alt

চিঠিপত্র

চিঠি : আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য নয়

: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ, রাজপথ দখল, মিছিল, দুর্বার আন্দোলন মানে এসবের নামে আন্দোলনকারীরা তান্ডব চালায়। তান্ডব চললে বহু সম্পত্তি নষ্ট তো হচ্ছে বটেই। পুলিশ, সাধারণ মানুষ আহত হন। শহর এক প্রকার বন্ধের রূপ নেয়। দীর্ঘ লকডাউন বহু মানুষের মুখের ভাত কেড়েছে। মানুষ আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সময় একটা অপ্রীতিকর ঘটনা হলো রাজপথ দখল, আন্দোলন-আর এই সব আন্দোলন মানুষের তথা দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।

মানুষকে ভাবতে হবে যে সম্পত্তিগুলো তারা ভাঙচুর করছে, নষ্ট করছে সেগুলো আদতে তাদেরই সম্পত্তি। রাগের মাথায় বাড়ির বাচ্চারা যা যুবকরা হয়তো বাড়ির জিনিস ভেঙে ফেলে, নষ্ট করে ফেলে, পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে এটাই সত্য হয়ে দাঁড়ায় যে, জিনিসগুলো ভেঙে বা নষ্ট করে তাদেরই ক্ষতি হলো। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে হবে, তবে তার পদ্ধতিটা পাল্টানোর দরকার।

প্রতিবাদ আর রাজপথ দখলের নামে সরকারি ও প্রাইভেট সম্পত্তি নষ্ট ও সাধারণ মানুষের হয়রানি নয়। প্রতিবাদের নামে যে তান্ডব চলে সেই আগুনের আঁচ পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। কেউ দোকান হারায়, কেউ স্বজন হারায়। বিশেষ করে পুলিশের পরিবার থাকে দুশ্চিন্তায়। যারা বাইরে থাকেন তারা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা, বা আর কোনো দিনও ফিরতে পারবেন কি না, সন্দেহ জাগে মনে।

রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে, আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করলে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। যানজটে আটকে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের। রোগীর খবর আমরা রাখতে পারি না, কেউ জরুরি কাজে বেরিয়ে করতে পারে না, কেউ হয়তো এই অবস্থার জন্য মৃত্যুবরণ করে, সেটাও আমরা খেয়াল রাখতে পারি না। রাজপথ দখল ও প্রতিবাদের নামে ভুল পদক্ষেপে কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে বিবেচনা করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে হয়।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠি : আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য নয়

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রতিবাদ সভা-সমাবেশ, রাজপথ দখল, মিছিল, দুর্বার আন্দোলন মানে এসবের নামে আন্দোলনকারীরা তান্ডব চালায়। তান্ডব চললে বহু সম্পত্তি নষ্ট তো হচ্ছে বটেই। পুলিশ, সাধারণ মানুষ আহত হন। শহর এক প্রকার বন্ধের রূপ নেয়। দীর্ঘ লকডাউন বহু মানুষের মুখের ভাত কেড়েছে। মানুষ আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। এই সময় একটা অপ্রীতিকর ঘটনা হলো রাজপথ দখল, আন্দোলন-আর এই সব আন্দোলন মানুষের তথা দেশের অর্থনীতিকে পিছিয়ে দেবে, এটাই স্বাভাবিক।

মানুষকে ভাবতে হবে যে সম্পত্তিগুলো তারা ভাঙচুর করছে, নষ্ট করছে সেগুলো আদতে তাদেরই সম্পত্তি। রাগের মাথায় বাড়ির বাচ্চারা যা যুবকরা হয়তো বাড়ির জিনিস ভেঙে ফেলে, নষ্ট করে ফেলে, পরে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে এটাই সত্য হয়ে দাঁড়ায় যে, জিনিসগুলো ভেঙে বা নষ্ট করে তাদেরই ক্ষতি হলো। প্রয়োজনে প্রতিবাদ করতে হবে, তবে তার পদ্ধতিটা পাল্টানোর দরকার।

প্রতিবাদ আর রাজপথ দখলের নামে সরকারি ও প্রাইভেট সম্পত্তি নষ্ট ও সাধারণ মানুষের হয়রানি নয়। প্রতিবাদের নামে যে তান্ডব চলে সেই আগুনের আঁচ পড়ে সাধারণ মানুষের ওপর। কেউ দোকান হারায়, কেউ স্বজন হারায়। বিশেষ করে পুলিশের পরিবার থাকে দুশ্চিন্তায়। যারা বাইরে থাকেন তারা ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা, বা আর কোনো দিনও ফিরতে পারবেন কি না, সন্দেহ জাগে মনে।

রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে, আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করলে মানুষকে আতঙ্কিত করে তোলে। যানজটে আটকে থাকা অ্যাম্বুল্যান্সের। রোগীর খবর আমরা রাখতে পারি না, কেউ জরুরি কাজে বেরিয়ে করতে পারে না, কেউ হয়তো এই অবস্থার জন্য মৃত্যুবরণ করে, সেটাও আমরা খেয়াল রাখতে পারি না। রাজপথ দখল ও প্রতিবাদের নামে ভুল পদক্ষেপে কারও যাতে ক্ষতি না হয় সেদিকে বিবেচনা করা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে হয়।

লিয়াকত হোসেন খোকন

রূপনগর, ঢাকা

back to top