alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়

: শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত নানা কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুকে না মেনে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা ও মানসিক বেদনা ও অর্থনৈতিক দৈন্যতা বেড়ে গেলে চরম হতাশা কাজ করে। হতাশাই নিজের মধ্যে নেতিবাচক ধারণাগুলো তৈরি করে। এক পর্যায়ে মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। নিজেকে ও নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে হয়। তখনই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। একাজ যারা করে তাদেরকে আত্মঘাতক বা আত্মহননকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়, বরং জীবন মহামূল্যবান এবং এটিকে উপভোগ করা উচিত।

বর্তমান যুগ হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। তাই আত্মহত্যার প্রবণতাতেও যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন কারণ। বিশেষত ব্যক্তি বিশেষের মানসিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতাও আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের নানা জটিলতা ও প্রযুক্তির প্রতি মানুষের অত্যধিক আসক্তি বাড়লেও আত্মহত্যার প্রবণতার মধ্যে খুব পরিবর্তন হয়নি। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাগুলো দুর্বল হয়ে গেলে মানুষ অসহায় বোধ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করে ফেলে। পৃথিবীজুড়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ আত্মহত্যা। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় মানসিক চাপ। এই চাপ সহ্য করতে না পারলে মানুষটি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে এই পথ বেছে নেন।

আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও কান্ডারি। তারা নানা স্বপ্নের জালবুনে, লেখাপড়া করে কাক্সিক্ষত কিছু অর্জন করতে চায়, পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়। অধিকাংশই লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো কর্মসংস্থান, পরিবারের জন্য কিছু করার তাগিদ, অনেকে প্রিয়জনকে জীবন সঙ্গী করে একটি সুন্দর সংসারের জালবুনে। এগুলোর যে কোন একটিতে কোন ছেদ পড়লে সে চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়। নিজেকে ব্যর্থ মনে করে এবং জীবনকে মূল্যহীন মনে হয়।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, করোনাকালীন সময়ে বেকারত্ব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। লাখ লাখ তরুণ তরুণী কোন কাক্সিক্ষত কর্মসংস্থান খুঁজে পাচ্ছে না, এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশা চরমভাবে আকড়ে ধরছে। ফলে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্টতর কাজটিই বেছে নিচ্ছে। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়। উপলব্ধি করা উচিত জীবন মহামূল্যবান এবং জীবন প্রদীপ শেষ করার আগে এটিকে ভালভাবে উপভোগ করা উচিত।

জিল্লুর রহমান

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

পারিবারিক ও সামাজিক অবক্ষয়জনিত নানা কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুকে না মেনে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা ও মানসিক বেদনা ও অর্থনৈতিক দৈন্যতা বেড়ে গেলে চরম হতাশা কাজ করে। হতাশাই নিজের মধ্যে নেতিবাচক ধারণাগুলো তৈরি করে। এক পর্যায়ে মানুষ আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। নিজেকে ও নিজের জীবনকে ব্যর্থ মনে হয়। তখনই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। একাজ যারা করে তাদেরকে আত্মঘাতক বা আত্মহননকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়, বরং জীবন মহামূল্যবান এবং এটিকে উপভোগ করা উচিত।

বর্তমান যুগ হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। তাই আত্মহত্যার প্রবণতাতেও যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন কারণ। বিশেষত ব্যক্তি বিশেষের মানসিক বৈশিষ্ট্যের ভিন্নতাও আত্মহত্যার কারণ হতে পারে। দৈনন্দিন জীবনের নানা জটিলতা ও প্রযুক্তির প্রতি মানুষের অত্যধিক আসক্তি বাড়লেও আত্মহত্যার প্রবণতার মধ্যে খুব পরিবর্তন হয়নি। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গাগুলো দুর্বল হয়ে গেলে মানুষ অসহায় বোধ করে এবং এক পর্যায়ে আত্মহত্যা করে ফেলে। পৃথিবীজুড়ে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ আত্মহত্যা। অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় মানসিক চাপ। এই চাপ সহ্য করতে না পারলে মানুষটি জীবন থেকে পালিয়ে যেতে এই পথ বেছে নেন।

আজকের তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও কান্ডারি। তারা নানা স্বপ্নের জালবুনে, লেখাপড়া করে কাক্সিক্ষত কিছু অর্জন করতে চায়, পৃথিবীকে আলোকিত করতে চায়। অধিকাংশই লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো কর্মসংস্থান, পরিবারের জন্য কিছু করার তাগিদ, অনেকে প্রিয়জনকে জীবন সঙ্গী করে একটি সুন্দর সংসারের জালবুনে। এগুলোর যে কোন একটিতে কোন ছেদ পড়লে সে চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়। নিজেকে ব্যর্থ মনে করে এবং জীবনকে মূল্যহীন মনে হয়।

অস্বীকার করার কোন উপায় নেই, করোনাকালীন সময়ে বেকারত্ব সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। লাখ লাখ তরুণ তরুণী কোন কাক্সিক্ষত কর্মসংস্থান খুঁজে পাচ্ছে না, এ কারণে তাদের মধ্যে হতাশা চরমভাবে আকড়ে ধরছে। ফলে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্টতর কাজটিই বেছে নিচ্ছে। আসলে আত্মহত্যা কোন সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান নয়। উপলব্ধি করা উচিত জীবন মহামূল্যবান এবং জীবন প্রদীপ শেষ করার আগে এটিকে ভালভাবে উপভোগ করা উচিত।

জিল্লুর রহমান

back to top