alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অহেতুক গাড়ির হর্ন কেন?

: সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

শব্দদূষণ এই সময়ের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। এই সমস্যার প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কে অহেতুক হর্ন বাজানো। সড়কে চলাফেরা করার সময় দূরপাল্লার বাস-ট্রাকের হর্নে এখন কান পাতা দায়। এসবের অধিকাংশই হাইড্রোলিক হর্ন। সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এমনকি মোটরচালিত রিকশায়ও এখন উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার করে। যানবহানে হর্ন ব্যবহারে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু অহেতুক হর্ন কেন বাজবে ? সামনে পেছনে কোনো গাড়ি নেই, কিন্তু হর্ন বাজছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করে। অনেক সময় দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সে কোন রোগী নেই, কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটির সাইরেন বাজছে অনবরত।

একজন সুস্থ মানুষ ২০ থেকে ২০, ০০০ স্পন্দনের শব্দ শুনতে পারে। মানুষের শব্দ গ্রহণের স্বাভাবিক মাত্রা ৪০-৫০ ডিবি পর্যন্ত। এমন অনেক হর্ন রয়েছে, যেগুলো ৬০ ডিবি থেকে শুরু করে ১২০ ডিবি পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করে। সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের হর্ন শব্দদূষণের এবং স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া হঠাৎ হর্ন বাজানোর ফলে মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়। এই ভীতি মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। যা কোনো সুস্থ মানুষের জন্যই সুখকর নয়।

অহেতুক হর্ন বাজানো বন্ধ করতে আমাদের সবার যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। যে গাড়িতে যে হর্ন দরকার তাই ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি চালকের পাশাপাশি মালিকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনেরও এ দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

আজহার মাহমুদ

খুলশী, চট্টগ্রাম

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: অহেতুক গাড়ির হর্ন কেন?

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ০৫ জুলাই ২০২১

শব্দদূষণ এই সময়ের জন্য মারাত্মক একটি সমস্যা। এই সমস্যার প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে সড়কে অহেতুক হর্ন বাজানো। সড়কে চলাফেরা করার সময় দূরপাল্লার বাস-ট্রাকের হর্নে এখন কান পাতা দায়। এসবের অধিকাংশই হাইড্রোলিক হর্ন। সিএনজি, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস এমনকি মোটরচালিত রিকশায়ও এখন উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহার করে। যানবহানে হর্ন ব্যবহারে কারও আপত্তি নেই। কিন্তু অহেতুক হর্ন কেন বাজবে ? সামনে পেছনে কোনো গাড়ি নেই, কিন্তু হর্ন বাজছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ প্রয়োজন।

বর্তমান সময়ে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেন বাজিয়ে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়িও চলাচল করে। অনেক সময় দেখা যায় অ্যাম্বুলেন্সে কোন রোগী নেই, কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সটির সাইরেন বাজছে অনবরত।

একজন সুস্থ মানুষ ২০ থেকে ২০, ০০০ স্পন্দনের শব্দ শুনতে পারে। মানুষের শব্দ গ্রহণের স্বাভাবিক মাত্রা ৪০-৫০ ডিবি পর্যন্ত। এমন অনেক হর্ন রয়েছে, যেগুলো ৬০ ডিবি থেকে শুরু করে ১২০ ডিবি পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করে। সাধারণত ৬০ ডিবি শব্দ মানুষকে সাময়িকভাবে এবং ১০০ ডিবি শব্দ সম্পূর্ণ বধিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের হর্ন শব্দদূষণের এবং স্বাস্থ্যহানির অন্যতম কারণ। এ ছাড়া হঠাৎ হর্ন বাজানোর ফলে মানুষের মনে ভীতির সৃষ্টি হয়। এই ভীতি মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। যা কোনো সুস্থ মানুষের জন্যই সুখকর নয়।

অহেতুক হর্ন বাজানো বন্ধ করতে আমাদের সবার যার যার অবস্থান থেকে সচেতন হতে হবে। যে গাড়িতে যে হর্ন দরকার তাই ব্যবহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে গাড়ি চালকের পাশাপাশি মালিকদেরও সতর্ক হওয়া উচিত। তাছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসনেরও এ দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন।

আজহার মাহমুদ

খুলশী, চট্টগ্রাম

back to top