শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এ প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদে দাঁড়ান কর্মজীবী নারীদের ব্যানারে একটি সংগঠনও।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ১৫ মার্চ জগন্নাথ বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহননের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আজ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। এসকল ঘটনার প্রতিরোধের দায় কেবল নারী সংগঠন বা ছাত্র সমাজের নয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ৯% শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সাথে জড়িত, বাকি ৯১% শিক্ষককে এসকল শিক্ষকের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দৃঢ় আহ্বান জানান।
শিক্ষাঙ্গনে যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রতিরোধে ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক প্রণীত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত রায়কে শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে অনুমোদনের জন্য জোর দাবি জানান তিনি।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, অভিযোগ কমিটি সম্পর্কে ছাত্র শিক্ষকদের কোন স্বচ্ছ ধারণা নেই, এবিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা দিতে হবে, নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকলেও যদি তার মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি থেকে যায় তাহলে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের হার ৫০:৫০ থাকার পরও সেখানে ক্রমাগত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ না থাকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং একই সাথে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ও পরিপন্থী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায় না বরং শিক্ষকদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের চেয়ে ক্ষমতার লড়াইয়ের তৎপরতা দেখা যায় যা প্রকৃত শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য উদ্বেগজনক।
সমাবেশে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামীর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, পাড়া কমিটির সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। এ প্রতিবাদ সমাবেশের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে প্রতিবাদে দাঁড়ান কর্মজীবী নারীদের ব্যানারে একটি সংগঠনও।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ১৫ মার্চ জগন্নাথ বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহননের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আজ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটছে। এসকল ঘটনার প্রতিরোধের দায় কেবল নারী সংগঠন বা ছাত্র সমাজের নয়। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ৯% শিক্ষক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের ঘটনার সাথে জড়িত, বাকি ৯১% শিক্ষককে এসকল শিক্ষকের অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দৃঢ় আহ্বান জানান।
শিক্ষাঙ্গনে যৌন নিপীড়নের ঘটনার প্রতিরোধে ২০০৯ সালে মহামান্য হাইকোর্ট কর্তৃক প্রণীত যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সম্পর্কিত রায়কে শীঘ্রই একটি পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে অনুমোদনের জন্য জোর দাবি জানান তিনি।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, অভিযোগ কমিটি সম্পর্কে ছাত্র শিক্ষকদের কোন স্বচ্ছ ধারণা নেই, এবিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, শিক্ষাঙ্গনকে রাজনৈতিক ছত্রছায়া থেকে মুক্ত করে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা দিতে হবে, নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজ গড়তে তরুণ প্রজন্মকে সোচ্চার হতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হতে হবে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ করে গড়ে তুলতে হবে।
এসময় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ থাকলেও যদি তার মধ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি থেকে যায় তাহলে নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হবে না। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের হার ৫০:৫০ থাকার পরও সেখানে ক্রমাগত যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটতে থাকা কোনভাবেই কাম্য নয়। শিক্ষাঙ্গনে নিরাপদ পরিবেশ না থাকা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করে এবং একই সাথে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ও পরিপন্থী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরো বলেন শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ লক্ষ্য করা যায় না বরং শিক্ষকদের মধ্যে দায়িত্ব পালনের চেয়ে ক্ষমতার লড়াইয়ের তৎপরতা দেখা যায় যা প্রকৃত শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য উদ্বেগজনক।
সমাবেশে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক জনা গোস্বামীর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ, পাড়া কমিটির সদস্য, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং সংগঠনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।