alt

জাতীয়

পদ্মা সেতু: ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেতু নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২২ হাজার ৫৯৩ পরিবারের সদস্য সহ প্রায় ৮০ হাজারের বেশি বাংলাদেশের নাগরিকের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হয়েছে সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জনসাধারণের প্রয়োজন, জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে কিংবা রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায়, এর মাঠ পর্যায়ের দপ্তর - কালেক্টরেট তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। প্রত্যাশী সংস্থার আবেদনমতে ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযোজ্য ভূমি অধিগ্রহণ আইন, অধ্যাদেশ এবং বিধি অনুসরণে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ/ হুকুমদখল করে প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে ন্যস্ত করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে্ আরও জানানো হয়, ‘ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যেন অধিগ্রহণ পরবর্তী পুনর্বাসন সহ নানামুখী সহায়তা লাভ করতে পারেন সে জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনার সময় ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে লিখিত শর্ত নিয়েই প্রত্যাশী সংস্থার (পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে এর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ) নিকট জমি হস্তান্তর করে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অনুশাসন আছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে্ উল্লেখ করা হয়, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে - ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যক্তিদের ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত জমির অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ, অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা, ঘর-বাড়ি ও গাছগাছালির ক্ষতিপূরণ এবং ঘর-বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা প্রদান ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হয়। পদ্মাসেতু প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির মৌজা মূল্যের দেড়গুণ অর্থ পরিশোধসহ উপর্যুক্ত সব নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে্ উল্লেখ আরও করা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং হুকুম দখল’ প্রক্রিয়া ‘Land Acquisition and Requisition’ নামে পরিচিত হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রক্রিয়া ‘Eminent Domain’, ‘Compulsory Purchase’, ‘Resumption’ কিংবা ‘Expropriation’ ইত্যাদি নামে পরিচিত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, এবং শরীয়তপুর জেলায় মোট ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬৯৩ হেক্টর এবং বরাদ্দ প্রায় ২ হাজার ৬৯৮হেক্টর। জমি অধিগ্রহণ, বন্দোবস্ত ও হুকুমদখল এর জন্য ৩ হাজার ৪৬ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। পদ্মাসেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ, নির্মাণ বয়ের প্রায় ১০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ, বন্দোবস্ত ও হুকুমদখল এর জন্য ব্যয় হয়।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা, পুনর্বাসন কর্মপরিকল্পনা, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০০৬ সালে সম্পন্ন করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ২০০৯ সালে। এই প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করা হয় বলেও মন্ত্রণালয়ের জানায়।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, পদ্মা নদীর দুই প্রান্তে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত (মসজিদ, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি সহ) ৭টি পুনর্বাসন সাইটে মোট ৩০১৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই পর্যন্ত। এছাড়াও ১০০টি বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যারা জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বাসন সাইটের অধিগ্রহণের সময়ের দামে জমি কিনতে হয়েছে। আর যারা জমি বাবদ টাকা পাননি, তাদেরকে প্লট দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককেই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সহায়তা এবং ক্ষেত্র বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জীবনধারণের জন্য দেওয়া হয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স, টেইলরিং, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগী পালন, গরু-ছাগল পালন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ড্রাইভিং, ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রশিক্ষণসহ নানা ধরণের প্রশিক্ষণ। জমির মূল্য ছাড়াও বিভিন্ন সহায়তা বাবদ অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা হিসাবে প্রায় ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার সাহায্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এসব সহায়তা নিশ্চিত করে।

ছবি

বাংলাদেশের সাথে গাম্বিয়ার বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ

ছবি

মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে : হারুন

ছবি

সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

শিক্ষকদের মর্যাদা-বেতনের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি : শিক্ষামন্ত্রী

ছবি

১০ টাকার টিকিট কেটে জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

শনিবার ২৫ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ

দেশের গণমাধ্যমে কতটা গুরুত্ব পায় পরিবেশ, জলবায়ু : কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

ছবি

বিচার বিভাগের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের : প্রধান বিচারপতি

ছবি

চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধে আইন করা হয়েছে:খাদ্যমন্ত্রী

ছবি

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি : ঢাকায় পৌঁছেছে ৮ বাংলাদেশীর লাশ

ছবি

ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে সংসদে শোক

ছবি

এমপি-মন্ত্রীদের আত্মীয় প্রার্থী থাকতে পারেন তবে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না : ইসি

ছবি

১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা

ছবি

থাইল্যান্ড চাইলে আমাদের সমুদ্র সৈকতে জায়গা দেবো : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতা করবে থাইল্যান্ড : প্রধানমন্ত্রী

ছবি

বিকেলে বসছে দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন

আজ দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ

আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনায় অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে- ধর্মমন্ত্রী

ছবি

শ্রমিকের পুঞ্জীভূত শ্রমের প্রতিফলনই উন্নয়ন : ধর্মমন্ত্রী

ছবি

শ্রমিকদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করলে ছাড় নয়: প্রধানমন্ত্রী

ছবি

শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক রেখে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

শ্রমজীবীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন আজ

জাটকা রক্ষায় অভিযানে ২৪,৫৮জন গ্রেপ্তার, ৭৫ হাজার কেজি জাটকা জব্দ

পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ অঙ্গীকারাবদ্ধ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

‘বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী’

