ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীর মাকে প্রকাশ্যে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে এখনো আটক করা যায়নি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং মামলা করার কারণে বাদী ও তার পরিবারকে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে বাদীকে দুই সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন ভিকটিমের মাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলো।
প্রশ্ন হচ্ছে, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তিন মাসেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন। বাদী বা ভিকটিমকে এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা দেয়ার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশে ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় করা অনেক মামলারই এমন পরিণতি বরণ করতে দেখা যায়। আসামি প্রভাবশালী ব্যক্তি হলে আর বাদী বা ভিকটিম অসহায় হলে অনেক মামলাই আলোর মুখ দেখে না।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো। কোথাও কোন মামলা হলে আসামিকে গ্রেপ্তার করা, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা, তথ্য-প্রমাণ খুঁজে বের করা, তদন্ত অনুযায়ী চার্জশিট দেয়া, সাক্ষী হাজির করা, মামলার বাদী বা সাক্ষীর নিরাপত্তা দেয়া তাদের কাজ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কাজগুলো যথাযথভাবে করা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কুমিল্লার উক্ত ধর্ষণচেষ্টার মামলাও একই পরিণতি পেয়েছে কিনা সেটা খুঁজে দেখা জরুরি।
কুমিল্লায় উল্লিখিত ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিকটিম ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।
শনিবার, ২৮ আগস্ট ২০২১
ধর্ষণচেষ্টা মামলা তুলে না নেয়ায় কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক কিশোরীর মাকে প্রকাশ্যে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত মূল দুই আসামিকে এখনো আটক করা যায়নি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
খবর অনুযায়ী, কিশোরী ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছিল তিন মাস আগে। কিন্তু মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং মামলা করার কারণে বাদী ও তার পরিবারকে আতঙ্কের মধ্যে দিন যাপন করতে হচ্ছে। তাদের মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হচ্ছিল অনেক দিন ধরেই। আসামিদের অব্যাহত হুমকির কারণে বাদীকে দুই সপ্তাহরও বেশি সময় ধরে পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এখন ভিকটিমের মাকে নির্যাতনের শিকার হতে হলো।
প্রশ্ন হচ্ছে, ধর্ষণ চেষ্টা মামলার তিন মাসেও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন। বাদী বা ভিকটিমকে এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা দেয়ার প্রশ্নে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশে ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনায় করা অনেক মামলারই এমন পরিণতি বরণ করতে দেখা যায়। আসামি প্রভাবশালী ব্যক্তি হলে আর বাদী বা ভিকটিম অসহায় হলে অনেক মামলাই আলোর মুখ দেখে না।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব হচ্ছে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ঘটানো। কোথাও কোন মামলা হলে আসামিকে গ্রেপ্তার করা, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা, তথ্য-প্রমাণ খুঁজে বের করা, তদন্ত অনুযায়ী চার্জশিট দেয়া, সাক্ষী হাজির করা, মামলার বাদী বা সাক্ষীর নিরাপত্তা দেয়া তাদের কাজ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই কাজগুলো যথাযথভাবে করা হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। কুমিল্লার উক্ত ধর্ষণচেষ্টার মামলাও একই পরিণতি পেয়েছে কিনা সেটা খুঁজে দেখা জরুরি।
কুমিল্লায় উল্লিখিত ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ভিকটিম ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করি।