alt

opinion » editorial

পোশাক শ্রমিকদেরকে কেনো বারবার পথে নামতে হচ্ছে

: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করার দুই ঘণ্টা পর পোশাক শ্রমিকদেরকে আবারও একই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল। এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় ৫২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, কেবল মৌখিক আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরতে চান না। কারণ এর আগেও এমন আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু বেতন আর পাননি। তাদের কথা, বকেয়া তিন মাসের বেতন বুঝে পেলে তবেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।

বকেয়া বেতন ও কারখানা লে-অফ পরবর্তী পাওনা পরিশোধের দাবিতে গতকাল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

বকেয়া বেতনের দাবিতে এর আগেও শ্রমিকদেরকে পথে নামতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিকরা নিয়মিত বেতনাদি দেন না। বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা রক্ষা করেন না। বেতন না পাওয়া শ্রমিকদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটে রাজপথে। এর নেতিবাচক প্রভাব যে কেবল পোশাক কারখানার ওপর পড়ে তা নয়। সাধারণ মানুষের জীবনেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

কিছু পোশাক কারখানায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেক পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বেতন-ভাতা নিয়মিত না পেলে শ্রমিকদের পেট চালানো দায় হয়ে পড়ে। উপায় না দেখে তারা হয়তো পথে নামেন। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ না করলে বা কারখানায় হামলা হলে মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্থহন। আবার সড়ক আটকে রাখলে সাধারণ মানুষেরও কষ্ট হয়। সরকারকেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হয়। দেশের অর্থনীতির জন্য এটা কোনো শুভ বার্তা বহন করে না।

কিছু পোশাক কারখানায় বেতনভাতা নিয়ে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তার একটি যৌক্তিক সুরাহা দ্রুত হওয়া দরকার। শ্রমিক অসন্তোষ দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা শুভকর নয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকেই শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিয়মমাফিক যথা সময়ে দেয়া হবে সেটাই প্রত্যাশিত। কোনো কারণে বেতনাদি বকেয়া হলে সেটা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের পথে নেমে আসবার কথা নয়। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমরা আশা করব, তারা বুঝেশুনে আশ্বাস দেবেন। আরও একবার আশ্বাস দিলে সেটা রক্ষা করবেন।

দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার শ্রমিকদের আছে। তবে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এমন কিছু করা সঙ্গত হবে না যাতেকরে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্থহয়। সরকার-মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলোচনা করবেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে সেই প্রত্যাশা করি।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

পোশাক শ্রমিকদেরকে কেনো বারবার পথে নামতে হচ্ছে

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করার দুই ঘণ্টা পর পোশাক শ্রমিকদেরকে আবারও একই কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেল। এর আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে তারা গাজীপুরের মালেকের বাড়ি এলাকায় ৫২ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন। পোশাক শ্রমিকরা বলছেন, কেবল মৌখিক আশ্বাসে তারা ঘরে ফিরতে চান না। কারণ এর আগেও এমন আশ্বাস পেয়েছেন। কিন্তু বেতন আর পাননি। তাদের কথা, বকেয়া তিন মাসের বেতন বুঝে পেলে তবেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হবে।

বকেয়া বেতন ও কারখানা লে-অফ পরবর্তী পাওনা পরিশোধের দাবিতে গতকাল নারায়ণগঞ্জে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

বকেয়া বেতনের দাবিতে এর আগেও শ্রমিকদেরকে পথে নামতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিকরা নিয়মিত বেতনাদি দেন না। বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা রক্ষা করেন না। বেতন না পাওয়া শ্রমিকদের ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটে রাজপথে। এর নেতিবাচক প্রভাব যে কেবল পোশাক কারখানার ওপর পড়ে তা নয়। সাধারণ মানুষের জীবনেও দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।

কিছু পোশাক কারখানায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অনেক পক্ষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বেতন-ভাতা নিয়মিত না পেলে শ্রমিকদের পেট চালানো দায় হয়ে পড়ে। উপায় না দেখে তারা হয়তো পথে নামেন। কিন্তু শ্রমিকরা কাজ না করলে বা কারখানায় হামলা হলে মালিকরাও ক্ষতিগ্রস্থহন। আবার সড়ক আটকে রাখলে সাধারণ মানুষেরও কষ্ট হয়। সরকারকেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেগ পেতে হয়। দেশের অর্থনীতির জন্য এটা কোনো শুভ বার্তা বহন করে না।

কিছু পোশাক কারখানায় বেতনভাতা নিয়ে যেসব সমস্যা দেখা দিয়েছে তার একটি যৌক্তিক সুরাহা দ্রুত হওয়া দরকার। শ্রমিক অসন্তোষ দীর্ঘদিন জিইয়ে রাখা শুভকর নয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সব পক্ষকেই শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিতে হবে। শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিয়মমাফিক যথা সময়ে দেয়া হবে সেটাই প্রত্যাশিত। কোনো কারণে বেতনাদি বকেয়া হলে সেটা প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পরিশোধ করা হলে শ্রমিকদের পথে নেমে আসবার কথা নয়। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমরা আশা করব, তারা বুঝেশুনে আশ্বাস দেবেন। আরও একবার আশ্বাস দিলে সেটা রক্ষা করবেন।

দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের অধিকার শ্রমিকদের আছে। তবে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে, এমন কিছু করা সঙ্গত হবে না যাতেকরে পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্থহয়। সরকার-মালিক-শ্রমিক সব পক্ষ পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে আলোচনা করবেন, উদ্ভুত পরিস্থিতির একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হবে সেই প্রত্যাশা করি।

back to top