জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সামনের সিন্ডিকেটেই সকল ধরণের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে।
আজ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, যে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে সে কিন্তু নোটে অনেক কিছুই লিখে গিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে তখন তার সহপাঠীদের সাথে একটা সম্পর্ক হয়, সে হলে থাকতে পারে, সে মেসে থাকতে পারে, তার শিক্ষকদের সাথে তার একটা সম্পর্ক হয়, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের সাথে তার যোগাযোগ হয়। তাই যখন এটা তদন্ত আমরা করি তখন সেটা কিন্তু বড় পরিধিতে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে করতে হয়। যেমন তার অভিযোগটাকেও আমরা শুনি, তেমনই যারা অভিযুক্ত তাদের কি কথা, তারা কিভাবে বিরাজ করেছে, সাথে আরো কেউ ছিল কিনা, কি কি বিষয় ছিল সেসব বিষয়েও দেখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তো সবকিছু এককভাবে হয়না, সেকারণে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করেই দেখা হবে।
সাদেকা হালিম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক কাজ করতে হয়। অনেকেই হয়তো এটা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন না যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমাদের আইন দ্বারা কাউকে পেনালাইজ করি তখন সেটা কয়েকটা টায়ারে যেতে হয়। নইলে সে কিন্তু কোর্টে যেতে পারে। এবং কোর্টে যদি আমাদের তদন্তে কোনোখানে আমাদের দূর্বলতা থাকে তখন সেই সুযোগে কোনো শিক্ষক বা অন্যান্য কেউ থাকে তখন সেটা ফেরত চলে আসে। এই ধরণের নজির কিন্তু বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। সেজন্য কোনো তদন্ত তড়িঘড়ি করে করলে সেখানে কিন্তু দূর্বলতা থাকে।
উপাচার্য বলেন, জবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। হাইকোর্টের নির্দেশে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের যে কমিটিটা (বিশ্ববিদ্যালয়ে) করা আছে। সেটা আইনে এখনও পরিণত হয়নি, কিন্তু নির্দেশ দেয়া আছে যে যাদেরকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় তাদেরকে কর্ম ক্ষেত্র থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়েছে এবং তড়িৎ গতিতেই আমরা একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছি। তারা তাদের কাজ শুরুও করেছে।
সাদেকা হালিম আরো বলেন, প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে। সেগুলো যে খুব একটা তা কিন্তু ভিন্ন নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন আছে। আপনারা যদি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখেন, দেখবেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো কিভাবে এগোচ্ছে। অনেকগুলো কমিটিই আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কাজ করছ। সামনের যে সিন্ডিকেট আছে, সেখানে রিপোর্টগুলো পেশ করা হবে। এটা আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সামনের সিন্ডিকেটেই সকল ধরণের তদন্ত রিপোর্ট পেশ করা হবে।
আজ রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য সাদেকা হালিম বলেন, যে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে সে কিন্তু নোটে অনেক কিছুই লিখে গিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে তখন তার সহপাঠীদের সাথে একটা সম্পর্ক হয়, সে হলে থাকতে পারে, সে মেসে থাকতে পারে, তার শিক্ষকদের সাথে তার একটা সম্পর্ক হয়, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের সাথে তার যোগাযোগ হয়। তাই যখন এটা তদন্ত আমরা করি তখন সেটা কিন্তু বড় পরিধিতে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে করতে হয়। যেমন তার অভিযোগটাকেও আমরা শুনি, তেমনই যারা অভিযুক্ত তাদের কি কথা, তারা কিভাবে বিরাজ করেছে, সাথে আরো কেউ ছিল কিনা, কি কি বিষয় ছিল সেসব বিষয়েও দেখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে তো সবকিছু এককভাবে হয়না, সেকারণে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করেই দেখা হবে।
সাদেকা হালিম বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক কাজ করতে হয়। অনেকেই হয়তো এটা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন না যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমাদের আইন দ্বারা কাউকে পেনালাইজ করি তখন সেটা কয়েকটা টায়ারে যেতে হয়। নইলে সে কিন্তু কোর্টে যেতে পারে। এবং কোর্টে যদি আমাদের তদন্তে কোনোখানে আমাদের দূর্বলতা থাকে তখন সেই সুযোগে কোনো শিক্ষক বা অন্যান্য কেউ থাকে তখন সেটা ফেরত চলে আসে। এই ধরণের নজির কিন্তু বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। সেজন্য কোনো তদন্ত তড়িঘড়ি করে করলে সেখানে কিন্তু দূর্বলতা থাকে।
উপাচার্য বলেন, জবি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত দুজনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। হাইকোর্টের নির্দেশে যৌন হয়রানি প্রতিরোধের যে কমিটিটা (বিশ্ববিদ্যালয়ে) করা আছে। সেটা আইনে এখনও পরিণত হয়নি, কিন্তু নির্দেশ দেয়া আছে যে যাদেরকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয় তাদেরকে কর্ম ক্ষেত্র থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এটা কঠিন সিদ্ধান্ত হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়েছে এবং তড়িৎ গতিতেই আমরা একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছি। তারা তাদের কাজ শুরুও করেছে।
সাদেকা হালিম আরো বলেন, প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে। সেগুলো যে খুব একটা তা কিন্তু ভিন্ন নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও আইন আছে। আপনারা যদি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখেন, দেখবেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো কিভাবে এগোচ্ছে। অনেকগুলো কমিটিই আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কাজ করছ। সামনের যে সিন্ডিকেট আছে, সেখানে রিপোর্টগুলো পেশ করা হবে। এটা আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।