alt

opinion » editorial

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতির অবসান হোক

: শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। গণপিটুনি আমাদের সমাজে একটি মামুলি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ অপসংস্কৃতি আইনের শাসনের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গরু চুরি কিংবা অন্য কোনো অপরাধের জন্য মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার মানসিকতা একদিকে যেমন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, তেমনি আইনের শাসনের প্রতি অনাস্থাও প্রকাশ করে।

এবারের ঘটনায় দেখা যাচ্ছেÑ দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী গরু চুরির সমস্যায় ভুগছিলেন। এজন্য তারা রাত জেগে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। চুরি ঠেকাতে কেউ স্বেচ্ছায় পাহারা দিতে পারেন, তবে কুকুর ডাকার শব্দে চোর সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে ধাওয়া করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাধীর বিচার ও শাস্তি নির্ধারণের জন্য দেশে আইন-আদালত রয়েছে। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বা রাগ ও উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

আমাদের সমাজে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাব একটি উদ্বেগজনক বিষয়। গণপিটুনির ঘটনা কেন ঘটে সেটা একটা প্রশ্ন। নানান কারণে মানুষ আইনি সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে সংশয়ে থাকে। আইন-আদালতের দ্বারস্থ হলে ন্যায়বিচার মিলবে না- এমন ধারণা পোষণ করা মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ ধারণা অনেককে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে প্ররোচিত করে। আমরা বলতে চাই, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনো সমাধান নয়; বরং এটি সমাজে আরো বেশি সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে।

কোথাও কোনো অপরাধ ঘটলে সেক্ষেত্রে নাগরিকদের দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা, যাতে অপরাধীকে যথাযথ আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা যায়। একজন অপরাধীরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আছে। গণপিটুনির মতো বর্বরোচিত ঘটনা মানবাধিকারের মৌলিক ধারণাগুলোর পরিপন্থি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করা সমাজের সব মানুষের দায়িত্ব।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। জনগণকে আইন মেনে চলার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। জনগণ তখন আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ হবে যখন তারা দেখবে যে, দেশের আইন-আদালত ঠিকঠাক কাজ করছে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতির অবসান হোক

শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

নড়াইলে গরু চোর সন্দেহে তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক। গণপিটুনি আমাদের সমাজে একটি মামুলি বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ অপসংস্কৃতি আইনের শাসনের ধারণাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গরু চুরি কিংবা অন্য কোনো অপরাধের জন্য মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করার মানসিকতা একদিকে যেমন মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন, তেমনি আইনের শাসনের প্রতি অনাস্থাও প্রকাশ করে।

এবারের ঘটনায় দেখা যাচ্ছেÑ দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী গরু চুরির সমস্যায় ভুগছিলেন। এজন্য তারা রাত জেগে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। চুরি ঠেকাতে কেউ স্বেচ্ছায় পাহারা দিতে পারেন, তবে কুকুর ডাকার শব্দে চোর সন্দেহে তিন ব্যক্তিকে ধাওয়া করে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরাধীর বিচার ও শাস্তি নির্ধারণের জন্য দেশে আইন-আদালত রয়েছে। সন্দেহের বশবর্তী হয়ে বা রাগ ও উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতি দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

আমাদের সমাজে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থার অভাব একটি উদ্বেগজনক বিষয়। গণপিটুনির ঘটনা কেন ঘটে সেটা একটা প্রশ্ন। নানান কারণে মানুষ আইনি সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারে সংশয়ে থাকে। আইন-আদালতের দ্বারস্থ হলে ন্যায়বিচার মিলবে না- এমন ধারণা পোষণ করা মানুষের সংখ্যা কম নয়। এ ধারণা অনেককে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে প্ররোচিত করে। আমরা বলতে চাই, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনো সমাধান নয়; বরং এটি সমাজে আরো বেশি সহিংসতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করে।

কোথাও কোনো অপরাধ ঘটলে সেক্ষেত্রে নাগরিকদের দায়িত্ব হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করা, যাতে অপরাধীকে যথাযথ আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা যায়। একজন অপরাধীরও আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার আছে। গণপিটুনির মতো বর্বরোচিত ঘটনা মানবাধিকারের মৌলিক ধারণাগুলোর পরিপন্থি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে অপরাধীদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের সম্মুখীন করা সমাজের সব মানুষের দায়িত্ব।

আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো দরকার। জনগণকে আইন মেনে চলার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। এজন্য দেশে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। জনগণ তখন আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ হবে যখন তারা দেখবে যে, দেশের আইন-আদালত ঠিকঠাক কাজ করছে।

back to top