alt

opinion » editorial

সাময়িকী কবিতা

: বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সচেতন পথিকের কথা

জাহিদ হায়দার

(“গুপ্ত কথা, গুপ্ত লিপি, গুপ্ত কাণ্ড, গুপ্ত প্রেম, ক্রমে সকলই ব্যক্ত হইয়াছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মনে কথা মনেই রহিয়াছে।” উদাসীন পথিকের মনের কথা, মীর মশাররফ হোসেন।)

নিজের প্রেমের খোঁজে

বারোটি বায়ুর স্রোতে

আকাশপ্রহরে

কম্পাসবিহীন আমি

ভেসে গেছি বিদ্যুতের ঝড়ে।

হৃদয়চিত্রে পড়ছে নীরবে বৃষ্টি,

পড়ছে ধুলোর অধিকাররীতি আনন্দে।

মীর সাহেবের সঙ্গ পায়নি লাহিনি পাড়ায়,

কোথাও ব্যস্ত ছিলেন কাঙাল হরিনাথ,

শিলাইদহের ঘাটে বজড়া ছিলো না সেদিন।

কে দেবে উত্তর,

লাশ ছাড়া কে আর গুপ্ত লিপিতে উদাসীন?

নিরন্তর ক্ষয়। পর্যন্ত আপাত এক রেখা

একবিংশতে সিন্ধুবিষাদ ধাবমান রক্তধ্বনি।

তোমার সঙ্গে প্রকাশ্যে যদি হতো দেখা,

ক্রমাগতের ভালোমন্দ বুননবীথি বুঝে

দাঁড়াতো পথিক দিগন্তের স্মৃতিসত্য বলে।

মৃত পাতা

হাসান কল্লোল

একদিন তোমাকে ভুলে যাব দেখো ঠিক

অচেনা রাস্তায় হাঁটার এই মুমূর্ষু দেহমনে

মানা আছে জেনেওনীরব অভিমানের নীল জামা পরে

চলে যাব নীল খেয়া চড়ে! আমি তোমার কালে

জন্মিনি বলে যেই ট্রেন সামনে পেয়েছি

তাতেই অমবস্যার রাতে উঠে পড়েছিলাম! আর

মোলহেডের মাথায় এসে যখন গেখি প্রমত্তা নদী তার

ইলিশের গন্ধ পিঠে নিয়ে চলে যাচ্ছে আহত মাঝির

সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে

রঙে ও রসে কেন তুমি উঠে এলে প্রাচীন স্টিমারের

কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমারি কেবিনে!

আর শাদা পোশাকের টিকেট চেকার এসে বলল:

কী হে বাপু ট্রেনের টিকিট নিয়ে

দিব্যি এই জলযানে এলেন কীভাবে?

নামুন

নামুন নেমে যাবেন সামনের ঘাটে!

আমি অপেক্ষায় থাকি

আর মাঝ দুপুরে যার জন্য আমার নেমে যাওয়া

তিনি শারীর আঁচলে মৃদু ঘাম মুছতে মুছতে বলেন:

আপনার নামার প্রয়োজন নেই

আমিই একটু পরে নেমে যাবো আমার মতো!

তিনি নেমে গেলে দেখি যে পথে গেলেন তিনি

সেইখানে বাদাবনের বিকেলের রোদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে!

নীল জামার পকেটে কয়েকটি মায়াবী গাছের মৃত পাতা!

নগর বাউল

হাবিবা রোজী

প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও বরফাচ্ছন্ন এই নৈঃশব্দ্যের শহর,

সাত-সকাল, সন্ধ্যা-দুপুর, রাত-বিরেত আটপ্রহর।

শ্রমক্লান্ত, ব্যথাহত নিরাশ্রয় শ্বেতবসনা বাউল,

পরমাত্মা খুঁজে খুঁজে হয়রান পথ, মঠ, মসজিদ, দেউল।

শব্দগুলো মুখথুবড়ে পড়েছে জনহীন হ্রদে,

বিরতিহীন আহ্নিক ধর্মঘট, বাক্যের জনপদে।

শহরের বিলবোর্ডে থাকবে না বিজ্ঞাপন স্তুতি।

সাদা খড়িতে টেনে দেয়া হবে দীর্ঘ এক যতি।

হাতকড়া পরেছে আজ-কাল-পরশুর কবিতার হাতে,

তনু মনে অনুক্ষণ কেবলই ক্ষরণ, ক্ষরণ যাতে।

তুষার জমে জমে উঁচু হয় ঢিবি, বরফ-নদী,

শীত শহরে প্লাবন হতো বরফ গলতে পারতো যদি।

দিনমান দীর্ণ হতে হতেই এমন থাকা না থাকা,

তরুছায়া, হাওয়াহীন এই শহরটার মানচিত্র আঁকা।

অব্যক্ত কথামালা

মাহমুদুজ্জামান জামী

আমার কিছু বলার ছিলো।

ভেবেছিলাম কয়েকটা কথা

রোদের মতো

তোমাকে আমি দেবো উপহার।

অনেক রাতের জোছনায়

দারুণ অবকাশেÑ

হৃদয়ের সব কষ্ট ঝেড়ে

গোলাপ রঙিন চেতনায়

তোমাকে আমি বলবো সব

নিবিড় ভালোলাগায়।

ভেবেছিলাম

সব প্রতিবন্ধকতা

দুমড়ে মুচড়ে

আকাশ রঙিন কথাগুলো সব

ফুলের মতো

বিলাবো তোমাকে!

