‘বিরোধিতার’ পাশাপাশি বিভিন্নভাবে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হলেও তা ‘উপেক্ষা’ করে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সফল হওয়ায় কারো প্রতি ‘অভিযোগ’ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। যাদের চিন্তার দৈন্যতা আছে, আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে, তাই তারা হয়তো বিরোধিতা করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে পানি অনেক ঘোলা করা হয়েছে। তথাকথিত নাগরিক সমাজের একশ্রেণির প্রতিনিধি, কতিপয় মিডিয়া, স্বঘোষিত অর্থনীতিবিদরা সরকারের তীব্র সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনা মোকাবিলা করেও গতিশীল। পদ্মা আর দশটা সাধারণ নদীর মতো নয়। ভরা বর্ষায় পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৪ থেকে সাড়ে চার ঘন মিটার। আমাজনের পর পদ্মা বিশ্বের সবচেয়ে স্রোতস্বিনী এবং অননুমেয় নদী।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রযুক্তি এবং কারিগরি নানা বিষয় বিবেচনায় নিলে এর বাস্তবায়ন ছিল সত্যিই একটা দুরূহ চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।’
তিনি বলেন, ‘এ রকম আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে- আমি বিশ্বাস করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা। ভবিষ্যতে নিজেরাই এ ধরনের জটিল সেতু বা অবকাঠামো নির্মাণ করতে সক্ষম হবো আমরা।’
এসময় দেশবাসীর পাশাপাশি পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগনই আমার সাহসের ঠিকানা। আমি তাদের সেলুট জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শিখান নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের শক্তিই বড় শক্তি। সে শক্তিতে বলীয়ান হয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
‘বিরোধিতার’ পাশাপাশি বিভিন্নভাবে ‘ষড়যন্ত্র’ করা হলেও তা ‘উপেক্ষা’ করে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে সফল হওয়ায় কারো প্রতি ‘অভিযোগ’ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কার বিরুদ্ধে আমার অভিযোগ নেই। যাদের চিন্তার দৈন্যতা আছে, আত্মবিশ্বাসের অভাব আছে, তাই তারা হয়তো বিরোধিতা করেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে পানি অনেক ঘোলা করা হয়েছে। তথাকথিত নাগরিক সমাজের একশ্রেণির প্রতিনিধি, কতিপয় মিডিয়া, স্বঘোষিত অর্থনীতিবিদরা সরকারের তীব্র সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি করোনা মোকাবিলা করেও গতিশীল। পদ্মা আর দশটা সাধারণ নদীর মতো নয়। ভরা বর্ষায় পদ্মা নদীর পানির প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ৪ থেকে সাড়ে চার ঘন মিটার। আমাজনের পর পদ্মা বিশ্বের সবচেয়ে স্রোতস্বিনী এবং অননুমেয় নদী।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রযুক্তি এবং কারিগরি নানা বিষয় বিবেচনায় নিলে এর বাস্তবায়ন ছিল সত্যিই একটা দুরূহ চ্যালেঞ্জ। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণকাজের গুণগত মানে কোনো আপস করা হয়নি। এই সেতু নির্মিত হয়েছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও উপকরণ দিয়ে। সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখে পুরো নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘পদ্মা সেতুর পাইল বা মাটির গভীরে বসানো ভিত্তি এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীর পর্যন্ত এই সেতুর পাইল বসানো হয়েছে। ভূমিকম্প প্রতিরোধ বিবেচনায় ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।’
তিনি বলেন, ‘এ রকম আরও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে এই সেতুর নির্মাণ পদ্ধতি বিশ্বজুড়ে প্রকৌশলবিদ্যার পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে- আমি বিশ্বাস করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বিশাল কর্মযজ্ঞ থেকে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছেন আমাদের দেশের প্রকৌশলীরা। ভবিষ্যতে নিজেরাই এ ধরনের জটিল সেতু বা অবকাঠামো নির্মাণ করতে সক্ষম হবো আমরা।’
এসময় দেশবাসীর পাশাপাশি পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সকলকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগনই আমার সাহসের ঠিকানা। আমি তাদের সেলুট জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মাথা নোয়াইনি, আমরা মাথা নোয়াব না। জাতির পিতা আমাদের মাথা নোয়াতে শিখান নাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের শক্তিই বড় শক্তি। সে শক্তিতে বলীয়ান হয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।