alt

সম্পাদকীয়

সেতুটি সংস্কার করুন

: সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সড়ক যোগাযোগের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে সেতু। এটি নদ-নদী অথবা খালের দুই পারের মেলবন্ধন গড়ে তোলে। সেতুর ব্যবহার বহুমুখী। এটা শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সংযোগই তৈরি করে না, স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গুরুত্ত্ব অনেক। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, প্রায়ই এমন দেখা যায় যে, সেতুর দরকার যেখানে, সেতু নেই সেখানে। আবার অনেক স্থানে সেতু তৈরি করা হলেও তা টেকসই হয় না। সংবাদ-এ প্রকাশিত এমনই একটি খবর আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভারানী খালের উপর নির্মিত লোহার সেতুটি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বালুভর্তি কার্গোর ধাক্কায় অর্ধেকের বেশি দুমড়ে-মুচড়ে খালে পড়ে যায়। সেতুটি নির্মাণ করা হয় ২০০৯ সালে। ২০১৫ সালে পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় একাংশ বিধ্বস্ত হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কয়েক মাসের মধ্যে এটি মেরামত করে দেয়। দ্বিতীয়বার ধাক্কা লাগার পর দীর্ঘ তিন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও সেতু পুনঃসংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত তিন বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে।

বিগত সরকারের সময় যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে কয়েক হাজার সেতু নির্মিত হয়েছে। সেখানে এরকম একটি সেতুর দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে থাকার খবর বিস্ময়কর। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর থেকেই মেরামতের জন্য এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সেতু নির্মিত না হওয়ায় কয়েকটি স্কুলের কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা ও ভূমি অফিসে সেবা নিতে যাওয়া মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে ছোট খেয়া নৌকায় মানুষকে প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে। বিকল্প পথে ৪ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সেই পথটি  ভাঙা থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয় হেঁটে।

আমরা বলতে চাই, লেবুখালীর ভারানী খালে ভেঙে পড়া লোহার সেতুটি পুনরায় সংস্কার করার অতি দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। নদীমাতৃক দেশে সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি সেতু পালটে দিতে পারে একটি লোকালয়ের গোটা জনজীবন।

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

খাদ্যগুদামে অনিয়ম কাম্য নয়

বেআইনিভাবে নদীর মাটি কাটা বন্ধ করুন

শহরাঞ্চলে জলাবদ্ধতা : টেকসই সমাধান কী

সেতু নির্মাণে অবহেলা কাম্য নয়

পোশাক শ্রমিকদেরকে কেনো বারবার পথে নামতে হচ্ছে

চট্টগ্রাম নগরীর পয়োনিষ্কাশনের পথে বাধা দূর করুন

নদীভাঙনের শিকার মানুষের পাশে দাঁড়ান

বদরখালীতে প্যারাবন নিধন: প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

প্রশ্নবিদ্ধ ইঁদুর নিধন অভিযান

নদী খননে সুষ্ঠু পরিকল্পনা থাকতে হবে

ভালুকার বনাঞ্চল রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন

অটোরিকশা ও সিএনজির দখলে আঞ্চলিক মহাসড়ক

সিসা দূষণের ভয়াবহতার মুখে দেশের শিশুরা

বলুহর বাঁওড় নিয়ে মৎস্যজীবীদের অভিযোগ আমলে নিন

যুক্তরাষ্ট্রে চালকের আসনে ট্রাম্প

জলাবদ্ধতা থেকে ডুমুরিয়াবাসীকে উদ্ধার করুন

বীজ ও সার নিয়ে আলুচাষিদের উদ্বেগ দূর করুন

কারিগরি শিক্ষায় নজর দিন

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

tab

সম্পাদকীয়

সেতুটি সংস্কার করুন

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সড়ক যোগাযোগের অন্যতম একটি অংশ হচ্ছে সেতু। এটি নদ-নদী অথবা খালের দুই পারের মেলবন্ধন গড়ে তোলে। সেতুর ব্যবহার বহুমুখী। এটা শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রে সংযোগই তৈরি করে না, স্থানীয় অর্থনীতিতেও এর গুরুত্ত্ব অনেক। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, প্রায়ই এমন দেখা যায় যে, সেতুর দরকার যেখানে, সেতু নেই সেখানে। আবার অনেক স্থানে সেতু তৈরি করা হলেও তা টেকসই হয় না। সংবাদ-এ প্রকাশিত এমনই একটি খবর আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালীর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ভারানী খালের উপর নির্মিত লোহার সেতুটি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বালুভর্তি কার্গোর ধাক্কায় অর্ধেকের বেশি দুমড়ে-মুচড়ে খালে পড়ে যায়। সেতুটি নির্মাণ করা হয় ২০০৯ সালে। ২০১৫ সালে পণ্যবাহী কার্গোর ধাক্কায় একাংশ বিধ্বস্ত হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কয়েক মাসের মধ্যে এটি মেরামত করে দেয়। দ্বিতীয়বার ধাক্কা লাগার পর দীর্ঘ তিন বছর পার হয়ে যাওয়ার পরও সেতু পুনঃসংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত তিন বছর ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে।

বিগত সরকারের সময় যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে কয়েক হাজার সেতু নির্মিত হয়েছে। সেখানে এরকম একটি সেতুর দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে থাকার খবর বিস্ময়কর। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর থেকেই মেরামতের জন্য এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার চিঠি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

সেতু নির্মিত না হওয়ায় কয়েকটি স্কুলের কয়েকশ শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা ও ভূমি অফিসে সেবা নিতে যাওয়া মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে ছোট খেয়া নৌকায় মানুষকে প্রতিদিন পারাপার হতে হচ্ছে। বিকল্প পথে ৪ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সেই পথটি  ভাঙা থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয় হেঁটে।

আমরা বলতে চাই, লেবুখালীর ভারানী খালে ভেঙে পড়া লোহার সেতুটি পুনরায় সংস্কার করার অতি দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। নদীমাতৃক দেশে সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি সেতু পালটে দিতে পারে একটি লোকালয়ের গোটা জনজীবন।

back to top