alt

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: করোনায় স্থবির চামড়া শিল্প, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে

: সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

করোনার প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমেছে। এবার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে কাঁচা চামড়া সরবরাহও কম হবে বলে আশঙ্কা চামড়া ব্যবসায়ীদের। এরপর করোনায় দেশে-বিদেশে প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা কমেছে। এ দেশের ট্যানারিগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই পুরনো অর্ডার বাতিল করা হচ্ছে। নতুন অর্ডার নেই বললেই চলে। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে গতবার ঈদে সংগ্রহ করা চামড়া পড়ে আছে। ফলে গুণগত মান কমেছে। এসব পণ্য এখন বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। গত ২০ বছরেও বাংলাদেশের চামড়া খাত এত খারাপ অবস্থায় পড়েনি। আমাদের দেশের চামড়া খাতের প্রধান বাজার ইউরোপ। গত এক বছরের বেশি সময় ইউরোপের প্রতিটা দেশে কমবেশি লকডাউন ছিল। গত এপ্রিল-মে ইউরোপের কোন কোন দেশ লকডাউন তুলে নেয়া শুরু করলে আবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়ায় জুনের শেষ থেকে লকডাউন দেয়া শুরু করেছে। চীন, আমেরিকাও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার কারখানাগুলোও নতুন পণ্য কিনতে আগ্রহী নয়।

তৈরি পোশাক শিল্পের পরে সবচেয়ে জনসম্পৃক্ত খাত চামড়া শিল্প। দেশের চামড়া খাত মূলত রপ্তানি নির্ভর। করোনার আগের অনেক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে বিদেশিরা। জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোরও তাই এরকম হতাশায় দিন কাটছে।

আর্থিক সংকটে থাকা চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরের মতো এবারেও চামড়া কিনতে ঋণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে শর্ত থাকে আগের বছরের দেয়া ঋণের যতটা পরিশোধ করে ততটা পরের বছর ঋণ হিসেবে দেয়া হয়। এবারে করোনার কারণে এখনো পর্যন্ত আগের বছরের ঋণের অর্ধেকও পরিশোধ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে আশাবাদ রাখা যায় সংশ্লিষ্টবিষয়গুলোকে পর্যালোচনায় রেখে শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পের এই দশা থেকে মুক্ত করবেন।

তারেক তানভীর

চট্টগ্রাম

ছবি

বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পের ভূমিকা

দুর্যোগ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি

ছবি

সোনালি পাটের প্রয়োজনীয়তা

কালীকচ্ছের ধর্মতীর্থ বধ্যভূমিতে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবি

চিঠি : হলে খাবারের মান উন্নত করুন

চিঠি : স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ে ডিপ্লোমাধারীদের বৈষম্য দূর করুন

চিঠি : শিক্ষার মান উন্নয়ন চাই

চিঠি : সড়ক আইন বাস্তবায়ন করুন

চিঠি : রাস্তায় বাইক সন্ত্রাস

চিঠি : কঠিন হয়ে পড়ছে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতা

চিঠি : ডিসেম্বরের স্মৃতি

চিঠি : টেকসই ও সাশ্রয়ী ক্লিন এনার্জি

চিঠি : নকল গুড় জব্দ হোক

চিঠি : সড়কে বাড়ছে লেন ঝরছে প্রাণ

চিঠি : ঢাকাবাসীর কাছে মেট্রোরেল আশীর্বাদ

চিঠি : কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি

চিঠি : পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস চাই

চিঠি : তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগান

চিঠি : এইডস থেকে বাঁচতে সচেতন হোন

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ হোক

চিঠি : হাসুন, সুস্থ থাকুন

চিঠি : হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হোক

চিঠি : রাজনীতিতে তরুণ সমাজের অংশগ্রহণ

চিঠি : মাদককে ‘না’ বলুন

চিঠি : পুনরুন্নয়ন প্রকল্প : পাল্টে যাবে পুরান ঢাকা

চিঠি : শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান

চিঠি : চন্দ্রগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চাই

চিঠি : বাড়ছে বাল্যবিয়ে

চিঠি : টিকটকের অপব্যবহার রোধ করতে হবে

চিঠি : আত্মবিশ্বাস ও আস্থা

চিঠি : শিক্ষকরা কি প্রকৃত মর্যাদা পাচ্ছে

চিঠি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সম্প্রীতি চাই

চিঠি : সকালে ও বিকেলে মেট্রোরেল চলুক

চিঠি : অতিথি পাখি নিধন বন্ধ করতে হবে

চিঠি : ঢাবি’র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার আধুনিকায়ন করা হোক

চিঠি : নিত্যপণ্যের দাম

tab

চিঠিপত্র

চিঠিপত্র: করোনায় স্থবির চামড়া শিল্প, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন

সোমবার, ১৯ জুলাই ২০২১

করোনার প্রভাবে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমেছে। এবার কোরবানির পশু বিক্রি হচ্ছে কম। ফলে কাঁচা চামড়া সরবরাহও কম হবে বলে আশঙ্কা চামড়া ব্যবসায়ীদের। এরপর করোনায় দেশে-বিদেশে প্রক্রিয়াজাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা কমেছে। এ দেশের ট্যানারিগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই পুরনো অর্ডার বাতিল করা হচ্ছে। নতুন অর্ডার নেই বললেই চলে। বিক্রি করতে না পেরে চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে গতবার ঈদে সংগ্রহ করা চামড়া পড়ে আছে। ফলে গুণগত মান কমেছে। এসব পণ্য এখন বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। গত ২০ বছরেও বাংলাদেশের চামড়া খাত এত খারাপ অবস্থায় পড়েনি। আমাদের দেশের চামড়া খাতের প্রধান বাজার ইউরোপ। গত এক বছরের বেশি সময় ইউরোপের প্রতিটা দেশে কমবেশি লকডাউন ছিল। গত এপ্রিল-মে ইউরোপের কোন কোন দেশ লকডাউন তুলে নেয়া শুরু করলে আবার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেখা দেয়ায় জুনের শেষ থেকে লকডাউন দেয়া শুরু করেছে। চীন, আমেরিকাও করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত। সেখানকার কারখানাগুলোও নতুন পণ্য কিনতে আগ্রহী নয়।

তৈরি পোশাক শিল্পের পরে সবচেয়ে জনসম্পৃক্ত খাত চামড়া শিল্প। দেশের চামড়া খাত মূলত রপ্তানি নির্ভর। করোনার আগের অনেক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছে বিদেশিরা। জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোরও তাই এরকম হতাশায় দিন কাটছে।

আর্থিক সংকটে থাকা চামড়া ব্যবসায়ীরা প্রতি বছরের মতো এবারেও চামড়া কিনতে ঋণ পাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তবে শর্ত থাকে আগের বছরের দেয়া ঋণের যতটা পরিশোধ করে ততটা পরের বছর ঋণ হিসেবে দেয়া হয়। এবারে করোনার কারণে এখনো পর্যন্ত আগের বছরের ঋণের অর্ধেকও পরিশোধ করতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। তবে আশাবাদ রাখা যায় সংশ্লিষ্টবিষয়গুলোকে পর্যালোচনায় রেখে শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া শিল্পের এই দশা থেকে মুক্ত করবেন।

তারেক তানভীর

চট্টগ্রাম

back to top