বাগেরহাটের চিতলামরী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু জাকিয়া আক্তার (১২)কে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে কালিম শেখ (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. এসএম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে সোমবার (১৬ মে) দুপুরে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদ-াদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক। দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কালিম শেখ চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ঠাণ্ডা শেখের ছেলে। আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ১৮ মে বিকেলে জাকিয়াকে পার্শ্ববর্তী কালিম শেখ তালের শাস খাওয়ার কথা বলে ডেকে নির্জনে নিয়ে যায়। পরে তাকে বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নাজির শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জাকিয়াকে না পেয়ে পরের দিন ভোরে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে জাকিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯ মে রাতে জাকিয়ার পিতা আবদুল কাদের বাদী হয়ে কালিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার তৎকালীন এসআই একরাম হোসেন ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কালিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান ও বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সোমবার, ১৬ মে ২০২২
বাগেরহাটের চিতলামরী উপজেলার চাঞ্চল্যকর শিশু জাকিয়া আক্তার (১২)কে ধর্ষণের পর হত্যার অপরাধে কালিম শেখ (৩০) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. এসএম সাইফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে সোমবার (১৬ মে) দুপুরে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদ-াদেশ প্রদান করেন বিজ্ঞ বিচারক। দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কালিম শেখ চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের ঠাণ্ডা শেখের ছেলে। আদালত সূত্রে মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ১৮ মে বিকেলে জাকিয়াকে পার্শ্ববর্তী কালিম শেখ তালের শাস খাওয়ার কথা বলে ডেকে নির্জনে নিয়ে যায়। পরে তাকে বড়বাড়িয়া মধ্যপাড়া এলাকার নাজির শেখের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণের পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে জাকিয়াকে না পেয়ে পরের দিন ভোরে ওই পরিত্যক্ত ঘর থেকে জাকিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৯ মে রাতে জাকিয়ার পিতা আবদুল কাদের বাদী হয়ে কালিমকে আসামি করে চিতলমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার তৎকালীন এসআই একরাম হোসেন ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক কালিমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান ও বাকি ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আদালতের রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।