alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নে অনাবাদি পড়ে রয়েছে শত শত একর জমি। এসব জমিতে ফসল উৎপাদন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অথচ ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য ঘাটতি মেটাতে দেশের চাষযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার কথা ছিল।

গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন হতে জানা যায়, কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশীয়া জলমহালে মাছ চাষের জন্য জলকপাট দিয়ে জলমহালে লোনা পানি খাল দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এতে প্রায় ২০০ একর বিশিষ্ট ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলমহালটির সব পানিই এখন লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের এসব জমিতে ধান চাষসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে মিঠাপানির একমাত্র উৎস হচ্ছে ঢেমুশিয়া বদ্ধ জলমহাল। সেই জলমহালের চারিদিকে থাকা জলকপাটগুলো সমুদ্র উপকূলের লোনা পানির সঙ্গে মিশতে বাধা দিত। লবণাক্ত পানি ঢুকানোর কারণে প্রায় ৬ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার ৬ ইউনিয়নের দশ হাজারের অধিক প্রান্তিক চাষিদের মাঝে চাষাবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

কিন্তু ডেমুশিয়া জলমহালে কোনভাবেই লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ না করার শর্ত থাকলেও ইজারাদাররা শর্ত ভঙ্গ করে মিঠা পানিতে পরিপূর্ণ খালে লোনা পানি ঢুকিয়ে এখন মাছ চাষ করে যাচ্ছে। উল্লিখিত জলমহালটি উন্মুক্ত রাখার জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে তৎকালীন ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানান। এ কারণে সার্বিক বিবেচনায় কক্সবাজার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জলমহালটি ইজারা দেয়া বন্ধ রাখেন। একটি সিন্ডিকেট কৌশলে চট্টগ্রাম থেকে জলমহাল খালটি ইজারা নেয়। চকরিয়া উপজেলা ইউএনও জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। জলকপাট খুলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত জলমহালে লোনা পানির প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। জলমহালের প্রবেশকৃত লোনা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। জলমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্ঘ করে ও আইনবহির্ভূত ভাবে যারা লোনা পানি ফসলি জমিতে প্রবেশ করানোর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জলমহালে লোনা পানি, কৃষকের অপূরণীয় ক্ষতি

বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারের চকরিয়ার উপকূলীয় সাতটি ইউনিয়নে অনাবাদি পড়ে রয়েছে শত শত একর জমি। এসব জমিতে ফসল উৎপাদন একেবারেই বন্ধ রয়েছে। অথচ ঘোষণা অনুযায়ী খাদ্য ঘাটতি মেটাতে দেশের চাষযোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমি চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসার কথা ছিল।

গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন হতে জানা যায়, কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশীয়া জলমহালে মাছ চাষের জন্য জলকপাট দিয়ে জলমহালে লোনা পানি খাল দিয়ে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এতে প্রায় ২০০ একর বিশিষ্ট ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জলমহালটির সব পানিই এখন লবণাক্ত হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের এসব জমিতে ধান চাষসহ অন্যান্য ফসল ফলাতে মিঠাপানির একমাত্র উৎস হচ্ছে ঢেমুশিয়া বদ্ধ জলমহাল। সেই জলমহালের চারিদিকে থাকা জলকপাটগুলো সমুদ্র উপকূলের লোনা পানির সঙ্গে মিশতে বাধা দিত। লবণাক্ত পানি ঢুকানোর কারণে প্রায় ৬ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকার ৬ ইউনিয়নের দশ হাজারের অধিক প্রান্তিক চাষিদের মাঝে চাষাবাদ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

কিন্তু ডেমুশিয়া জলমহালে কোনভাবেই লবণাক্ত পানি ঢুকিয়ে মৎস্য চাষ না করার শর্ত থাকলেও ইজারাদাররা শর্ত ভঙ্গ করে মিঠা পানিতে পরিপূর্ণ খালে লোনা পানি ঢুকিয়ে এখন মাছ চাষ করে যাচ্ছে। উল্লিখিত জলমহালটি উন্মুক্ত রাখার জন্য এলাকাবাসীকে নিয়ে তৎকালীন ডিসিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানান। এ কারণে সার্বিক বিবেচনায় কক্সবাজার তৎকালীন জেলা প্রশাসক জলমহালটি ইজারা দেয়া বন্ধ রাখেন। একটি সিন্ডিকেট কৌশলে চট্টগ্রাম থেকে জলমহাল খালটি ইজারা নেয়। চকরিয়া উপজেলা ইউএনও জানান, বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। জলকপাট খুলে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করালে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

আমরা বলতে চাই, অতি দ্রুত জলমহালে লোনা পানির প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। জলমহালের প্রবেশকৃত লোনা পানি নিষ্কাশন করতে হবে। জলমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্ঘ করে ও আইনবহির্ভূত ভাবে যারা লোনা পানি ফসলি জমিতে প্রবেশ করানোর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top