মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
দেশে পর্যাপ্ত বিদুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা ও বিতরণ ব্যবস্থায় নেই সুদূরপ্রসারি ভাবনা। এটা নিয়ে নেই কোন সমীক্ষা। আবার দীর্ঘমেয়াদী চাহিদা ও বিতরণ ব্যবস্থার কলাকৌশল সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই সংশ্লিষ্টদের।
ফলে বিদুৎতের উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ হচ্ছে না। বিদুৎ উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের নিচে নেমে যায় এবং আন্ডার ফ্রিকোয়েন্সির কারণে বিদুৎ ব্যবস্থা আনেস্টবল হয়ে পড়ে।এ অবস্থায় স্থিতিশীল গ্রীডের জন্য উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় দ্রুত অটোমেশন চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
উলেখ্য উন্নত বিশ্বের প্রায় সবাই দেশে অটোমেশন চালু থাকলেও দেশে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেণ্টার টেলিফোনের মাধ্যমে উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করছে।এ কারণেই গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে।আশংকাজনক হলো, বিদুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন একসঙ্গে হচ্ছে না। আগামীতে দেশে পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ী ও রূপপুরের সব ইউনিট ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসতে শুরু করবে।
এছাড়া ভারত থেকে ও বিদ্যুৎ আসবে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় জাতীয় গ্রিড স্থিতিশীল করতে না পারলে আরও বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় দ্রুত অটোমেশন পদ্ধতি চালু করতে হবে। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যা বাস্তবসম্মত ও সময়োচিত। বিদুৎতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ এ তিন ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত করার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন- এটাই প্রত্যাশা।
আব্বাস উদ্দিন আহমদ
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশে পর্যাপ্ত বিদুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা ও বিতরণ ব্যবস্থায় নেই সুদূরপ্রসারি ভাবনা। এটা নিয়ে নেই কোন সমীক্ষা। আবার দীর্ঘমেয়াদী চাহিদা ও বিতরণ ব্যবস্থার কলাকৌশল সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই সংশ্লিষ্টদের।
ফলে বিদুৎতের উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থা চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য পূর্ণ হচ্ছে না। বিদুৎ উৎপাদন ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হলে সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি রেঞ্জের নিচে নেমে যায় এবং আন্ডার ফ্রিকোয়েন্সির কারণে বিদুৎ ব্যবস্থা আনেস্টবল হয়ে পড়ে।এ অবস্থায় স্থিতিশীল গ্রীডের জন্য উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় দ্রুত অটোমেশন চালু করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
উলেখ্য উন্নত বিশ্বের প্রায় সবাই দেশে অটোমেশন চালু থাকলেও দেশে ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেণ্টার টেলিফোনের মাধ্যমে উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ করছে।এ কারণেই গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে।আশংকাজনক হলো, বিদুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন একসঙ্গে হচ্ছে না। আগামীতে দেশে পায়রা, রামপাল, মাতারবাড়ী ও রূপপুরের সব ইউনিট ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে উৎপাদনে আসতে শুরু করবে।
এছাড়া ভারত থেকে ও বিদ্যুৎ আসবে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় জাতীয় গ্রিড স্থিতিশীল করতে না পারলে আরও বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে উৎপাদন ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় দ্রুত অটোমেশন পদ্ধতি চালু করতে হবে। সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থার উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন, যা বাস্তবসম্মত ও সময়োচিত। বিদুৎতের উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ এ তিন ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিক ও উন্নত করার কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন- এটাই প্রত্যাশা।
আব্বাস উদ্দিন আহমদ