মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ, রাজপথ দখল, মিছিল, দুর্বার আন্দোলন মানে এসবের নামে আন্দোলনকারীরা তান্ডব চালায়। তান্ডব চললে বহু সম্পত্তি নষ্ট তো হচ্ছে বটেই। পুলিশ, সাধারণ মানুষ আহত হন। শহর এক প্রকার বন্ধের রূপ নেয়। দীর্ঘ লকডাউন বহু মানুষের মুখের ভাত কেড়েছে। মানুষ আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সময় একটা অপ্রীতিকর ঘটনা হলো রাজপথ দখল, আন্দোলন-আর এই সব আন্দোলন মানুষের তথা দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।
মানুষকে ভাবতে হবে যে সম্পত্তিগুলো তারা ভাঙচুর করছে, নষ্ট করছে সেগুলো আদতে তাদেরই সম্পত্তি। রাগের মাথায় বাড়ির বাচ্চারা যা যুবকরা হয়তো বাড়ির জিনিস ভেঙে ফেলে, নষ্ট করে ফেলে, পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে এটাই সত্য হয়ে দাঁড়ায় যে, জিনিসগুলো ভেঙে বা নষ্ট করে তাদেরই ক্ষতি হলো। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে হবে, তবে তার পদ্ধতিটা পাল্টানোর দরকার।
প্রতিবাদ আর রাজপথ দখলের নামে সরকারি ও প্রাইভেট সম্পত্তি নষ্ট ও সাধারণ মানুষের হয়রানি নয়। প্রতিবাদের নামে যে তান্ডব চলে সেই আগুনের আঁচ পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। কেউ দোকান হারায়, কেউ স্বজন হারায়। বিশেষ করে পুলিশের পরিবার থাকে দুশ্চিন্তায়। যারা বাইরে থাকেন তারা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা, বা আর কোনো দিনও ফিরতে পারবেন কি না, সন্দেহ জাগে মনে।
রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে, আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করলে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। যানজটে আটকে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের। রোগীর খবর আমরা রাখতে পারি না, কেউ জরুরি কাজে বেরিয়ে করতে পারে না, কেউ হয়তো এই অবস্থার জন্য মৃত্যুবরণ করে, সেটাও আমরা খেয়াল রাখতে পারি না। রাজপথ দখল ও প্রতিবাদের নামে ভুল পদক্ষেপে কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে বিবেচনা করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে হয়।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ, রাজপথ দখল, মিছিল, দুর্বার আন্দোলন মানে এসবের নামে আন্দোলনকারীরা তান্ডব চালায়। তান্ডব চললে বহু সম্পত্তি নষ্ট তো হচ্ছে বটেই। পুলিশ, সাধারণ মানুষ আহত হন। শহর এক প্রকার বন্ধের রূপ নেয়। দীর্ঘ লকডাউন বহু মানুষের মুখের ভাত কেড়েছে। মানুষ আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সময় একটা অপ্রীতিকর ঘটনা হলো রাজপথ দখল, আন্দোলন-আর এই সব আন্দোলন মানুষের তথা দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।
মানুষকে ভাবতে হবে যে সম্পত্তিগুলো তারা ভাঙচুর করছে, নষ্ট করছে সেগুলো আদতে তাদেরই সম্পত্তি। রাগের মাথায় বাড়ির বাচ্চারা যা যুবকরা হয়তো বাড়ির জিনিস ভেঙে ফেলে, নষ্ট করে ফেলে, পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে এটাই সত্য হয়ে দাঁড়ায় যে, জিনিসগুলো ভেঙে বা নষ্ট করে তাদেরই ক্ষতি হলো। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে হবে, তবে তার পদ্ধতিটা পাল্টানোর দরকার।
প্রতিবাদ আর রাজপথ দখলের নামে সরকারি ও প্রাইভেট সম্পত্তি নষ্ট ও সাধারণ মানুষের হয়রানি নয়। প্রতিবাদের নামে যে তান্ডব চলে সেই আগুনের আঁচ পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। কেউ দোকান হারায়, কেউ স্বজন হারায়। বিশেষ করে পুলিশের পরিবার থাকে দুশ্চিন্তায়। যারা বাইরে থাকেন তারা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা, বা আর কোনো দিনও ফিরতে পারবেন কি না, সন্দেহ জাগে মনে।
রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে, আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করলে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। যানজটে আটকে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের। রোগীর খবর আমরা রাখতে পারি না, কেউ জরুরি কাজে বেরিয়ে করতে পারে না, কেউ হয়তো এই অবস্থার জন্য মৃত্যুবরণ করে, সেটাও আমরা খেয়াল রাখতে পারি না। রাজপথ দখল ও প্রতিবাদের নামে ভুল পদক্ষেপে কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে বিবেচনা করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে হয়।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা