দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আঞ্চলিক মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা এবং ভ্যানের অবাধ চলাচলের প্রভাবে জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের উপর অবৈধ স্ট্যান্ড বসানো এবং যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামার কারণ প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে শুধু যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলই ব্যহত হচ্ছে না, জননিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থানীয় চালকরা অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন। রানীগঞ্জ বাজার, ওসমানপুর বাজার, গাইবান্ধা মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের দুপাশে পার্ক করা অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং সিএনজি যানজটের মূল কারণ হয়ে উঠেছে। নতুন চালকরা সমিতির নামে চাঁদা দিয়ে এই স্ট্যান্ড ব্যবহার করেন। এই চাঁদা আদায় স্থানীয় চালকদের জন্যও ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
সড়ক ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও অব্যবস্থাপনার ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। চলাচলের সুবিধার্থে সম্প্রসারিত সড়কও বর্তমানে জনগণের কোনো সুবিধা দিতে পারছে না। এসব কারণে স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়ছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্যে প্রশাসনিক উদ্যোগের কথা জানা গেলেও, কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবই এই সমস্যার মূল কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারণার প্রয়োজন যেমন রয়েছে, তেমনি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। প্রশাসনকে আরও সজাগ হয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে করে এসব যানবাহনের অবৈধ দখলদারি থেকে সড়ক মুক্ত হয়।
জনগণের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু চলাচলের জন্য অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং সিএনজি, অটোরিকশার কার্যক্রমে নিয়মশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি। স্থানীয়দের অব্যাহত ভোগান্তি দূর করতে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব। সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ঘোড়াঘাটের মানুষ আশ্বস্ত হবে এবং সড়ক ব্যবহারে তারা আবার স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আঞ্চলিক মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, অটোরিকশা এবং ভ্যানের অবাধ চলাচলের প্রভাবে জনজীবনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সড়কের উপর অবৈধ স্ট্যান্ড বসানো এবং যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামার কারণ প্রতিদিনই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এতে শুধু যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলই ব্যহত হচ্ছে না, জননিরাপত্তার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে স্থানীয় চালকরা অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছেন। রানীগঞ্জ বাজার, ওসমানপুর বাজার, গাইবান্ধা মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে সড়কের দুপাশে পার্ক করা অটোরিকশা, ইজিবাইক এবং সিএনজি যানজটের মূল কারণ হয়ে উঠেছে। নতুন চালকরা সমিতির নামে চাঁদা দিয়ে এই স্ট্যান্ড ব্যবহার করেন। এই চাঁদা আদায় স্থানীয় চালকদের জন্যও ভোগান্তির কারণ হয়ে উঠেছে।
সড়ক ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও অব্যবস্থাপনার ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপের অভাবে পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। চলাচলের সুবিধার্থে সম্প্রসারিত সড়কও বর্তমানে জনগণের কোনো সুবিধা দিতে পারছে না। এসব কারণে স্থানীয়দের ক্ষোভ বাড়ছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্যে প্রশাসনিক উদ্যোগের কথা জানা গেলেও, কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবই এই সমস্যার মূল কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারণার প্রয়োজন যেমন রয়েছে, তেমনি অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। প্রশাসনকে আরও সজাগ হয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে করে এসব যানবাহনের অবৈধ দখলদারি থেকে সড়ক মুক্ত হয়।
জনগণের নিরাপত্তা এবং সুষ্ঠু চলাচলের জন্য অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ এবং সিএনজি, অটোরিকশার কার্যক্রমে নিয়মশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি। স্থানীয়দের অব্যাহত ভোগান্তি দূর করতে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ ছাড়া এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব। সড়ক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে ঘোড়াঘাটের মানুষ আশ্বস্ত হবে এবং সড়ক ব্যবহারে তারা আবার স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে পারবে বলে আমরা আশা করতে চাই।