চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। তাকেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে, বিদ্যালয় পরিচালনা করাতে হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেমন ব্যাঘাত ঘটছে তেমনি দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে।
একজন অস্থায়ী শিক্ষক নেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চাঁদপুরের এই একটি বিদ্যালয়ই নয়, সারাদেশেরই এমন শিক্ষক সংকটের খবর গণমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়। এর মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা যে নাজুক অবস্থায় আছেÑ তার প্রমাণ পাওয়া যায়। দেশের অনেক স্কুলে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে কর্মরত শিক্ষক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও বিদ্যালয় পরিচালনার দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষকই হিমশিম খাচ্ছেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানো, জাতীয় দিবসগুলোতে অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়।
তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকলে বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ভারপ্রাপ্তরা সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না।
অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। এটা শিক্ষাব্যবস্থার বড় একটি সংকট। প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক ছাড়া দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষাব্যবস্থার এই সংকট দূর করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।
শিক্ষক সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গতানুগতিক উত্তর দিয়ে থাকে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেয়ার ব্যবস্থা করব।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষক পোস্টিংয়ের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।
আমরা বলতে চাই, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূর করা হোক। দেশের আর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে তা অনতিবিলম্বে পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।
রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে। তাকেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাতে হচ্ছে, বিদ্যালয় পরিচালনা করাতে হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেমন ব্যাঘাত ঘটছে তেমনি দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে।
একজন অস্থায়ী শিক্ষক নেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যালয়টিতে শতাধিক শিক্ষার্থী আছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
শুধু চাঁদপুরের এই একটি বিদ্যালয়ই নয়, সারাদেশেরই এমন শিক্ষক সংকটের খবর গণমাধ্যমগুলোতে প্রায়ই দেখা যায়। এর মাধ্যমে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা যে নাজুক অবস্থায় আছেÑ তার প্রমাণ পাওয়া যায়। দেশের অনেক স্কুলে প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে কর্মরত শিক্ষক অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও বিদ্যালয় পরিচালনার দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক শিক্ষকই হিমশিম খাচ্ছেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলানো, জাতীয় দিবসগুলোতে অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে বেগ পেতে হয়।
তাছাড়া প্রধান শিক্ষকের পদ খালি থাকলে বিদ্যালয়গুলো অনেকটা অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ভারপ্রাপ্তরা সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারেন না।
অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে কেন সেটা একটা প্রশ্ন। এটা শিক্ষাব্যবস্থার বড় একটি সংকট। প্রয়োজনীয়সংখ্যক শিক্ষক ছাড়া দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। শিক্ষাব্যবস্থার এই সংকট দূর করতে হবে জরুরি ভিত্তিতে।
শিক্ষক সংকটের ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গতানুগতিক উত্তর দিয়ে থাকে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষক দেয়ার ব্যবস্থা করব।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষক পোস্টিংয়ের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব।
আমরা বলতে চাই, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকট দূর করা হোক। দেশের আর যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পদ শূন্য রয়েছে তা অনতিবিলম্বে পূরণ করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা।