কোরিয়া, ভারত ও চীনের আধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় বাংলাদেশ
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে আর্চাররা
শনিবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপের। ৩০ দেশের আর্চাররা এখন ঢাকায়। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে ১০ ইভেন্টের পদকের লড়াইয়ে ২০৯ জন আরচার অংশ নিচ্ছেন। রিকার্ভে ৫৪ জন এবং কম্পাউন্ডে ৩৮ জন মিলিয়ে মোট ৯২ জন। জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়াও আর্মি স্টেডিয়াম- এই দুই ভেন্যুতে হবে প্রতযোগিতা। প্রথম দিনে আর্চাররা আনুষ্ঠানিক অনুশীলন করবেন জাতীয় স্টেডিয়ামে।
তৃতীয়বারের মতো এই আসরের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে এবার তীর ধনুকের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও চীনসহ অন্য দেশের সঙ্গে। যদিও বৈশি^ক এই আসরে কখনোই বাংলাদেশ সোনার পদক জিততে পারেনি। তারপরও এবার সেই আকাক্সক্ষা ঘুচানোর পালা। স্বাগতিকদের চোখ অবশ্য থাকবে নিজেদের তারকা আবদুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, বন্যা আক্তারদের দিকে। ২০২১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই আসরে একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনটি পদকই ছিল দলগত ইভেন্টে । রিকার্ভ মিশ্র থেকে এসেছিল রুপা। ২০২৩ সালের সর্বশেষ থাইল্যান্ডের আসরে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয় দলকে। এবার সে হতাশার বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনতে চান আর্চাররা।
রিকার্ভ ইভেন্টের সাগর ইসলাম (আর্চারির র্যাংকিংয়ে ৭৫তম) বলেন, ‘আমাদের দেশের মাঠে এবারের প্রতিযোগিতা। স্বাভাবিকভাবে অনেক কিছু আমাদের পক্ষে থাকবে। এখানকার সবকিছুই আমাদের জানা। এই প্রতিযোগিতার জন্য আমরা বছরজুড়ে ক্যাম্পে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করি, পরিশ্রমের ফল আমরা পাবো। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’
রিকার্ভ ইভেন্টের আর্চার আব্দুর রহমান আলিফের (আর্চারির র্যাংকিংয়ে ৭১তম) কথা, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ভালো মানের আর্চার এসেছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকে এসেছে অনেকে। অভিজ্ঞতায় তারা হয়ত এগিয়ে থাকবে, তবে আমাদেরও আত্মবিশ্বাস আছে দেশকে ভালো কিছু এনে দেয়ার। আর্চারি একটি নির্দিষ্ট দিনের খেলা, র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান যা-ই হোক না কেন, যে সেরাটা মেলে ধরতে পারবে, সেই সেরা হবে।’
কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকও আশাবাদী, ‘আর্চারদের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। ব্যাংককের গত আসরে আমরা কোনো পদক পাইনি। এ নিয়ে হতাশা আছে ওদের মধ্যে। এবার ভালো ফল করতে ওরা উন্মুখ হয়ে আছে।’ বাংলাদেশের আলিফ, সাগর, ভারতের ধীরাজ বোম্মাডেভারা, আতানু দাস, দীপিকা কুমারী, দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি, কিম ইয়াচেন, কিংবা ইরাকের ফাতিমা আলমাশদানি নাকি নতুন অচেনা কেউ বাজিমাত করবেন, সেদিকে চোখ থাকবে এশিয়ার আর্চারিপ্রেমীদের।
আর্চারির কংগ্রেস ও নির্বাচন
উদ্বোধনী দিনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হবে আর্চারির কংগ্রেস ও নির্বাচন। পরবর্তী চার বছরের জন্য এশিয়ান আর্চারির সভাপতি নির্বাচিত করবেন ৩৮ জন ভোটার। কংগ্রেস বেলা ৩ টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলবে ৩ টা ১৫ মিনিট থেকে ৪ টা পর্যন্ত।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল ও বর্তমান সভাপতি চুং ইউসান। ২০০৫ সাল থেকে এ নিয়ে টানা পাঁচ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন চুং ইউসান। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধনকুবের হুন্দাই মোটর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সিইও।
সবকিছুকে ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সব আকর্ষণের কেন্দ্রে অবশ্য থাকবেন আর্চাররাই। বাংলাদেশের আলিফ, সাগর, ভারতের ধীরাজ বোম্মাডেভারা, অতনু দাস, দীপিকা কুমারী, দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি, কিম ইয়াচেন, কিংবা ইরাকের ফাতিমা আলমাশদানি নাকি নতুন অচেনা কেউ বাজিমাত করবেন, সেদিকে চোখ থাকবে এশিয়ার আর্চারিপ্রেমীদের।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
