alt

সম্পাদকীয়

বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিন

: শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৩ সালে। গত ৯ বছরেও সেখানে নির্মাণ করা হয়নি নতুন ভবন। ভাড়া বাড়িতে, এখানে-সেখানে চলছিল শ্রেণী কার্যক্রম। গত কয়েকমাস ধরে বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ। পাঠদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরও। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরাও থাকেন উদ্বিগ্ন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

লেখাপড়া করতে সমস্যা হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আশপাশের বিদ্যালয়ে চলে গেছে। অনেকে ঝরে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে এখানে ৪২৩ জন শিক্ষার্থী ছিল, বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১৮০ জন।

এছাড়া রোদ-কুয়াশা-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের স্বাস্থ্যগত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এতসব দুর্ভোগ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব কারও আছে কিনা- আমরা সেটা জানতে চাই। যদি থাকত, তাহলে বছরের পর বছর ধরে একটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থা পড়ে থাকার কথা নয়। দেশের বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো কি নিয়মিত মনিটর করা হয় না ?

মনিটরিং নিয়মিত হলে কখন কোন ভবন সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ করতে হবে সেটা আগেভাগে জানা সম্ভব। তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে, পলিথিনের ছাপড়া ঘরে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ছাপড়া ঘরে পাঠগ্রহণ করতে হতো না। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীনতা-অবহেলার আরও একটি নিদর্শন হচ্ছে মুরাদনগর উপজেলার রামপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জানা যায়, সেখানে স্বাধীনের পরে ১৯৭২ সালে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনের বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সেটা সংস্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না, ঝুঁকি থেকেই যাবে। সেখানে পুরনো ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। পুরনো ভবন ছাড়াও সেখানে জায়গা আছে, ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে। সদিচ্ছা থাকলে সেখানেও নতুন ভবন নির্মাণ করা যায়।

আমরা আশা করব, বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে। ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পাঠগ্রহণ করতে পারবে। কারও উদাসীনতা-অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, সেটা হতে পারে না।

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

অতিরিক্ত ভাড়া : যাত্রীদের দুর্ভোগ আর কতকাল?

করতোয়া নদীতে রাবার ড্যাম স্থাপনের দাবি

বালু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা জরুরি

হিমাগার সংকট : কৃষকের দুর্ভোগ আর কতদিন?

স্বাধীনতা দিবস : একাত্তরের স্বপ্ন পুনর্জাগরণের প্রত্যয়

আজ সেই কালরাত্রি

হাওরের বুকে সড়ক : উন্নয়ন না ধ্বংস?

সুন্দরবনে আবার অগ্নিকাণ্ড

চাল-সয়াবিনের দামে অস্থিরতা, সবজিতে স্বস্তি

সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে হবে

কড়াই বিলের গাছ কাটা প্রকৃতির প্রতি অবহেলা

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়

tab

সম্পাদকীয়

বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিন

শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৩ সালে। গত ৯ বছরেও সেখানে নির্মাণ করা হয়নি নতুন ভবন। ভাড়া বাড়িতে, এখানে-সেখানে চলছিল শ্রেণী কার্যক্রম। গত কয়েকমাস ধরে বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে চলছে পাঠদান। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ। পাঠদানে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষকদেরও। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে অভিভাবকরাও থাকেন উদ্বিগ্ন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

লেখাপড়া করতে সমস্যা হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আশপাশের বিদ্যালয়ে চলে গেছে। অনেকে ঝরে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে এখানে ৪২৩ জন শিক্ষার্থী ছিল, বর্তমানে রয়েছে মাত্র ১৮০ জন।

এছাড়া রোদ-কুয়াশা-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ করতে হচ্ছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের স্বাস্থ্যগত নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এতসব দুর্ভোগ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কোন ভাবনা আছে বলে মনে হয় না। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের গ্রহণযোগ্য পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়িত্ব কারও আছে কিনা- আমরা সেটা জানতে চাই। যদি থাকত, তাহলে বছরের পর বছর ধরে একটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থা পড়ে থাকার কথা নয়। দেশের বিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামো কি নিয়মিত মনিটর করা হয় না ?

মনিটরিং নিয়মিত হলে কখন কোন ভবন সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণ করতে হবে সেটা আগেভাগে জানা সম্ভব। তখন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যায়। শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে, পলিথিনের ছাপড়া ঘরে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ টিনের ছাপড়া ঘরে পাঠগ্রহণ করতে হতো না। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদাসীনতা-অবহেলার আরও একটি নিদর্শন হচ্ছে মুরাদনগর উপজেলার রামপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

জানা যায়, সেখানে স্বাধীনের পরে ১৯৭২ সালে ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। ভবনের বর্তমান অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সেটা সংস্কার করে পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না, ঝুঁকি থেকেই যাবে। সেখানে পুরনো ভবন অপসারণ করে নতুন ভবন নির্মাণ করা যেতে পারে। পুরনো ভবন ছাড়াও সেখানে জায়গা আছে, ক্ষেত্র প্রস্তুত আছে। সদিচ্ছা থাকলে সেখানেও নতুন ভবন নির্মাণ করা যায়।

আমরা আশা করব, বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে। ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য একটা উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পাঠগ্রহণ করতে পারবে। কারও উদাসীনতা-অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে, সেটা হতে পারে না।

back to top