজনে উচ্চতর আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানানো হয় স্মারকপত্রে।
রাষ্ট্রপতি জানান, উচ্চতর আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সম্পর্কে ২০০৯ সালে গঠিত ‘সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনে’র প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত ভাষ্য নির্মূল কমিটি প্রকাশ করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি তাঁর সম্মতি জানান।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, আরমা দত্ত এমপি, কাজী মুকুল ও শহীদসন্তান আসিফ মুনীর।
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৯৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিচারের মন্থরতা নিরসনে উচ্চতর আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারকপতি নিয়োগ এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে স্মারকপত্র দিয়েছেন ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’র ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে স্মারকপত্র প্রদান করেন। প্রতিনিধিরা আগামী ৩ মে (২০২৪) নির্মূল কমিটির ৮ম জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করার আমন্ত্রণ জানান। গতকাল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্মুল কমিটির প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন।
রাষ্ট্রপতিকে প্রদত্ত স্মারকপত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের গুরুত্ব এবং বর্তমান অচলাবস্থা উল্লেখ করে বলা হয়- ‘ আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি- ২০১৫ সালে বিচারপতি এস কে সিনহা প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের চলমান বিচারের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক মন্থরতা ও জটিলতা দেখা দিয়েছে। তিনি প্রথমেই দুটি ট্রাইব্যুনালের ভেতর একটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন এবং বিচারিক কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। নির্মূল কমিটি এবং সমমনা অন্যান্য নাগরিক সংগঠনের প্রবল বাধার কারণে বর্তমান ভবন থেকে ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়া সম্ভব না হলেও এই সব মামলার আপিল শুনানি তিনি বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে যে গতিতে ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল সেখানে শুধু ভাটাই পড়েনিÑ একরকম স্থবির হয়ে গিয়েছে। এর ফলে আপনজনদের হত্যার বিচার না পেয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদ পরিবারের সদস্যরা সময়ের দীর্ঘ ব্যবধানে মৃত্যুবরণ করছেন, অন্যদিকে গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীরাও শাস্তি না পেয়েই মারা যাচ্ছেন, যা আইনের শাসনের শুধু পরিপন্থী নয়, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যাশা ও মর্যাদার প্রতিও আঘাতস্বরূপ।
’৭১-এর গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের মন্থরতা নিরসনের প্রয়োজনে উচ্চতর আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানানো হয় স্মারকপত্রে।
রাষ্ট্রপতি জানান, উচ্চতর আদালতে অধিক সংখ্যক বিচারক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলবেন। বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস সম্পর্কে ২০০৯ সালে গঠিত ‘সাহাবুদ্দিন চুপ্পু কমিশনে’র প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্ত ভাষ্য নির্মূল কমিটি প্রকাশ করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি তাঁর সম্মতি জানান।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, আরমা দত্ত এমপি, কাজী মুকুল ও শহীদসন্তান আসিফ মুনীর।