কোরিয়া, ভারত ও চীনের আধিপত্যে ভাগ বসাতে চায় বাংলাদেশ
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে আর্চাররা
শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
শনিবার ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপের। ৩০ দেশের আর্চাররা এখন ঢাকায়। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে ১০ ইভেন্টের পদকের লড়াইয়ে ২০৯ জন আরচার অংশ নিচ্ছেন। রিকার্ভে ৫৪ জন এবং কম্পাউন্ডে ৩৮ জন মিলিয়ে মোট ৯২ জন। জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়াও আর্মি স্টেডিয়াম- এই দুই ভেন্যুতে হবে প্রতযোগিতা। প্রথম দিনে আর্চাররা আনুষ্ঠানিক অনুশীলন করবেন জাতীয় স্টেডিয়ামে।
তৃতীয়বারের মতো এই আসরের আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশকে এবার তীর ধনুকের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে ফেবারিট দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও চীনসহ অন্য দেশের সঙ্গে। যদিও বৈশি^ক এই আসরে কখনোই বাংলাদেশ সোনার পদক জিততে পারেনি। তারপরও এবার সেই আকাক্সক্ষা ঘুচানোর পালা। স্বাগতিকদের চোখ অবশ্য থাকবে নিজেদের তারকা আবদুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, বন্যা আক্তারদের দিকে। ২০২১ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই আসরে একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনটি পদকই ছিল দলগত ইভেন্টে । রিকার্ভ মিশ্র থেকে এসেছিল রুপা। ২০২৩ সালের সর্বশেষ থাইল্যান্ডের আসরে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয় দলকে। এবার সে হতাশার বলয় থেকে বাংলাদেশকে বের করে আনতে চান আর্চাররা।
রিকার্ভ ইভেন্টের সাগর ইসলাম (আর্চারির র্যাংকিংয়ে ৭৫তম) বলেন, ‘আমাদের দেশের মাঠে এবারের প্রতিযোগিতা। স্বাভাবিকভাবে অনেক কিছু আমাদের পক্ষে থাকবে। এখানকার সবকিছুই আমাদের জানা। এই প্রতিযোগিতার জন্য আমরা বছরজুড়ে ক্যাম্পে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করি, পরিশ্রমের ফল আমরা পাবো। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারবো।’
রিকার্ভ ইভেন্টের আর্চার আব্দুর রহমান আলিফের (আর্চারির র্যাংকিংয়ে ৭১তম) কথা, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ভালো মানের আর্চার এসেছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকে এসেছে অনেকে। অভিজ্ঞতায় তারা হয়ত এগিয়ে থাকবে, তবে আমাদেরও আত্মবিশ্বাস আছে দেশকে ভালো কিছু এনে দেয়ার। আর্চারি একটি নির্দিষ্ট দিনের খেলা, র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান যা-ই হোক না কেন, যে সেরাটা মেলে ধরতে পারবে, সেই সেরা হবে।’
কোচ মার্টিন ফ্রেডরিকও আশাবাদী, ‘আর্চারদের প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। ব্যাংককের গত আসরে আমরা কোনো পদক পাইনি। এ নিয়ে হতাশা আছে ওদের মধ্যে। এবার ভালো ফল করতে ওরা উন্মুখ হয়ে আছে।’ বাংলাদেশের আলিফ, সাগর, ভারতের ধীরাজ বোম্মাডেভারা, আতানু দাস, দীপিকা কুমারী, দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি, কিম ইয়াচেন, কিংবা ইরাকের ফাতিমা আলমাশদানি নাকি নতুন অচেনা কেউ বাজিমাত করবেন, সেদিকে চোখ থাকবে এশিয়ার আর্চারিপ্রেমীদের।
আর্চারির কংগ্রেস ও নির্বাচন
উদ্বোধনী দিনে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে হবে আর্চারির কংগ্রেস ও নির্বাচন। পরবর্তী চার বছরের জন্য এশিয়ান আর্চারির সভাপতি নির্বাচিত করবেন ৩৮ জন ভোটার। কংগ্রেস বেলা ৩ টায় শুরু হয়ে শেষ হবে সন্ধ্যা ৬ টায়। ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ চলবে ৩ টা ১৫ মিনিট থেকে ৪ টা পর্যন্ত।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আর্চারি ফেডারেশনের সদস্য কাজী রাজীব উদ্দীন আহমেদ চপল ও বর্তমান সভাপতি চুং ইউসান। ২০০৫ সাল থেকে এ নিয়ে টানা পাঁচ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন চুং ইউসান। দক্ষিণ কোরিয়ার এই ধনকুবের হুন্দাই মোটর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও সিইও।
সবকিছুকে ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সব আকর্ষণের কেন্দ্রে অবশ্য থাকবেন আর্চাররাই। বাংলাদেশের আলিফ, সাগর, ভারতের ধীরাজ বোম্মাডেভারা, অতনু দাস, দীপিকা কুমারী, দক্ষিণ কোরিয়ার সিও মিনগি, কিম ইয়াচেন, কিংবা ইরাকের ফাতিমা আলমাশদানি নাকি নতুন অচেনা কেউ বাজিমাত করবেন, সেদিকে চোখ থাকবে এশিয়ার আর্চারিপ্রেমীদের।