alt

সম্পাদকীয়

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

: মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা দেশে সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ। পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ওপর হামলা-আক্রমণ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ আগস্টের পর দেশের অন্তত ২২ জেলা ও উপজেলার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এমন নয় যে, শিল্প-সংস্কৃতির ওপর অতীতে হামলা হয়নি। তবে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের শিল্প-সংস্কৃতি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নাগরিকদের বিচলিত করেছে। সব বৈষম্যের অবসান ঘটানোর আকাক্সক্ষা নিয়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে গুটিকয়েক লোকের কারণে শিল্প-সংস্কৃতি আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকজন লোক শিল্পকলায় গিয়ে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছে। চট্টগ্রামে ‘ব্যবসায়ী ও তৌহিদি জনতা’র বাধায় একটি শোরুম উদ্বোধন করতে পারেননি অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। অথচ তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এসব ঘটনা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কোনো শুভ সংকেত দিচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে জোরজবরদস্তি করছে। সমাজের সব অংশের সব মানুষ সমানভাবে সবকিছু পছন্দ করবে নাÑ সেটা স্বাভাবিক। তবে নিজেদের পছন্দ নয় বলে কোনো একটি গোষ্ঠী কারও সংস্কৃতিচর্চায় বিঘœ ঘটাবে, জোর করে সংস্কৃতিচর্চা বন্ধ করবে সেটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। এসবের জন্য একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। শিল্প-সংস্কৃতিবিরোধী কর্মকা-ের সঙ্গে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার নিন্দা জানিয়েছে। সরকার বলেছে, তারা এ ধরনের ঘটনাকে সর্মথন করে না। আমরা বলতে চাই, কেবল মুখের কথায় দায় সারলে চলবে না। নাটক বন্ধের ঘটনা কেন ঘটেছে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের সব ঘটনার বিচার করতে হবে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

দেশে অবাধ সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ সরকারকেই সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো বাধা যেন না আসে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। দেশে কোনো কারণে সংস্কৃতি চর্চা বা স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হোক সেটা আমরা চাই না।

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

লাইসেন্সবিহীন ফার্মেসি : জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি

পরিযায়ী পাখি রক্ষা করতে হবে

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে উপকূল

সেতুগুলো চলাচল উপযোগী করুন

ব্যাটারিচালিত রিকশা : সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে

বীজ আলুর বাড়তি দামে কৃষকের হতাশা

টেকসই স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসক সংকট দূর করা জরুরি

সাময়িকী কবিতা

ফলে রাসায়নিক ব্যবহার : জনস্বাস্থ্যের প্রতি হুমকি

নারায়ণগঞ্জে লালন মেলা আয়োজনে বাধা, কেন?

গৌরীপুরের রেলস্টেশনের বেহাল দশা : পরিকল্পনার অভাবে হারাচ্ছে সম্ভাবনা

বোরো চাষে জলাবদ্ধতার সংকট : খুলনাঞ্চলে কৃষির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

অযত্ন-অবহেলায় বেহাল রায়পুর উপজেলা প্রশাসন শিশুপার্ক

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা কাম্য নয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

tab

সম্পাদকীয়

নাটক বন্ধে জোরজবরদস্তি : এই অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে

মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৪

ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেয়ার ঘটনা দেশে সংস্কৃতিচর্চার ক্ষেত্রে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে নারাজ। পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের শিল্প-সংস্কৃতির ওপর হামলা-আক্রমণ ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ আগস্টের পর দেশের অন্তত ২২ জেলা ও উপজেলার শিল্পকলা একাডেমিতে হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এমন নয় যে, শিল্প-সংস্কৃতির ওপর অতীতে হামলা হয়নি। তবে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের শিল্প-সংস্কৃতি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নাগরিকদের বিচলিত করেছে। সব বৈষম্যের অবসান ঘটানোর আকাক্সক্ষা নিয়ে গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে গুটিকয়েক লোকের কারণে শিল্প-সংস্কৃতি আক্রান্ত হচ্ছে। কয়েকজন লোক শিল্পকলায় গিয়ে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধ করে দিয়েছে। চট্টগ্রামে ‘ব্যবসায়ী ও তৌহিদি জনতা’র বাধায় একটি শোরুম উদ্বোধন করতে পারেননি অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। অথচ তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন।

এসব ঘটনা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কোনো শুভ সংকেত দিচ্ছে না। দেখা যাচ্ছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে জোরজবরদস্তি করছে। সমাজের সব অংশের সব মানুষ সমানভাবে সবকিছু পছন্দ করবে নাÑ সেটা স্বাভাবিক। তবে নিজেদের পছন্দ নয় বলে কোনো একটি গোষ্ঠী কারও সংস্কৃতিচর্চায় বিঘœ ঘটাবে, জোর করে সংস্কৃতিচর্চা বন্ধ করবে সেটা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। এসবের জন্য একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। শিল্প-সংস্কৃতিবিরোধী কর্মকা-ের সঙ্গে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

শিল্পকলা একাডেমিতে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার নিন্দা জানিয়েছে। সরকার বলেছে, তারা এ ধরনের ঘটনাকে সর্মথন করে না। আমরা বলতে চাই, কেবল মুখের কথায় দায় সারলে চলবে না। নাটক বন্ধের ঘটনা কেন ঘটেছে সেটা তদন্ত করে দেখতে হবে। শিল্প-সংস্কৃতির ওপর আক্রমণের সব ঘটনার বিচার করতে হবে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

দেশে অবাধ সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ সরকারকেই সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো বাধা যেন না আসে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে। দেশে কোনো কারণে সংস্কৃতি চর্চা বা স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ সংকুচিত হোক সেটা আমরা চাই না।

back to top