alt

মতামত » চিঠিপত্র

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

: মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

দেশের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বেতন বৈষম্য চমকে ওঠার মতো। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য সব শিক্ষকের সমান মূল্যায়ন প্রয়োজন। বর্তমানে সারাদেশে মাত্র ৩৫৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অপরদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০৩১৬টিরও বেশি। অথচ নীতি অনুযায়ী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাঠামোভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে।

সরকারি শিক্ষকদের মাসিক বেতন ও সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি, যেখানে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সরকারি শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে বেতন বৃদ্ধি, চিকিৎসা সুবিধা, পেনশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান। অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এসব সুবিধার অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সরকারি চাকরিতে শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা থাকে, কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকরা চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন। অনেক সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের চাকরি কোনো ধরনের নিয়ম বা নীতিমালা ছাড়াই হারাতে হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারময় করে তোলে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক বেসরকারি শিক্ষকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য থেকে বুঝা যায় বেসরকারি শিক্ষকদের মনোযোগ ও কর্মদক্ষতা অগুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করছে। শিক্ষাক্ষেত্রে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এ বৈষম্য দূর করা জরুরি।

বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা তাদের অধিকার এবং সম্মানজনক অবস্থানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এই সংগ্রাম মূলত মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োজিত শিক্ষকদের আর্থিক, সামাজিক, পেশাগত বৈষম্য ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ¬বিক পরিবর্তন ও শিক্ষাব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

নাফিউল ইকবাল

টেকসই শহরের একান্ত প্রয়োজন

সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি গড়ে তোলা জরুরি

সুন্দরবনের বাঘ ও জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : আর্শীবাদ নাকি অভিশাপ

সমুদ্রগবেষণায় পশ্চাৎপদতা মৎস্য খাতের ভবিষ্যৎকেই ঝুঁকিতে ফেলছে

কিশোর গ্যাং–সংস্কৃতি: সমাজের জন্য বাড়তে থাকা অশনি সংকেত

ডিগ্রি হাতে, চাকরি স্বপ্নে: শিক্ষিত বেকারদের মানসিক ক্ষয়

সরকারি কর্মচারীদের কর্মেই মুক্তি নাকি আন্দোলনে?

কর্মজীবী নারীর অদৃশ্য মানসিক বোঝা

নগর সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যের বিলুপ্তি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম সতর্কবার্তাই কি যথেষ্ট?

সুলতানপুরে করতোয়া নদীর তাণ্ডব: নদীভাঙনে মানুষের জীবন বিপন্ন

ফ্রিল্যান্সিংয়ে সম্ভাবনা বিস্তৃত, অনিয়মের ছায়াও গভীর

গেন্ডারিয়ায় সড়ক ও ড্রেন সংস্কারে অনিয়ম: জনদূর্ভোগ বৃদ্ধি

প্রবীণদের সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি

পলিভিনাইলের ব্যবহার প্রতিরোধ জরুরি

বৈধ সনদধারীদের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি

টেকসই দুর্যোগ প্রস্তুতিতে জরুরি বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন

জলবায়ু পরিবর্তন ও নারী ও কিশোরীদের ঝুঁকি

মেধা হারাচ্ছে দেশ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় : অযৌক্তিক ফি, সেশনজট ও প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী

সামাজিক মাধ্যমের ভুবনে জনতুষ্টিবাদের নতুন রূপ

ভেজাল খেজুরগুড় ও স্বাস্থ্যঝুঁকি

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় প্রশাসনিক ক্যাডারের প্রয়োজনীয়তা

প্লাস্টিক বর্জ্যে মাছের মৃত্যু: সমাধান কোথায়

খোলা ম্যানহোল: ঢাকার রাজপথে এক নীরব মরণফাঁদ

গণপরিবহন: প্রতিদিনের যন্ত্রণার শেষ কবে?

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের পুনর্জাগরণ

সাইবার বুলিং ও ভার্চুয়াল অপরাধ: তরুণদের অদৃশ্য বিপদ

ওয়াসার খোঁড়াখুঁড়িতে নগরজীবনের চরম ভোগান্তি

রাবি মেডিকেল সেন্টারের সংস্কার চাই

চিংড়ি শিল্পের পরিবেশগত প্রভাব

কক্সবাজার: উন্নয়নের পথে, বিপন্ন প্রকৃতি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রেক্ষাপটে নতুন সম্ভাবনার ভোর

প্রাথমিক শিক্ষকদের বঞ্চনা দূর না হলে মানোন্নয়ন অসম্ভব

রাবির আবাসন সংকট

tab

মতামত » চিঠিপত্র

বেসরকারি শিক্ষকদের জীবন সংগ্রাম

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে বেতন বৈষম্য চমকে ওঠার মতো। শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য সব শিক্ষকের সমান মূল্যায়ন প্রয়োজন। বর্তমানে সারাদেশে মাত্র ৩৫৫টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অপরদিকে বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২০৩১৬টিরও বেশি। অথচ নীতি অনুযায়ী সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাঠামোভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন থাকবে।

সরকারি শিক্ষকদের মাসিক বেতন ও সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি, যেখানে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন তুলনামূলকভাবে অনেক কম। সরকারি শিক্ষকরা নিয়মিতভাবে বেতন বৃদ্ধি, চিকিৎসা সুবিধা, পেনশন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান। অপরদিকে বেসরকারি শিক্ষকদের ক্ষেত্রে এসব সুবিধার অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। সরকারি চাকরিতে শিক্ষকদের চাকরির নিরাপত্তা থাকে, কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকরা চাকরির অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকেন। অনেক সময় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের চাকরি কোনো ধরনের নিয়ম বা নীতিমালা ছাড়াই হারাতে হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারময় করে তোলে। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক বেসরকারি শিক্ষকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য থেকে বুঝা যায় বেসরকারি শিক্ষকদের মনোযোগ ও কর্মদক্ষতা অগুরুত্ত্বপূর্ণ মনে করছে। শিক্ষাক্ষেত্রে সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য এ বৈষম্য দূর করা জরুরি।

বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা তাদের অধিকার এবং সম্মানজনক অবস্থানের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। এই সংগ্রাম মূলত মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োজিত শিক্ষকদের আর্থিক, সামাজিক, পেশাগত বৈষম্য ও অবস্থানকে কেন্দ্র করে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দেশের মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বৈপ¬বিক পরিবর্তন ও শিক্ষাব্যবস্থার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

নাফিউল ইকবাল

back to top