alt

সম্পাদকীয়

আবারও রক্ত ঝরল পাহাড়ে

: রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

গত বুধবার খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা শুধু তিনটি জীবনকেই শেষ করেনি, বরং পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রত্যাশাকেও গভীরভাবে আঘাত করেছে।

ইউপিডিএফ এই হত্যাকা-ের জন্য ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করলেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হত্যাকা- ঘটেছে।

ইউপিডিএফ অভিযোগ করে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।

পাহাড়ে কোনো সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পারস্পরিক দোষারোপের এই সংস্কৃতি নতুন নয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে শুধু বিভ্রান্তই করা হয়। পাহাড়ে শান্তি আর ফেরে না।

পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলে সহিংসতার কারণগুলোর পেছনে জটিল ও বহুস্তরীয় সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা রয়েছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থে একটি টেকসই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যদিও একটি শান্তিচুক্তি হয়েছে, তবে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার একটি ব্যাপক ও সহমর্মিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালি সেটেলারদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভেদ রয়েছে। মূলত, ভূমি অধিকার, সম্পদ ভাগাভাগি এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে এই বিভেদ তৈরি হয়েছে। ভূমির অধিকার সেখানে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। স্থানীয় অধিবাসীরা মনে করেন, তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি ও সম্পদ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা সেখানকার দ্বন্দ্বের একটি বড় কারণ।

পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠনও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত। একাধিক সংগঠন পার্বত্য অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাদের পারস্পরিক ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রায়ই সহিংসতায় রূপ নেয়। যার খেসারত অনেক সময় দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।

পাহাড়ের শান্তি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বাহিনীর ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ। অনেক সময় পার্বত্য এলাকায় সহিংসতার পর যথাযথ তদন্ত ও বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ফলে সহিংসতা আরও উৎসাহিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

পার্বত্য এলাকায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমি অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। এজন্য একটি ব্যাপক ও সমন্বিত ভূমি সংস্কার প্রয়োজন। জমির মালিকানার বিষয়ে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব কমানো যেতে পারে। ভূমির স্বত্ব নিয়ে স্পষ্ট নীতিমালা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য অধিকারের নিশ্চয়তা দিলে পারস্পরিক আস্থা তৈরি হতে পারে।

কারিগরি শিক্ষায় নজর দিন

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

কৃষিপণ্য পরিবহনে রেল ব্যবহারের সুবিধা আরও বাড়াতে হবে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ¬চলে যাচ্ছে

পাখির বাসস্থান সংরক্ষণে চাই সামাজিক উদ্যোগ

খেলনায় সিসা : শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি দূর করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে

আইন হাতে তুলে নেওয়ার অপসংস্কৃতির অবসান হোক

বর্জ্যে বিপন্ন করতোয়া

নারী ফুটবলের মুকুটে আরেকটি পালক

সরকারি সম্পদের অপব্যবহার নয়

সার সংকটের অভিযোগ আমলে নিন

জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করুন

তিতাস গ্যাসের অবৈধ সংযোগ টেকসইভাবে বিচ্ছিন্ন করতে হবে

ফুটপাত দখলমুক্ত হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পুলিশের মনোবল ফেরানো জরুরি

মৌসুমি অসুখ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

মেলা আয়োজনে বাধা কেন

এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি সফল হোক

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন

ধোপাজান নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নিন

চলনবিলে পাখি শিকার : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিদের অভিযোগ আমলে নিন

অপরিকল্পিত উন্নয়নে বন-জলাশয়ের বিপর্যয়

নওগাঁয় আমন ধানে পচন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ান

কিশোরকে গাছে বেঁধে নির্যাতন : নৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি

সংরক্ষিত বনভূমিতে অবৈধ বালু উত্তোলন

মতপ্রকাশের কারণে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি!

আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির প্রকল্প : একটি ভালো উদ্যোগ

মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা : জেলেদের খাদ্য সহায়তার ঘাটতি ও সমাধানের পথ

দারিদ্র্যের উদ্বেগজনক চিত্র

চড়া বাজারের চাপে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস

স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন জনবল সংকট দূর করুন

উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশ রক্ষা করে

নদীর পাড় দখল : পরিবেশ এবং সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি

tab

সম্পাদকীয়

আবারও রক্ত ঝরল পাহাড়ে

রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

গত বুধবার খাগড়াছড়ির পানছড়িতে আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফের তিন কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনা শুধু তিনটি জীবনকেই শেষ করেনি, বরং পাহাড়ে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রত্যাশাকেও গভীরভাবে আঘাত করেছে।

ইউপিডিএফ এই হত্যাকা-ের জন্য ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিককে দায়ী করলেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই হত্যাকা- ঘটেছে।

ইউপিডিএফ অভিযোগ করে বলেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষায় সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।

পাহাড়ে কোনো সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পারস্পরিক দোষারোপের এই সংস্কৃতি নতুন নয়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে শুধু বিভ্রান্তই করা হয়। পাহাড়ে শান্তি আর ফেরে না।

পাহাড়ের মানুষের নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলে সহিংসতার কারণগুলোর পেছনে জটিল ও বহুস্তরীয় সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতা রয়েছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর স্বার্থে একটি টেকসই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। যদিও একটি শান্তিচুক্তি হয়েছে, তবে তার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার একটি ব্যাপক ও সহমর্মিতামূলক দৃষ্টিভঙ্গি।

পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি ও বাঙালি সেটেলারদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভেদ রয়েছে। মূলত, ভূমি অধিকার, সম্পদ ভাগাভাগি এবং প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণকে ঘিরে এই বিভেদ তৈরি হয়েছে। ভূমির অধিকার সেখানে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। স্থানীয় অধিবাসীরা মনে করেন, তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি ও সম্পদ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা সেখানকার দ্বন্দ্বের একটি বড় কারণ।

পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠনও ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত। একাধিক সংগঠন পার্বত্য অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। তাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা রয়েছে। তাদের পারস্পরিক ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রায়ই সহিংসতায় রূপ নেয়। যার খেসারত অনেক সময় দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।

পাহাড়ের শান্তি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও বাহিনীর ভূমিকা অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্নবিদ্ধ। অনেক সময় পার্বত্য এলাকায় সহিংসতার পর যথাযথ তদন্ত ও বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। ফলে সহিংসতা আরও উৎসাহিত হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

পার্বত্য এলাকায় টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ভূমি অধিকার সুরক্ষা করতে হবে। এজন্য একটি ব্যাপক ও সমন্বিত ভূমি সংস্কার প্রয়োজন। জমির মালিকানার বিষয়ে একটি সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমে দ্বন্দ্ব কমানো যেতে পারে। ভূমির স্বত্ব নিয়ে স্পষ্ট নীতিমালা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য অধিকারের নিশ্চয়তা দিলে পারস্পরিক আস্থা তৈরি হতে পারে।

back to top