মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার কারণে আর্থসামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের তথ্যানুযায়ী- চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, মাদকপাচার, শিশুপাচার, পতিতাবৃত্তিসহ সব ধরনের ভয়ংকর অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রোহিঙ্গারা। তারা ছলে-বলে, কলাকৌশলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি তারা ভুয়া এনআইডি ও পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। সেখানেও নানা অপকর্মে জড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা না হলে রোহিঙ্গাক্যাম্পসহ সারা দেশের পরিস্থিতি নাজুক হতে পারে। এমন অপরাধপ্রবণ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা। শুধু উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত। এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ম-শৃংখলার মধ্যে রাখা অত্যন্ত কঠিন। স্থানীয়রা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে সংঘর্ষ, অপহরণ ও হত্যার শিকার হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যায় সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে।
মাহমুদুল হক হাসান
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
রোববার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলছে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গার কারণে আর্থসামাজিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মারাত্মক আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের তথ্যানুযায়ী- চুরি, ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ, মাদকপাচার, শিশুপাচার, পতিতাবৃত্তিসহ সব ধরনের ভয়ংকর অপরাধ কর্মকান্ডের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে রোহিঙ্গারা। তারা ছলে-বলে, কলাকৌশলে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি তারা ভুয়া এনআইডি ও পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাড়ি দিচ্ছে। সেখানেও নানা অপকর্মে জড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করা না হলে রোহিঙ্গাক্যাম্পসহ সারা দেশের পরিস্থিতি নাজুক হতে পারে। এমন অপরাধপ্রবণ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা। শুধু উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত। এ বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ম-শৃংখলার মধ্যে রাখা অত্যন্ত কঠিন। স্থানীয়রা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে সংঘর্ষ, অপহরণ ও হত্যার শিকার হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিকল্প নেই। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যায় সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে।
মাহমুদুল হক হাসান