গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করার দুই ঘণ্টা পর পোশাক শ্রমিকদেরকে আবারও একই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল। এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় ৫২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, কেবল মৌখিক আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরতে চান না। কারণ এর আগেও এমন আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু বেতন আর পাননি। তাদের কথা, বকেয়া তিন মাসের বেতন বুঝে পেলে তবেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।
বকেয়া বেতন ও কারখানা লে-অফ পরবর্তী পাওনা পরিশোধের দাবিতে গতকাল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
বকেয়া বেতনের দাবিতে এর আগেও শ্রমিকদেরকে পথে নামতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিকরা নিয়মিত বেতনাদি দেন না। বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা রক্ষা করেন না। বেতন না পাওয়া শ্রমিকদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটে রাজপথে। এর নেতিবাচক প্রভাব যে কেবল পোশাক কারখানার ওপর পড়ে তা নয়। সাধারণ মানুষের জীবনেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
কিছু পোশাক কারখানায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেক পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বেতন-ভাতা নিয়মিত না পেলে শ্রমিকদের পেট চালানো দায় হয়ে পড়ে। উপায় না দেখে তারা হয়তো পথে নামেন। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ না করলে বা কারখানায় হামলা হলে মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্থহন। আবার সড়ক আটকে রাখলে সাধারণ মানুষেরও কষ্ট হয়। সরকারকেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হয়। দেশের অর্থনীতির জন্য এটা কোনো শুভ বার্তা বহন করে না।
কিছু পোশাক কারখানায় বেতনভাতা নিয়ে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তার একটি যৌক্তিক সুরাহা দ্রুত হওয়া দরকার। শ্রমিক অসন্তোষ দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা শুভকর নয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকেই শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিয়মমাফিক যথা সময়ে দেয়া হবে সেটাই প্রত্যাশিত। কোনো কারণে বেতনাদি বকেয়া হলে সেটা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের পথে নেমে আসবার কথা নয়। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমরা আশা করব, তারা বুঝেশুনে আশ্বাস দেবেন। আরও একবার আশ্বাস দিলে সেটা রক্ষা করবেন।
দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার শ্রমিকদের আছে। তবে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এমন কিছু করা সঙ্গত হবে না যাতেকরে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্থহয়। সরকার-মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলোচনা করবেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে সেই প্রত্যাশা করি।
মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪
গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করার দুই ঘণ্টা পর পোশাক শ্রমিকদেরকে আবারও একই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল। এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় ৫২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, কেবল মৌখিক আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরতে চান না। কারণ এর আগেও এমন আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু বেতন আর পাননি। তাদের কথা, বকেয়া তিন মাসের বেতন বুঝে পেলে তবেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।
বকেয়া বেতন ও কারখানা লে-অফ পরবর্তী পাওনা পরিশোধের দাবিতে গতকাল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
বকেয়া বেতনের দাবিতে এর আগেও শ্রমিকদেরকে পথে নামতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিকরা নিয়মিত বেতনাদি দেন না। বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা রক্ষা করেন না। বেতন না পাওয়া শ্রমিকদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটে রাজপথে। এর নেতিবাচক প্রভাব যে কেবল পোশাক কারখানার ওপর পড়ে তা নয়। সাধারণ মানুষের জীবনেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
কিছু পোশাক কারখানায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেক পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বেতন-ভাতা নিয়মিত না পেলে শ্রমিকদের পেট চালানো দায় হয়ে পড়ে। উপায় না দেখে তারা হয়তো পথে নামেন। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ না করলে বা কারখানায় হামলা হলে মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্থহন। আবার সড়ক আটকে রাখলে সাধারণ মানুষেরও কষ্ট হয়। সরকারকেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হয়। দেশের অর্থনীতির জন্য এটা কোনো শুভ বার্তা বহন করে না।
কিছু পোশাক কারখানায় বেতনভাতা নিয়ে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তার একটি যৌক্তিক সুরাহা দ্রুত হওয়া দরকার। শ্রমিক অসন্তোষ দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা শুভকর নয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকেই শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিয়মমাফিক যথা সময়ে দেয়া হবে সেটাই প্রত্যাশিত। কোনো কারণে বেতনাদি বকেয়া হলে সেটা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের পথে নেমে আসবার কথা নয়। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমরা আশা করব, তারা বুঝেশুনে আশ্বাস দেবেন। আরও একবার আশ্বাস দিলে সেটা রক্ষা করবেন।
দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার শ্রমিকদের আছে। তবে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এমন কিছু করা সঙ্গত হবে না যাতেকরে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্থহয়। সরকার-মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলোচনা করবেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে সেই প্রত্যাশা করি।