স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র একদিন বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর দুই প্রান্তে জনসভা করবেন। পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশের জন্য প্রায় ১৫ একর জমির ওপর ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থ মাপের বিশাল মঞ্চ। নিরাপত্তার জন্য মঞ্চের ভেতরে ও আশেপাশে বসানো হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার এছাড়াও বসানো হয়েছে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। জনসভাকে ঘিরে ৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আলোকসজ্জার কাজও শেষ পর্যায়ে।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে এই জনসভায়। সভাস্থলে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
মেডিক্যাল ক্যাম্প:
জনসভাস্থলে তৈরী করা হয়েছে ৩টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র(মেডিক্যাল ক্যাম্প)। এরমধ্যে ২০ শয্যার একটি ও ১০ শয্যার দুটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।
নৌপথে আগতদের জন্য ব্যবস্থা:
জনসভায় নৌপথে আগতদের জন্য বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ২০টি পন্টুন প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনসভায় অংগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা:
উক্ত জনসভায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা সহ তৈরী করা হয়েছে ৫০০ অস্থায়ী শৌচাগার। সাথে বিশেষ ব্যক্তিবর্গদের জন্য আরও ২২টি শৌচাগার।
এছাড়াও প্রায় ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সভাস্থলে দূরের দর্শনার্থীদের জন্য ২৬টি এলইডি মনিটর ও ৫০০ মাইক স্থাপণ করা হয়েছে।
নারীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা সহ বিশেষ অতিথি, বিদেশি অতিথি ও কূটনীতিকদের জন্য করা হয়েছে আলাদা জোন।
নিরাপত্তা:
সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এনএসআই, এসএসএফ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন সূত্র সংবাদকে জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভায় আগতদের জন্য সুপেয় পানি থেকে শুরু করে তাঁদের সব ধরনের সুবিধা দিতে তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। সাথে ২০ শয্যার একটি ও ১০ শয্যার আরও দুটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫ জুন থেকে তিনদিন ব্যাপী শরীয়তপুর মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম মাঠে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা এসে গান পরিবেশন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বসিত বাংলাবাজার ঘাট এলাকা সহ জাজিরা-শরীয়তপুর প্রান্তের বাসিন্দারা। ঘাট এলাকার ৭০ বছর বয়সী করিম মোল্লা সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখে যেতে পারব ভাবতে পারিনাই। তারপর আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইব। তারে সরাসরি দেখতে পারমু, নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হইতাছে।’
জাজিরা নাওডোবা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার জমাদ্দার বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর মাত্র একদিন বাকী। কিন্তু মনে হচ্ছে সময় যাচ্ছে না। অধীরভাবে অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশনেত্রীকে দেখব তার কথা শুনবো।’
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন ২০২২
স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র একদিন বাকি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর দুই প্রান্তে জনসভা করবেন। পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাংলাবাজার ফেরিঘাট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসমাবেশের জন্য প্রায় ১৫ একর জমির ওপর ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে ১৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৪০ ফুট প্রস্থ মাপের বিশাল মঞ্চ। নিরাপত্তার জন্য মঞ্চের ভেতরে ও আশেপাশে বসানো হয়েছে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার এছাড়াও বসানো হয়েছে দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। জনসভাকে ঘিরে ৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আলোকসজ্জার কাজও শেষ পর্যায়ে।
সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে অন্তত ১০ লাখ মানুষের সমাগম হবে এই জনসভায়। সভাস্থলে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ।
মেডিক্যাল ক্যাম্প:
জনসভাস্থলে তৈরী করা হয়েছে ৩টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র(মেডিক্যাল ক্যাম্প)। এরমধ্যে ২০ শয্যার একটি ও ১০ শয্যার দুটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।
নৌপথে আগতদের জন্য ব্যবস্থা:
জনসভায় নৌপথে আগতদের জন্য বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ২০টি পন্টুন প্রস্তুত করা হয়েছে।
জনসভায় অংগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা:
উক্ত জনসভায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা সহ তৈরী করা হয়েছে ৫০০ অস্থায়ী শৌচাগার। সাথে বিশেষ ব্যক্তিবর্গদের জন্য আরও ২২টি শৌচাগার।
এছাড়াও প্রায় ২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সভাস্থলে দূরের দর্শনার্থীদের জন্য ২৬টি এলইডি মনিটর ও ৫০০ মাইক স্থাপণ করা হয়েছে।
নারীদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা সহ বিশেষ অতিথি, বিদেশি অতিথি ও কূটনীতিকদের জন্য করা হয়েছে আলাদা জোন।
নিরাপত্তা:
সভাস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, এনএসআই, এসএসএফ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসন সূত্র সংবাদকে জানিয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জনসভায় আগতদের জন্য সুপেয় পানি থেকে শুরু করে তাঁদের সব ধরনের সুবিধা দিতে তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। সাথে ২০ শয্যার একটি ও ১০ শয্যার আরও দুটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২৫ জুন থেকে তিনদিন ব্যাপী শরীয়তপুর মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়াম মাঠে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা এসে গান পরিবেশন করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উচ্ছ্বসিত বাংলাবাজার ঘাট এলাকা সহ জাজিরা-শরীয়তপুর প্রান্তের বাসিন্দারা। ঘাট এলাকার ৭০ বছর বয়সী করিম মোল্লা সংবাদকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু দেখে যেতে পারব ভাবতে পারিনাই। তারপর আবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইব। তারে সরাসরি দেখতে পারমু, নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হইতাছে।’
জাজিরা নাওডোবা এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার জমাদ্দার বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আর মাত্র একদিন বাকী। কিন্তু মনে হচ্ছে সময় যাচ্ছে না। অধীরভাবে অপেক্ষায় আছি। আমাদের দেশনেত্রীকে দেখব তার কথা শুনবো।’