ছবি

হজ ভিসা আবেদনের সময় বাড়ল ৭ মে পর্যন্ত

ছবি

বাস মালিকদের সুবিধা দিতেই রেলের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে

ছবি

আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ছুটিই থাকছে স্কুল-মাদরাসা

ছবি

পরীক্ষা পেছাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসির চিঠি

ছবি

এএসপি পদে পদোন্নতি পেলেন ৪৫ পুলিশ পরিদর্শক

ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থা

ছবি

রেড ক্রিসেন্টের ‘সুনাম’ ফিরিয়ে আনতে চান নতুন চেয়ারম্যান

ছবি

বিশ্বের ১৭তম জটিল অপারেশন বাংলাদেশে

ছবি

তীব্র গরম, দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ মে পর্যন্ত বন্ধ

ছবি

স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

tab

জাতীয়

পদ্মা সেতু: ভূমি অধিগ্রহণ হয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৪ জুন ২০২২

পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেতু নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ২২ হাজার ৫৯৩ পরিবারের সদস্য সহ প্রায় ৮০ হাজারের বেশি বাংলাদেশের নাগরিকের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা হয়েছে সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘জনসাধারণের প্রয়োজন, জনস্বার্থে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে কিংবা রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল কার্যক্রম ভূমি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায়, এর মাঠ পর্যায়ের দপ্তর - কালেক্টরেট তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। প্রত্যাশী সংস্থার আবেদনমতে ভূমি বরাদ্দ কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযোজ্য ভূমি অধিগ্রহণ আইন, অধ্যাদেশ এবং বিধি অনুসরণে স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ/ হুকুমদখল করে প্রত্যাশী সংস্থার বরাবরে ন্যস্ত করা হয়।’

বিজ্ঞপ্তিতে্ আরও জানানো হয়, ‘ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা যেন অধিগ্রহণ পরবর্তী পুনর্বাসন সহ নানামুখী সহায়তা লাভ করতে পারেন সে জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনার সময় ভূমি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে লিখিত শর্ত নিয়েই প্রত্যাশী সংস্থার (পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রে এর নির্মাণ কর্তৃপক্ষ) নিকট জমি হস্তান্তর করে। এই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর অনুশাসন আছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে্ উল্লেখ করা হয়, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে - ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যক্তিদের ন্যায়সঙ্গত ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অধিগ্রহণকৃত জমির অতিরিক্ত মূল্য পরিশোধ, অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা, ঘর-বাড়ি ও গাছগাছালির ক্ষতিপূরণ এবং ঘর-বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়তা প্রদান ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হয়। পদ্মাসেতু প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির মৌজা মূল্যের দেড়গুণ অর্থ পরিশোধসহ উপর্যুক্ত সব নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে্ উল্লেখ আরও করা হয়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং হুকুম দখল’ প্রক্রিয়া ‘Land Acquisition and Requisition’ নামে পরিচিত হলেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই প্রক্রিয়া ‘Eminent Domain’, ‘Compulsory Purchase’, ‘Resumption’ কিংবা ‘Expropriation’ ইত্যাদি নামে পরিচিত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, এবং শরীয়তপুর জেলায় মোট ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬৯৩ হেক্টর এবং বরাদ্দ প্রায় ২ হাজার ৬৯৮হেক্টর। জমি অধিগ্রহণ, বন্দোবস্ত ও হুকুমদখল এর জন্য ৩ হাজার ৪৬ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। পদ্মাসেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ, নির্মাণ বয়ের প্রায় ১০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ, বন্দোবস্ত ও হুকুমদখল এর জন্য ব্যয় হয়।’

পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা, পুনর্বাসন কর্মপরিকল্পনা, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০০৬ সালে সম্পন্ন করা হয়। ভূমি অধিগ্রহণ শুরু হয় ২০০৯ সালে। এই প্রকল্পের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দক্ষভাবে সম্পন্ন করতে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প (ভূমি অধিগ্রহণ) আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করা হয় বলেও মন্ত্রণালয়ের জানায়।

ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, পদ্মা নদীর দুই প্রান্তে আধুনিক নাগরিক সুবিধা সম্বলিত (মসজিদ, বিদ্যালয়, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি সহ) ৭টি পুনর্বাসন সাইটে মোট ৩০১৪টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এই পর্যন্ত। এছাড়াও ১০০টি বাণিজ্যিক প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যারা জমি বাবদ ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন, তাদেরকে পুনর্বাসন সাইটের অধিগ্রহণের সময়ের দামে জমি কিনতে হয়েছে। আর যারা জমি বাবদ টাকা পাননি, তাদেরকে প্লট দেওয়া হয়েছে বিনামূল্যে।

মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেককেই ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন সহায়তা এবং ক্ষেত্র বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জীবনধারণের জন্য দেওয়া হয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স, টেইলরিং, মাছ চাষ, হাঁস-মুরগী পালন, গরু-ছাগল পালন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ড্রাইভিং, ক্ষুদ্র ব্যবসায় প্রশিক্ষণসহ নানা ধরণের প্রশিক্ষণ। জমির মূল্য ছাড়াও বিভিন্ন সহায়তা বাবদ অতিরিক্ত আর্থিক সহায়তা হিসাবে প্রায় ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার সাহায্যে পদ্মা সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এসব সহায়তা নিশ্চিত করে।

back to top