পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-এর খ ও গ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ পদ্মা সেতুর মতো বড় একটি প্রকল্পেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাছেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এবং সেটা সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়ছে না। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ঠিক ৩৯তম স্প্যানের নিচে খনন যন্ত্র বসিয়ে বিরতিহীনভাবে কাটা হচ্ছে বালু। অথচ নদীতে নির্মাণ করা প্রকল্পের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি প্রকল্পের স্বার্থে বালু কাটার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে খনন করা যেতে পারে। কিন্তু এসব বিবেচনা না করেই কোন ধরনের নকশা ছাড়া পদ্মা সেতুসংলগ্ন এলাকায় বালু তোলা হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু পদ্মায় নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রায় সব নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এর ফলে অনেক বড় বড় স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। এর ফলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে। নদী ভাঙছে। মাটির ক্ষয় হচ্ছে। উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।
অবকাঠামো নির্মাণে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে যেহেতু শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু বালুর ব্যবহার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এজন্য যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যাবে না। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না। নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এ নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় কঠোর সাজা দিতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১
পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-এর খ ও গ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ পদ্মা সেতুর মতো বড় একটি প্রকল্পেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাছেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এবং সেটা সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়ছে না। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ঠিক ৩৯তম স্প্যানের নিচে খনন যন্ত্র বসিয়ে বিরতিহীনভাবে কাটা হচ্ছে বালু। অথচ নদীতে নির্মাণ করা প্রকল্পের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি প্রকল্পের স্বার্থে বালু কাটার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে খনন করা যেতে পারে। কিন্তু এসব বিবেচনা না করেই কোন ধরনের নকশা ছাড়া পদ্মা সেতুসংলগ্ন এলাকায় বালু তোলা হচ্ছে।
অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু পদ্মায় নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রায় সব নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এর ফলে অনেক বড় বড় স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। এর ফলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে। নদী ভাঙছে। মাটির ক্ষয় হচ্ছে। উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।
অবকাঠামো নির্মাণে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে যেহেতু শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু বালুর ব্যবহার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এজন্য যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যাবে না। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না। নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এ নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় কঠোর সাজা দিতে হবে।