alt

সম্পাদকীয়

নারী ফুটবলের মুকুটে আরেকটি পালক

: শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

নেপালে অনুষ্ঠিত উইমেনস সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মেয়েরা আরও একবার নিজেদের সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রাখলেন। তারা প্রমাণ করলেন যে, তারা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ধরে রাখার গৌরব অর্জন করল সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল। দেশের নারী ফুটবলের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি পালক।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে। দুই বছর আগে তারা একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শিরোপা জয়ের আনন্দ উদযাপন করেছিল। এবার সেই স্মৃতি আরও উজ্জ্বল হলো মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমার অসাধারণ খেলার মাধ্যমে। ৫২ মিনিটে মনিকা চাকমার গোল এবং ৮১ মিনিটে ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত শটে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় বিজয়ের পথে। যদিও নেপালও প্রত্যাঘাত করেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি।

কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় সেটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা বেশ ভালোই রপ্ত করেছিলেন। এক্ষেত্রে কোচ পিটার জেমস বাটলারের অবদানের কথা আমরা স্মরণ করতে চাই। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিত ড্রয়ের পর দলের মধ্যে যে কোন্দল ও অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ দল পরবর্তীতে ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়। সেখান থেকে ভুটানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছানো, সত্যিই একটি স্মরণীয় যাত্রা।

এই জয় কেবল একটি খেলার জয় নয়। আমরা মনে করি, সাবিনা, মনিকা, ঋতুপর্ণা এবং তাদের সহযোদ্ধারা কেবল মাঠে নয়, বরং দেশের প্রতিনিধিত্ব করে সব নারীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে নারীদের এই অবিস্মরণীয় অর্জন কেবল ক্রীড়াক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি নারীর ক্ষমতায়নেরও একটি দৃষ্টান্ত। দেশবাসীর মনে নতুন আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো এই জয়, দেশের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

নারী ফুটবল দল বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছেন। ফুটবল খেলায় নারীরা নিছক অংশগ্রহণ করছেন না, বরং নিয়মিত বিজয় অর্জন করছেন, শিরোপা জিতছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। দেশবাসীকে গর্বিত করার মতো অবিস্মরণীয় সব অর্জনের জন্য নারী ফুটবল দলের কথা ইতিহাসের পাতাজুড়ে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে।

কারিগরি শিক্ষায় নজর দিন

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল ব্যবহারের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ¬চলে যাচ্ছে

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

আবারও রক্ত ঝরল পাহাড়ে

খেলনায় সিসা : শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতির অবসান হোক

বর্জ্যে বিপন্ন করতোয়া

সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়

সার সংকটের অভিযোগ আমলে নিন

জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করুন

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ টেকসইভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে

ফুটপাত দখলমুক্ত হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের মনোবল ফেরানো জরুরি

মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

মেলা আয়োজনে বাধা কেন

এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

tab

সম্পাদকীয়

নারী ফুটবলের মুকুটে আরেকটি পালক

শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

নেপালে অনুষ্ঠিত উইমেনস সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের মেয়েরা আরও একবার নিজেদের সামর্থ্যরে স্বাক্ষর রাখলেন। তারা প্রমাণ করলেন যে, তারা দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে পরাজিত করে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ধরে রাখার গৌরব অর্জন করল সাবিনা খাতুনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল। দেশের নারী ফুটবলের মুকুটে যোগ হলো আরেকটি পালক।

কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে। দুই বছর আগে তারা একই মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে শিরোপা জয়ের আনন্দ উদযাপন করেছিল। এবার সেই স্মৃতি আরও উজ্জ্বল হলো মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমার অসাধারণ খেলার মাধ্যমে। ৫২ মিনিটে মনিকা চাকমার গোল এবং ৮১ মিনিটে ঋতুপর্ণার দুর্দান্ত শটে বাংলাদেশকে নিয়ে যায় বিজয়ের পথে। যদিও নেপালও প্রত্যাঘাত করেছে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি।

কীভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় সেটা বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা বেশ ভালোই রপ্ত করেছিলেন। এক্ষেত্রে কোচ পিটার জেমস বাটলারের অবদানের কথা আমরা স্মরণ করতে চাই। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিত ড্রয়ের পর দলের মধ্যে যে কোন্দল ও অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ দল পরবর্তীতে ভারতকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়। সেখান থেকে ভুটানকে গুঁড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছানো, সত্যিই একটি স্মরণীয় যাত্রা।

এই জয় কেবল একটি খেলার জয় নয়। আমরা মনে করি, সাবিনা, মনিকা, ঋতুপর্ণা এবং তাদের সহযোদ্ধারা কেবল মাঠে নয়, বরং দেশের প্রতিনিধিত্ব করে সব নারীর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে নারীদের এই অবিস্মরণীয় অর্জন কেবল ক্রীড়াক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি নারীর ক্ষমতায়নেরও একটি দৃষ্টান্ত। দেশবাসীর মনে নতুন আশা ও অনুপ্রেরণা জোগানো এই জয়, দেশের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।

নারী ফুটবল দল বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা করেছেন। ফুটবল খেলায় নারীরা নিছক অংশগ্রহণ করছেন না, বরং নিয়মিত বিজয় অর্জন করছেন, শিরোপা জিতছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন জানাই। দেশবাসীকে গর্বিত করার মতো অবিস্মরণীয় সব অর্জনের জন্য নারী ফুটবল দলের কথা ইতিহাসের পাতাজুড়ে সোনালি অক্ষরে লেখা থাকবে।

back to top