কুড়িগ্রামে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানে জনসাধারণ কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না। রাষ্ট্রের সরবরাহকৃত ওষুধ পাচার হওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উঠেছে নানান অভিযোগ। কোনো কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। যেই অফিস জনসেবায় ব্যবহার করার কথা সেটাকে অনেকে নিজের ঘরবাড়ির মতো ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে। রীতিমতো বিছানাপাটি নিয়ে কেউ কেউ সেখানে রাত্রিযাপন করেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের বর্তমান অবস্থা এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত বহন করছে। যেখানে জনসাধারণের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা, সেখানে দপ্তরটির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করছে। যা শুধু দপ্তরের অব্যবস্থাপনাই নয়, বরং পুরো সেবা ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন তুলেছে।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দেয়া। অথচ বাস্তবতা হলো, ওই অঞ্চলে সেবা কার্যক্রম এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, সাধারণ মানুষ তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরকে যদি সঠিক পথে আনা না যায়, তাহলে এর প্রভাব শুধু কুড়িগ্রামের জনগণের ওপর নয়, পুরো দেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের ওপরও পড়বে। তাই এ সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি।
দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর থেকে এই সেবা ব্যবস্থায় অনেক অগ্রগতি হলেও বর্তমানে এর কার্যক্রম নিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে। শুধু কুড়িগ্রামেই পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে নাকি দেশের আরও কোথাও পরিস্থিতি খারপ হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। নানা চ্যালেঞ্জ এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এ সেবা জনগণের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারছে কিনা সেটা জানতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। প্রতিটি দপ্তরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। দুর্নীতি, অপচয় এবং অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
কুড়িগ্রামে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানে জনসাধারণ কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না। রাষ্ট্রের সরবরাহকৃত ওষুধ পাচার হওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে উঠেছে নানান অভিযোগ। কোনো কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে। যেই অফিস জনসেবায় ব্যবহার করার কথা সেটাকে অনেকে নিজের ঘরবাড়ির মতো ব্যবহার করছেন বলে জানা গেছে। রীতিমতো বিছানাপাটি নিয়ে কেউ কেউ সেখানে রাত্রিযাপন করেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কুড়িগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের বর্তমান অবস্থা এক গভীর সংকটের ইঙ্গিত বহন করছে। যেখানে জনসাধারণের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা, সেখানে দপ্তরটির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র উপস্থাপন করছে। যা শুধু দপ্তরের অব্যবস্থাপনাই নয়, বরং পুরো সেবা ব্যবস্থার প্রতি প্রশ্ন তুলেছে।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের প্রধান উদ্দেশ্য হলো জনগণের কাছে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দেয়া। অথচ বাস্তবতা হলো, ওই অঞ্চলে সেবা কার্যক্রম এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, সাধারণ মানুষ তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরকে যদি সঠিক পথে আনা না যায়, তাহলে এর প্রভাব শুধু কুড়িগ্রামের জনগণের ওপর নয়, পুরো দেশের পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের ওপরও পড়বে। তাই এ সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবি।
দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতার পর থেকে এই সেবা ব্যবস্থায় অনেক অগ্রগতি হলেও বর্তমানে এর কার্যক্রম নিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে। শুধু কুড়িগ্রামেই পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে নাকি দেশের আরও কোথাও পরিস্থিতি খারপ হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। নানা চ্যালেঞ্জ এবং প্রশাসনিক জটিলতার কারণে এ সেবা জনগণের কাছে যথাযথভাবে পৌঁছাতে পারছে কিনা সেটা জানতে হবে।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। প্রতিটি দপ্তরের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করতে হবে। দুর্নীতি, অপচয় এবং অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।