alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পদ্মা সেতুসংলগ্ন এলাকায় বালু তোলা বন্ধ করুন

: মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-এর খ ও গ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ পদ্মা সেতুর মতো বড় একটি প্রকল্পেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে।

এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাছেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এবং সেটা সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়ছে না। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ঠিক ৩৯তম স্প্যানের নিচে খনন যন্ত্র বসিয়ে বিরতিহীনভাবে কাটা হচ্ছে বালু। অথচ নদীতে নির্মাণ করা প্রকল্পের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি প্রকল্পের স্বার্থে বালু কাটার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে খনন করা যেতে পারে। কিন্তু এসব বিবেচনা না করেই কোন ধরনের নকশা ছাড়া পদ্মা সেতুসংলগ্ন এলাকায় বালু তোলা হচ্ছে।

অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু পদ্মায় নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রায় সব নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এর ফলে অনেক বড় বড় স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। এর ফলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে। নদী ভাঙছে। মাটির ক্ষয় হচ্ছে। উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।

অবকাঠামো নির্মাণে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে যেহেতু শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু বালুর ব্যবহার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এজন্য যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যাবে না। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না। নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এ নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় কঠোর সাজা দিতে হবে।

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পদ্মা সেতুসংলগ্ন এলাকায় বালু তোলা বন্ধ করুন

মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছে একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ৪-এর খ ও গ ধারা অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, রেল লাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ পদ্মা সেতুর মতো বড় একটি প্রকল্পেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে।

এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পের কাছেই অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এবং সেটা সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়ছে না। জানা গেছে, পদ্মা সেতুর ঠিক ৩৯তম স্প্যানের নিচে খনন যন্ত্র বসিয়ে বিরতিহীনভাবে কাটা হচ্ছে বালু। অথচ নদীতে নির্মাণ করা প্রকল্পের কাছ থেকে বালু উত্তোলন করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি প্রকল্পের স্বার্থে বালু কাটার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সমীক্ষা করে নকশা অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে খনন করা যেতে পারে। কিন্তু এসব বিবেচনা না করেই কোন ধরনের নকশা ছাড়া পদ্মা সেতুসংলগ্ন এলাকায় বালু তোলা হচ্ছে।

অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু পদ্মায় নয়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রায় সব নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এর ফলে অনেক বড় বড় স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যাপকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। এর ফলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যাচ্ছে। নদী ভাঙছে। মাটির ক্ষয় হচ্ছে। উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে।

অবকাঠামো নির্মাণে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে যেহেতু শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেহেতু বালুর ব্যবহার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এজন্য যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যাবে না। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না। নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এ নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় কঠোর সাজা দিতে হবে।

back to top