alt

opinion » editorial

বীজ ও সার নিয়ে আলুচাষিদের উদ্বেগ দূর করুন

: বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে আলু চাষ বেশ জনপ্রিয়। এই অঞ্চলের কৃষকেরা আলু চাষে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছেন। দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে ৪৭,৫০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ২,০০০ হেক্টর বেশি জমি। আলু চাষে উৎসাহ থাকলেও কিছু সমস্যা সেখানকার কৃষকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষকদের উদ্বেগের বড় কারণ বীজ ও সার। আলু আবাদে পর্যাপ্ত ও গুণগতমানসম্পন্ন বীজ অপরিহার্য। এ বছর দিনাজপুরে বীজ আলুর মোট চাহিদা ছিল ৭৭,০০০ টন, কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মাত্র ৫১৩ টন আগাম জাতের এবং ২,৭৬৩ টন সাধারণ বীজ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। কৃষকরা জানাচ্ছেন, সরকারি উৎস থেকে বীজের প্রাপ্যতা সীমিত থাকায় বাজারে বীজের দাম বেড়েছে। কিছু ডিলার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বীজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কৃষকদের বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে বীজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে, যা তাদের উৎপাদন খরচ বায়িড়ে দিচ্ছে। এর আগে রাজশাহীতেও কৃষককে বাড়তি দামে আলুর বীজ কিনতে হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাড়লে কৃষক কতটা লাভের মুখ দেখবেন সেটা একটা প্রশ্ন।

বাজারে করপোরেট বীজ কোম্পানিগুলোর প্যাকেটজাত বীজ উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে, এবং এসব প্রতিষ্ঠানের বীজের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে কৃষকদের অভিযোগ। সরকারি বীজ সংকটের কারণে কৃষকরা এদের কাছ থেকে বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকের পক্ষে এই বীজ সংগ্রহ করা কঠিন। এ পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে বীজ সরবরাহ বাড়ানো জরুরি, যাতে কৃষকেরা ন্যায্য দামে বীজ পেতে পারেন।

সারের সংকটও আলুচাষে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় সার, যেমন এমওপি, টিএসপি, ডিএপি, ফসফেট, সুপার ফসফেট, ইউরিয়া, প্রায় সবক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি দামে কৃষকদের কিনতে হচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, আলুচাষিদের মধ্যে পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বীজ ও সারের বাজার যেন কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ বীজ ও সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বীজ ও সার নিয়ে আলুচাষিদের উদ্বেগ দূর করুন

বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে আলু চাষ বেশ জনপ্রিয়। এই অঞ্চলের কৃষকেরা আলু চাষে উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছেন। দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে ৪৭,৫০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় ২,০০০ হেক্টর বেশি জমি। আলু চাষে উৎসাহ থাকলেও কিছু সমস্যা সেখানকার কৃষকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কৃষকদের উদ্বেগের বড় কারণ বীজ ও সার। আলু আবাদে পর্যাপ্ত ও গুণগতমানসম্পন্ন বীজ অপরিহার্য। এ বছর দিনাজপুরে বীজ আলুর মোট চাহিদা ছিল ৭৭,০০০ টন, কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) মাত্র ৫১৩ টন আগাম জাতের এবং ২,৭৬৩ টন সাধারণ বীজ সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। কৃষকরা জানাচ্ছেন, সরকারি উৎস থেকে বীজের প্রাপ্যতা সীমিত থাকায় বাজারে বীজের দাম বেড়েছে। কিছু ডিলার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বেশি দামে বীজ বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে কৃষকদের বাধ্য হয়ে বেশি দাম দিয়ে বীজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে, যা তাদের উৎপাদন খরচ বায়িড়ে দিচ্ছে। এর আগে রাজশাহীতেও কৃষককে বাড়তি দামে আলুর বীজ কিনতে হয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাড়লে কৃষক কতটা লাভের মুখ দেখবেন সেটা একটা প্রশ্ন।

বাজারে করপোরেট বীজ কোম্পানিগুলোর প্যাকেটজাত বীজ উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে, এবং এসব প্রতিষ্ঠানের বীজের দাম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে কৃষকদের অভিযোগ। সরকারি বীজ সংকটের কারণে কৃষকরা এদের কাছ থেকে বীজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেক কৃষকের পক্ষে এই বীজ সংগ্রহ করা কঠিন। এ পরিস্থিতিতে সরকারি উদ্যোগে বীজ সরবরাহ বাড়ানো জরুরি, যাতে কৃষকেরা ন্যায্য দামে বীজ পেতে পারেন।

সারের সংকটও আলুচাষে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় সার, যেমন এমওপি, টিএসপি, ডিএপি, ফসফেট, সুপার ফসফেট, ইউরিয়া, প্রায় সবক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় ১০০-১৫০ টাকা বেশি দামে কৃষকদের কিনতে হচ্ছে।

আমরা বলতে চাই, আলুচাষিদের মধ্যে পর্যাপ্ত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। বীজ ও সারের বাজার যেন কোনো কারণে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ বীজ ও সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

back to top