নৌপথে নাব্য সংকট কাটানোর জন্য নদী খনন করা হলেও কাটছে না সমস্যা। আরিচা-কাজিরহাট-বাঘাবাড়ী গত ২৮ জুলাই ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া গত ২৪ শে অক্টোবর হতে বিআইডাব্লিউটিএ খনন কার্যক্রম শুরু করেছে। ভরা বর্ষা মৌসুম থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হলেও নাব্য সংকটের কোন উন্নতি হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত রুটে ফেরিসহ ভারি নৌযান চলাচলে বিঘœ ঘটছে এবং চলাচলরত ফেরিগুলো মাঝে মধ্যেই সৃষ্ট ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচলের জন্য ৯ থেকে ১০ ফুট পানির গভীরতার প্রয়োজন হয়। সেখানে পানির গভীরতা রয়েছে মাত্র আট ফুটের আশপাশে।
চ্যানেলের প্রস্থও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সরু এ নৌ-চ্যানেলের ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে অনেক ডুবোচর। ফলে ফেরিগুলো হাফ লোড নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ডুবো চরে ধাক্কা খেয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলায় ফেরির প্রপেলারের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ফেরিগুলোকে অন্য বিকল্প পথে দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে এবং জ্বালনি খরচও বেশি হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছেÑ খনন যন্ত্রের সাহায্যে নদীর বালু নদীর উজানে ফেলছে যাতে সেই বালু আবার খননের জায়গাতেই এসে পড়ে। এভাবে খনন কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে। নদী পথে খননের আশানুরূপ কোন ফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লুটপাটের মনোভাব, কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার চর্চা না থাকা, নির্দিষ্ট একক কোন প্রতিষ্ঠান না থাকা এবং নৌ-পথের খনন কাজের কোন পরিকল্পিত জরিপ পরীক্ষা ছাড়াই খনন কার্যক্রম করা।
আমরা বলতে চাই, নৌ-পথে পরিকল্পিতভাবে জরিপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খনন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। নদী হতে খনন কৃত বালু বা মাটি যেন নদীতে না ফেলা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট ভাবে একক কোন প্রতিষ্ঠানকে খননের দায়িত্ব দিতে হবে। বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পারে। নদী খননে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়তার সঙ্গে নজরদারি চালাতে হবে।
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪
নৌপথে নাব্য সংকট কাটানোর জন্য নদী খনন করা হলেও কাটছে না সমস্যা। আরিচা-কাজিরহাট-বাঘাবাড়ী গত ২৮ জুলাই ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া গত ২৪ শে অক্টোবর হতে বিআইডাব্লিউটিএ খনন কার্যক্রম শুরু করেছে। ভরা বর্ষা মৌসুম থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হলেও নাব্য সংকটের কোন উন্নতি হয়নি। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উক্ত রুটে ফেরিসহ ভারি নৌযান চলাচলে বিঘœ ঘটছে এবং চলাচলরত ফেরিগুলো মাঝে মধ্যেই সৃষ্ট ডুবোচরে আটকে যাচ্ছে। যেখানে স্বাভাবিকভাবে ফেরি চলাচলের জন্য ৯ থেকে ১০ ফুট পানির গভীরতার প্রয়োজন হয়। সেখানে পানির গভীরতা রয়েছে মাত্র আট ফুটের আশপাশে।
চ্যানেলের প্রস্থও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সরু এ নৌ-চ্যানেলের ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে রয়েছে অনেক ডুবোচর। ফলে ফেরিগুলো হাফ লোড নিয়ে গত দুই সপ্তাহ ধরে ডুবো চরে ধাক্কা খেয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলায় ফেরির প্রপেলারের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ফেরিগুলোকে অন্য বিকল্প পথে দিয়ে চালাতে হচ্ছে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে এবং জ্বালনি খরচও বেশি হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছেÑ খনন যন্ত্রের সাহায্যে নদীর বালু নদীর উজানে ফেলছে যাতে সেই বালু আবার খননের জায়গাতেই এসে পড়ে। এভাবে খনন কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এর ফলে রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হচ্ছে। নদী পথে খননের আশানুরূপ কোন ফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লুটপাটের মনোভাব, কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতার চর্চা না থাকা, নির্দিষ্ট একক কোন প্রতিষ্ঠান না থাকা এবং নৌ-পথের খনন কাজের কোন পরিকল্পিত জরিপ পরীক্ষা ছাড়াই খনন কার্যক্রম করা।
আমরা বলতে চাই, নৌ-পথে পরিকল্পিতভাবে জরিপ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খনন কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি। নদী হতে খনন কৃত বালু বা মাটি যেন নদীতে না ফেলা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুনির্দিষ্ট ভাবে একক কোন প্রতিষ্ঠানকে খননের দায়িত্ব দিতে হবে। বিষয়টি সরকার ভেবে দেখতে পারে। নদী খননে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দৃঢ়তার সঙ্গে নজরদারি চালাতে হবে।