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

সাময়িকী কবিতা

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সচেতন পথিকের কথা

জাহিদ হায়দার

(“গুপ্ত কথা, গুপ্ত লিপি, গুপ্ত কাণ্ড, গুপ্ত প্রেম, ক্রমে সকলই ব্যক্ত হইয়াছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মনে কথা মনেই রহিয়াছে।” উদাসীন পথিকের মনের কথা, মীর মশাররফ হোসেন।)

নিজের প্রেমের খোঁজে

বারোটি বায়ুর স্রোতে

আকাশপ্রহরে

কম্পাসবিহীন আমি

ভেসে গেছি বিদ্যুতের ঝড়ে।

হৃদয়চিত্রে পড়ছে নীরবে বৃষ্টি,

পড়ছে ধুলোর অধিকাররীতি আনন্দে।

মীর সাহেবের সঙ্গ পায়নি লাহিনি পাড়ায়,

কোথাও ব্যস্ত ছিলেন কাঙাল হরিনাথ,

শিলাইদহের ঘাটে বজড়া ছিলো না সেদিন।

কে দেবে উত্তর,

লাশ ছাড়া কে আর গুপ্ত লিপিতে উদাসীন?

নিরন্তর ক্ষয়। পর্যন্ত আপাত এক রেখা

একবিংশতে সিন্ধুবিষাদ ধাবমান রক্তধ্বনি।

তোমার সঙ্গে প্রকাশ্যে যদি হতো দেখা,

ক্রমাগতের ভালোমন্দ বুননবীথি বুঝে

দাঁড়াতো পথিক দিগন্তের স্মৃতিসত্য বলে।

মৃত পাতা

হাসান কল্লোল

একদিন তোমাকে ভুলে যাব দেখো ঠিক

অচেনা রাস্তায় হাঁটার এই মুমূর্ষু দেহমনে

মানা আছে জেনেওনীরব অভিমানের নীল জামা পরে

চলে যাব নীল খেয়া চড়ে! আমি তোমার কালে

জন্মিনি বলে যেই ট্রেন সামনে পেয়েছি

তাতেই অমবস্যার রাতে উঠে পড়েছিলাম! আর

মোলহেডের মাথায় এসে যখন গেখি প্রমত্তা নদী তার

ইলিশের গন্ধ পিঠে নিয়ে চলে যাচ্ছে আহত মাঝির

সমস্ত স্বপ্ন ভেঙে

রঙে ও রসে কেন তুমি উঠে এলে প্রাচীন স্টিমারের

কাঠের সিঁড়ি বেয়ে আমারি কেবিনে!

আর শাদা পোশাকের টিকেট চেকার এসে বলল:

কী হে বাপু ট্রেনের টিকিট নিয়ে

দিব্যি এই জলযানে এলেন কীভাবে?

নামুন

নামুন নেমে যাবেন সামনের ঘাটে!

আমি অপেক্ষায় থাকি

আর মাঝ দুপুরে যার জন্য আমার নেমে যাওয়া

তিনি শারীর আঁচলে মৃদু ঘাম মুছতে মুছতে বলেন:

আপনার নামার প্রয়োজন নেই

আমিই একটু পরে নেমে যাবো আমার মতো!

তিনি নেমে গেলে দেখি যে পথে গেলেন তিনি

সেইখানে বাদাবনের বিকেলের রোদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে!

নীল জামার পকেটে কয়েকটি মায়াবী গাছের মৃত পাতা!

নগর বাউল

হাবিবা রোজী

প্রবল জলোচ্ছ্বাসেও বরফাচ্ছন্ন এই নৈঃশব্দ্যের শহর,

সাত-সকাল, সন্ধ্যা-দুপুর, রাত-বিরেত আটপ্রহর।

শ্রমক্লান্ত, ব্যথাহত নিরাশ্রয় শ্বেতবসনা বাউল,

পরমাত্মা খুঁজে খুঁজে হয়রান পথ, মঠ, মসজিদ, দেউল।

শব্দগুলো মুখথুবড়ে পড়েছে জনহীন হ্রদে,

বিরতিহীন আহ্নিক ধর্মঘট, বাক্যের জনপদে।

শহরের বিলবোর্ডে থাকবে না বিজ্ঞাপন স্তুতি।

সাদা খড়িতে টেনে দেয়া হবে দীর্ঘ এক যতি।

হাতকড়া পরেছে আজ-কাল-পরশুর কবিতার হাতে,

তনু মনে অনুক্ষণ কেবলই ক্ষরণ, ক্ষরণ যাতে।

তুষার জমে জমে উঁচু হয় ঢিবি, বরফ-নদী,

শীত শহরে প্লাবন হতো বরফ গলতে পারতো যদি।

দিনমান দীর্ণ হতে হতেই এমন থাকা না থাকা,

তরুছায়া, হাওয়াহীন এই শহরটার মানচিত্র আঁকা।

অব্যক্ত কথামালা

মাহমুদুজ্জামান জামী

আমার কিছু বলার ছিলো।

ভেবেছিলাম কয়েকটা কথা

রোদের মতো

তোমাকে আমি দেবো উপহার।

অনেক রাতের জোছনায়

দারুণ অবকাশেÑ

হৃদয়ের সব কষ্ট ঝেড়ে

গোলাপ রঙিন চেতনায়

তোমাকে আমি বলবো সব

নিবিড় ভালোলাগায়।

ভেবেছিলাম

সব প্রতিবন্ধকতা

দুমড়ে মুচড়ে

আকাশ রঙিন কথাগুলো সব

ফুলের মতো

বিলাবো তোমাকে!

back to top