alt

সম্পাদকীয়

ধর্ষণ চেষ্টার মামলা না তোলায় নির্যাতন প্রসঙ্গে

: শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১

ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীর মাকে প্রকাশ্যে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে এখনো আটক করা যায়নি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং মামলা করার কারণে বাদী ও তার পরিবারকে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে বাদীকে দুই সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন ভিকটিমের মাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলো।

প্রশ্ন হচ্ছে, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তিন মাসেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন। বাদী বা ভিকটিমকে এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা দেয়ার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশে ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় করা অনেক মামলারই এমন পরিণতি বরণ করতে দেখা যায়। আসামি প্রভাবশালী ব্যক্তি হলে আর বাদী বা ভিকটিম অসহায় হলে অনেক মামলাই আলোর মুখ দেখে না।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো। কোথাও কোন মামলা হলে আসামিকে গ্রেপ্তার করা, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা, তথ্য-প্রমাণ খুঁজে বের করা, তদন্ত অনুযায়ী চার্জশিট দেয়া, সাক্ষী হাজির করা, মামলার বাদী বা সাক্ষীর নিরাপত্তা দেয়া তাদের কাজ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কাজগুলো যথাযথভাবে করা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কুমিল্লার উক্ত ধর্ষণচেষ্টার মামলাও একই পরিণতি পেয়েছে কিনা সেটা খুঁজে দেখা জরুরি।

কুমিল্লায় উল্লিখিত ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিকটিম ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

tab

সম্পাদকীয়

ধর্ষণ চেষ্টার মামলা না তোলায় নির্যাতন প্রসঙ্গে

শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১

ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীর মাকে প্রকাশ্যে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে এখনো আটক করা যায়নি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং মামলা করার কারণে বাদী ও তার পরিবারকে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে বাদীকে দুই সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন ভিকটিমের মাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলো।

প্রশ্ন হচ্ছে, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তিন মাসেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন। বাদী বা ভিকটিমকে এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা দেয়ার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশে ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় করা অনেক মামলারই এমন পরিণতি বরণ করতে দেখা যায়। আসামি প্রভাবশালী ব্যক্তি হলে আর বাদী বা ভিকটিম অসহায় হলে অনেক মামলাই আলোর মুখ দেখে না।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো। কোথাও কোন মামলা হলে আসামিকে গ্রেপ্তার করা, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা, তথ্য-প্রমাণ খুঁজে বের করা, তদন্ত অনুযায়ী চার্জশিট দেয়া, সাক্ষী হাজির করা, মামলার বাদী বা সাক্ষীর নিরাপত্তা দেয়া তাদের কাজ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কাজগুলো যথাযথভাবে করা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কুমিল্লার উক্ত ধর্ষণচেষ্টার মামলাও একই পরিণতি পেয়েছে কিনা সেটা খুঁজে দেখা জরুরি।

কুমিল্লায় উল্লিখিত ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিকটিম ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।

back to top