মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
শব্দদূষণ এই সময়ের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। এই সমস্যার প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কে অহেতুক হর্ন বাজানো। সড়কে চলাফেরা করার সময় দূরপাল্লার বাস-ট্রাকের হর্নে এখন কান পাতা দায়। এসবের অধিকাংশই হাইড্রোলিক হর্ন। সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এমনকি মোটরচালিত রিকশায়ও এখন উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার করে। যানবহানে হর্ন ব্যবহারে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু অহেতুক হর্ন কেন বাজবে ? সামনে পেছনে কোনো গাড়ি নেই, কিন্তু হর্ন বাজছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করে। অনেক সময় দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সে কোন রোগী নেই, কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটির সাইরেন বাজছে অনবরত।
একজন সুস্থ মানুষ ২০ থেকে ২০, ০০০ স্পন্দনের শব্দ শুনতে পারে। মানুষের শব্দ গ্রহণের স্বাভাবিক মাত্রা ৪০-৫০ ডিবি পর্যন্ত। এমন অনেক হর্ন রয়েছে, যেগুলো ৬০ ডিবি থেকে শুরু করে ১২০ ডিবি পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করে। সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের হর্ন শব্দদূষণের এবং স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া হঠাৎ হর্ন বাজানোর ফলে মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়। এই ভীতি মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। যা কোনো সুস্থ মানুষের জন্যই সুখকর নয়।
অহেতুক হর্ন বাজানো বন্ধ করতে আমাদের সবার যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। যে গাড়িতে যে হর্ন দরকার তাই ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি চালকের পাশাপাশি মালিকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনেরও এ দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
আজহার মাহমুদ
খুলশী, চট্টগ্রাম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১
শব্দদূষণ এই সময়ের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। এই সমস্যার প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কে অহেতুক হর্ন বাজানো। সড়কে চলাফেরা করার সময় দূরপাল্লার বাস-ট্রাকের হর্নে এখন কান পাতা দায়। এসবের অধিকাংশই হাইড্রোলিক হর্ন। সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এমনকি মোটরচালিত রিকশায়ও এখন উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার করে। যানবহানে হর্ন ব্যবহারে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু অহেতুক হর্ন কেন বাজবে ? সামনে পেছনে কোনো গাড়ি নেই, কিন্তু হর্ন বাজছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন।
বর্তমান সময়ে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করে। অনেক সময় দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সে কোন রোগী নেই, কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটির সাইরেন বাজছে অনবরত।
একজন সুস্থ মানুষ ২০ থেকে ২০, ০০০ স্পন্দনের শব্দ শুনতে পারে। মানুষের শব্দ গ্রহণের স্বাভাবিক মাত্রা ৪০-৫০ ডিবি পর্যন্ত। এমন অনেক হর্ন রয়েছে, যেগুলো ৬০ ডিবি থেকে শুরু করে ১২০ ডিবি পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করে। সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের হর্ন শব্দদূষণের এবং স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া হঠাৎ হর্ন বাজানোর ফলে মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়। এই ভীতি মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। যা কোনো সুস্থ মানুষের জন্যই সুখকর নয়।
অহেতুক হর্ন বাজানো বন্ধ করতে আমাদের সবার যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। যে গাড়িতে যে হর্ন দরকার তাই ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি চালকের পাশাপাশি মালিকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনেরও এ দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।
আজহার মাহমুদ
খুলশী, চট্টগ্রাম