মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
করোনার প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমেছে। এবার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে কাঁচা চামড়া সরবরাহও কম হবে বলে আশঙ্কা চামড়া ব্যবসায়ীদের। এরপর করোনায় দেশে-বিদেশে প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা কমেছে। এ দেশের ট্যানারিগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই পুরনো অর্ডার বাতিল করা হচ্ছে। নতুন অর্ডার নেই বললেই চলে। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে গতবার ঈদে সংগ্রহ করা চামড়া পড়ে আছে। ফলে গুণগত মান কমেছে। এসব পণ্য এখন বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। গত ২০ বছরেও বাংলাদেশের চামড়া খাত এত খারাপ অবস্থায় পড়েনি। আমাদের দেশের চামড়া খাতের প্রধান বাজার ইউরোপ। গত এক বছরের বেশি সময় ইউরোপের প্রতিটা দেশে কমবেশি লকডাউন ছিল। গত এপ্রিল-মে ইউরোপের কোন কোন দেশ লকডাউন তুলে নেয়া শুরু করলে আবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়ায় জুনের শেষ থেকে লকডাউন দেয়া শুরু করেছে। চীন, আমেরিকাও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার কারখানাগুলোও নতুন পণ্য কিনতে আগ্রহী নয়।
তৈরি পোশাক শিল্পের পরে সবচেয়ে জনসম্পৃক্ত খাত চামড়া শিল্প। দেশের চামড়া খাত মূলত রপ্তানি নির্ভর। করোনার আগের অনেক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে বিদেশিরা। জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোরও তাই এরকম হতাশায় দিন কাটছে।
আর্থিক সংকটে থাকা চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরের মতো এবারেও চামড়া কিনতে ঋণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে শর্ত থাকে আগের বছরের দেয়া ঋণের যতটা পরিশোধ করে ততটা পরের বছর ঋণ হিসেবে দেয়া হয়। এবারে করোনার কারণে এখনো পর্যন্ত আগের বছরের ঋণের অর্ধেকও পরিশোধ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে আশাবাদ রাখা যায় সংশ্লিষ্টবিষয়গুলোকে পর্যালোচনায় রেখে শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পের এই দশা থেকে মুক্ত করবেন।
তারেক তানভীর
চট্টগ্রাম
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১
করোনার প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমেছে। এবার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে কাঁচা চামড়া সরবরাহও কম হবে বলে আশঙ্কা চামড়া ব্যবসায়ীদের। এরপর করোনায় দেশে-বিদেশে প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা কমেছে। এ দেশের ট্যানারিগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই পুরনো অর্ডার বাতিল করা হচ্ছে। নতুন অর্ডার নেই বললেই চলে। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে গতবার ঈদে সংগ্রহ করা চামড়া পড়ে আছে। ফলে গুণগত মান কমেছে। এসব পণ্য এখন বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। গত ২০ বছরেও বাংলাদেশের চামড়া খাত এত খারাপ অবস্থায় পড়েনি। আমাদের দেশের চামড়া খাতের প্রধান বাজার ইউরোপ। গত এক বছরের বেশি সময় ইউরোপের প্রতিটা দেশে কমবেশি লকডাউন ছিল। গত এপ্রিল-মে ইউরোপের কোন কোন দেশ লকডাউন তুলে নেয়া শুরু করলে আবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়ায় জুনের শেষ থেকে লকডাউন দেয়া শুরু করেছে। চীন, আমেরিকাও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার কারখানাগুলোও নতুন পণ্য কিনতে আগ্রহী নয়।
তৈরি পোশাক শিল্পের পরে সবচেয়ে জনসম্পৃক্ত খাত চামড়া শিল্প। দেশের চামড়া খাত মূলত রপ্তানি নির্ভর। করোনার আগের অনেক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে বিদেশিরা। জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোরও তাই এরকম হতাশায় দিন কাটছে।
আর্থিক সংকটে থাকা চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরের মতো এবারেও চামড়া কিনতে ঋণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে শর্ত থাকে আগের বছরের দেয়া ঋণের যতটা পরিশোধ করে ততটা পরের বছর ঋণ হিসেবে দেয়া হয়। এবারে করোনার কারণে এখনো পর্যন্ত আগের বছরের ঋণের অর্ধেকও পরিশোধ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে আশাবাদ রাখা যায় সংশ্লিষ্টবিষয়গুলোকে পর্যালোচনায় রেখে শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পের এই দশা থেকে মুক্ত করবেন।
তারেক তানভীর
চট্টগ্রাম