কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নে অনাবাদি পড়ে রয়েছে শত শত একর জমি। এসব জমিতে ফসল উৎপাদন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অথচ ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য ঘাটতি মেটাতে দেশের চাষযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার কথা ছিল।
গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন হতে জানা যায়, কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশীয়া জলমহালে মাছ চাষের জন্য জলকপাট দিয়ে জলমহালে লোনা পানি খাল দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এতে প্রায় ২০০ একর বিশিষ্ট ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলমহালটির সব পানিই এখন লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের এসব জমিতে ধান চাষসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে মিঠাপানির একমাত্র উৎস হচ্ছে ঢেমুশিয়া বদ্ধ জলমহাল। সেই জলমহালের চারিদিকে থাকা জলকপাটগুলো সমুদ্র উপকূলের লোনা পানির সঙ্গে মিশতে বাধা দিত। লবণাক্ত পানি ঢুকানোর কারণে প্রায় ৬ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার ৬ ইউনিয়নের দশ হাজারের অধিক প্রান্তিক চাষিদের মাঝে চাষাবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
কিন্তু ডেমুশিয়া জলমহালে কোনভাবেই লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ না করার শর্ত থাকলেও ইজারাদাররা শর্ত ভঙ্গ করে মিঠা পানিতে পরিপূর্ণ খালে লোনা পানি ঢুকিয়ে এখন মাছ চাষ করে যাচ্ছে। উল্লিখিত জলমহালটি উন্মুক্ত রাখার জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে তৎকালীন ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানান। এ কারণে সার্বিক বিবেচনায় কক্সবাজার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জলমহালটি ইজারা দেয়া বন্ধ রাখেন। একটি সিন্ডিকেট কৌশলে চট্টগ্রাম থেকে জলমহাল খালটি ইজারা নেয়। চকরিয়া উপজেলা ইউএনও জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। জলকপাট খুলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত জলমহালে লোনা পানির প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। জলমহালের প্রবেশকৃত লোনা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। জলমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্ঘ করে ও আইনবহির্ভূত ভাবে যারা লোনা পানি ফসলি জমিতে প্রবেশ করানোর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নে অনাবাদি পড়ে রয়েছে শত শত একর জমি। এসব জমিতে ফসল উৎপাদন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অথচ ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য ঘাটতি মেটাতে দেশের চাষযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার কথা ছিল।
গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন হতে জানা যায়, কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশীয়া জলমহালে মাছ চাষের জন্য জলকপাট দিয়ে জলমহালে লোনা পানি খাল দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এতে প্রায় ২০০ একর বিশিষ্ট ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলমহালটির সব পানিই এখন লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের এসব জমিতে ধান চাষসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে মিঠাপানির একমাত্র উৎস হচ্ছে ঢেমুশিয়া বদ্ধ জলমহাল। সেই জলমহালের চারিদিকে থাকা জলকপাটগুলো সমুদ্র উপকূলের লোনা পানির সঙ্গে মিশতে বাধা দিত। লবণাক্ত পানি ঢুকানোর কারণে প্রায় ৬ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার ৬ ইউনিয়নের দশ হাজারের অধিক প্রান্তিক চাষিদের মাঝে চাষাবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
কিন্তু ডেমুশিয়া জলমহালে কোনভাবেই লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ না করার শর্ত থাকলেও ইজারাদাররা শর্ত ভঙ্গ করে মিঠা পানিতে পরিপূর্ণ খালে লোনা পানি ঢুকিয়ে এখন মাছ চাষ করে যাচ্ছে। উল্লিখিত জলমহালটি উন্মুক্ত রাখার জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে তৎকালীন ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানান। এ কারণে সার্বিক বিবেচনায় কক্সবাজার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জলমহালটি ইজারা দেয়া বন্ধ রাখেন। একটি সিন্ডিকেট কৌশলে চট্টগ্রাম থেকে জলমহাল খালটি ইজারা নেয়। চকরিয়া উপজেলা ইউএনও জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। জলকপাট খুলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত জলমহালে লোনা পানির প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। জলমহালের প্রবেশকৃত লোনা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। জলমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্ঘ করে ও আইনবহির্ভূত ভাবে যারা লোনা পানি ফসলি জমিতে প্রবেশ করানোর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।