alt

opinion » editorial

চট্টগ্রাম নগরীর পয়োনিষ্কাশনের পথে বাধা দূর করুন

: সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলায় বসবাসরত প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য মহানগরের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চট্টগ্রাম ওয়াসা পয়োনিষ্কাশনের প্রকল্প হাতে নেয়। ১৯৬৩ সালে ওয়াসা সুপেয় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনকাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তা শুধু পানি সরবরাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর ওয়াসা পয়োনিষ্কাশন-প্রকল্প গ্রহণ করে। এই লক্ষ্যে একটি পরিকল্পিত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ২০১৭ সালে প্রণয়ন করেছিল ওয়াসা। কাজের নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে জুন, ২০২৪ পর্যন্ত।

ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দুই ভাগে চলছে প্রকল্পের কাজ। একটি হচ্ছে পাইপলাইন বসানো এবং অপরটি হালিশহরে ট্রিটমেন্ট নির্মাণ। এখন প্রকল্পমেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয় বেড়ে গেছে।

ওয়াসার প্রথম পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও বর্তমানে প্রকল্পটি বাধার মুখে পড়েছে। পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থ বছরে ওয়াসা থেকে চাহিদা দেয়া হয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৫৪৮ কোটি টাকা। যা চাহিদার মাত্র ৪২ শতাংশ। এ কারণে কাজের স্বাভাবিক গতি ঠিক রাখার পরিকল্পনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় এবং প্রকল্পের অধীনে ৬ থেকে ১৪ মিটার গভীরে পয়োপাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তাতে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সুয়্যারেজ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব একাধিকবার একনেক সভা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজ শুরুতেই প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করতে হয় সংস্থাটিকে। চলমান কাজের মধ্যেও নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও মানহীনতার প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে সংস্থাটি পয়নিষ্কাশন নিয়ে প্রথম প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই আরও প্রকল্পের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পয়নিষ্কাশন প্রকল্পের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও মানহীন কাজের অভিযোগ উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, জনস্বার্থমূলক একটি প্রকল্পের কাজে কোন বাধা আসলে সেটা দূর করার উদ্যোগ নেয়াই শ্রেয়। প্রকল্পের প্রয়োজন, কাজের অগ্রগতি ও মান যাচাই করে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা হবে সেটা আমাদের আশা।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

চট্টগ্রাম নগরীর পয়োনিষ্কাশনের পথে বাধা দূর করুন

সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলায় বসবাসরত প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য মহানগরের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে চট্টগ্রাম ওয়াসা পয়োনিষ্কাশনের প্রকল্প হাতে নেয়। ১৯৬৩ সালে ওয়াসা সুপেয় পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশনকাজ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত তা শুধু পানি সরবরাহের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে। দীর্ঘ ৫০ বছর পর ওয়াসা পয়োনিষ্কাশন-প্রকল্প গ্রহণ করে। এই লক্ষ্যে একটি পরিকল্পিত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ২০১৭ সালে প্রণয়ন করেছিল ওয়াসা। কাজের নির্মাণব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়নের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই থেকে জুন, ২০২৪ পর্যন্ত।

ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ওয়াসার পয়োনিষ্কাশনের কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজ ৫৮ শতাংশ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দুই ভাগে চলছে প্রকল্পের কাজ। একটি হচ্ছে পাইপলাইন বসানো এবং অপরটি হালিশহরে ট্রিটমেন্ট নির্মাণ। এখন প্রকল্পমেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যয় বেড়ে গেছে।

ওয়াসার প্রথম পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও বর্তমানে প্রকল্পটি বাধার মুখে পড়েছে। পয়োনিষ্কাশন প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থ বছরে ওয়াসা থেকে চাহিদা দেয়া হয়েছিল ১৩০০ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ৫৪৮ কোটি টাকা। যা চাহিদার মাত্র ৪২ শতাংশ। এ কারণে কাজের স্বাভাবিক গতি ঠিক রাখার পরিকল্পনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। জানা গেছে, চাহিদা অনুযায়ী সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ না দেয়ায় এবং প্রকল্পের অধীনে ৬ থেকে ১৪ মিটার গভীরে পয়োপাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তাতে কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সুয়্যারেজ প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব একাধিকবার একনেক সভা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। কাজ শুরুতেই প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করতে হয় সংস্থাটিকে। চলমান কাজের মধ্যেও নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি ও মানহীনতার প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে সংস্থাটি পয়নিষ্কাশন নিয়ে প্রথম প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই আরও প্রকল্পের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পয়নিষ্কাশন প্রকল্পের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ও মানহীন কাজের অভিযোগ উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, জনস্বার্থমূলক একটি প্রকল্পের কাজে কোন বাধা আসলে সেটা দূর করার উদ্যোগ নেয়াই শ্রেয়। প্রকল্পের প্রয়োজন, কাজের অগ্রগতি ও মান যাচাই করে ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা হবে সেটা আমাদের আশা।

back to top