মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
সাফল্য ও গৌরবের ১৭টি বছর পার করল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর একরাশ স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। পথচলার শুরুতে নানাবিধ সংকট থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিপূর্ণ, আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শর্তাবলি আবশ্যক, সে পথেই এগিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, যুগোপযোগী জ্ঞান বিতরণ, অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন, আধুনিক জ্ঞান ও সংস্কৃতির চর্চা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবর্তনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আকাক্সিক্ষত প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি। প্রতিবছর সম্ভব না হলেও অন্তত দুই-তিন বছর পরপর যাতে সমাবর্তন আয়োজন করা যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। দেড়শ বছরের অধিক সময় ধরে ঐতিহ্য বহন করা এ ক্যাম্পাস উপমহাদেশের গর্ব। ইতিহাস-ঐতিহ্য বজায় রেখে নিত্যনতুন গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
তবে সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও উচিত সকল শিক্ষার্থীদের দ্রুত আবাসন সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। আবাসন সমস্যার সমাধান হলে শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের স্বপ্ন যেমন পূরণ হবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ আরো উন্নত হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও গবেষণা করে প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, শান্তিপ্রিয় ও অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে- এটাই প্রত্যাশা।
সাধন সরকার
সাবেক শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন
বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২
সাফল্য ও গৌরবের ১৭টি বছর পার করল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর একরাশ স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটিকে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। পথচলার শুরুতে নানাবিধ সংকট থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একটি পরিপূর্ণ, আধুনিক ও বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শর্তাবলি আবশ্যক, সে পথেই এগিয়ে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা, যুগোপযোগী জ্ঞান বিতরণ, অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন, আধুনিক জ্ঞান ও সংস্কৃতির চর্চা, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদানে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সমাবর্তনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে আকাক্সিক্ষত প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি। প্রতিবছর সম্ভব না হলেও অন্তত দুই-তিন বছর পরপর যাতে সমাবর্তন আয়োজন করা যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে হবে। দেড়শ বছরের অধিক সময় ধরে ঐতিহ্য বহন করা এ ক্যাম্পাস উপমহাদেশের গর্ব। ইতিহাস-ঐতিহ্য বজায় রেখে নিত্যনতুন গবেষণা, নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
তবে সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও উচিত সকল শিক্ষার্থীদের দ্রুত আবাসন সংকট সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া। আবাসন সমস্যার সমাধান হলে শিক্ষার্থীদের অনেক দিনের স্বপ্ন যেমন পূরণ হবে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ আরো উন্নত হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও গবেষণা করে প্রকৃত শিক্ষা নিয়ে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, শান্তিপ্রিয় ও অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাবে- এটাই প্রত্যাশা।
সাধন সরকার
সাবেক শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়