alt

সম্পাদকীয়

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

: শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

এলপি গ্যাসের বাজারে যে পরিস্থিতি বর্তমানে বিরাজ করছে, তা স্পষ্টতই ভোক্তাদের প্রতি অবিচার এবং ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। সরকারের নির্ধারিত দামের সঙ্গে বাজারের বাস্তবতার মিল নেই। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোক্তারা নির্ধারিত মূল্যে এলপি গ্যাস কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। বরং তাদের প্রতি সিলিন্ডারের জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

নজরুল ইসলাম কিংবা শেফিক রহমানের মতো ভোক্তাদের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, বিইআরসির নির্ধারিত দামের কোনো কার্যকর প্রভাব বাজারে নেই। নির্ধারিত মূল্য ১,৪৫৫ টাকা হলেও দোকানদাররা সেটি অগ্রাহ্য করে নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। অভিযোগ করলে সরবরাহ বন্ধ রাখার হুমকি দেন, এমনকি বিক্রয়ের রসিদও দেন না।

এ অবস্থায় ভোক্তাদের প্রশ্ন, দাম নির্ধারণের নিয়মটি কার্যকর করার কোনো প্রয়াসই যদি না থাকে, তবে এ ব্যবস্থা রেখে লাভ কী? প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা এখানে অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ।

বর্তমানে দেশের এলপি গ্যাস বাজার প্রায় পুরোপুরি বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেডের সরবরাহ ক্ষমতা মাত্র ১ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি আমদানিকারকদের মুনাফার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করে বাজার ভোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত ভোক্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে। তাছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে ভোক্তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এলপি গ্যাস ব্যবহারে ঠেলে দেয়া ব্যবসায়িক মুনাফার সুযোগ করে দেয়ার শামিল।

এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে নৈরাজ্য দূর করার জন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো দরকার। বিইআরসির মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বাইরে গ্যাস বিক্রি করলে জরিমানা এবং লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

এলপি গ্যাসের সরকারি সরবরাহ সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এই খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভোক্তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। ভোক্তারা যেন সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন এবং যথাযথ প্রতিকার পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্রয় রসিদের বাধ্যবাধকতা কার্যকর করার পাশাপাশি একটি নির্ভরযোগ্য হটলাইন চালু করা যেতে পারে।

এলপি গ্যাসের বাজারে বর্তমান সংকট একটি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার ফল। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত এই সংকটের মূলে পৌঁছে সমাধানের পথ বের করা। শুধু মনিটরিং নয়, বরং একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং ভোক্তাবান্ধব গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হতে পারে এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ ও সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব থেকে সরকার সরে দাঁড়াতে পারে না।

সেতু নির্মাণে আর কত অপেক্ষা

আশ্রয়ণ প্রকল্প : দুর্নীতি, অসামঞ্জস্যতা এবং সেবা নিয়ে প্রশ্ন

সংরক্ষিত বন রক্ষায় উদাসীনতা কেন

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

যুব ক্রিকেটের আরেকটি সাফল্য

খুলনা মেডিকেলের সংকট : ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

ভৈরব নদী বিপর্যয়ের দায় কার

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট : কারণ কী

মোরেলগঞ্জে ওয়াশব্লক নির্মাণে বিলম্ব কেন

খাল রক্ষায় দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পাথর উত্তোলন : পরিবেশের সর্বনাশ

ট্রান্সফরমার চুরি রোধে ব্যবস্থা নিন

পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম ও কিছু চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে বৈষম্য দূর করতে শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দরকার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তাহলে কার?

এইডস : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

ডেঙ্গুতে নভেম্বরে রেকর্ড মৃত্যু : সতর্কতার সময় এখনই

রাজধানীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি : দায় কার

সয়াবিন তেল সংকট : কারসাজি অভিযোগের সুরাহা করুন

শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য

সাত কলেজের চতুর্থ বর্ষে ফাইনাল পরীক্ষায় সময় বিভ্রাট

রেলওয়ের জমির অপব্যবহার কাম্য নয়

গ্রাহক সেবায় কেন পিছিয়ে তিতাস গ্যাস

মহাসড়কে ময়লার ভাগাড় : পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের সংকট

নারীর প্রতি সহিংসতার শেষ কোথায়

জনস্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীনতা : চিকিৎসা যন্ত্রপাতির অপব্যবহার

অবৈধ রেলক্রসিং : মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি ব্যবস্থা

রক্তদহ বিল : পরিবেশ বিপর্যয়ের করুণ চিত্র

পোশাক শিল্পে নারী শ্রমিকের অংশগ্রহণ কমছে কেন, প্রতিকার কী

পিপিআর নির্মূল ও ক্ষুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

বাকু জলবায়ু সম্মেলন ও উন্নয়নশীল দেশের অধিকার

সেতুটি সংস্কার করুন

চট্টগ্রামে খাবার পানির নমুনায় টাইফয়েডের জীবাণু : জনস্বাস্থ্যের জন্য অশুভ বার্তা

কুকুরের কামড় : ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করুন

tab

সম্পাদকীয়

এলপি গ্যাসের মূল্য নিয়ে নৈরাজ্য : সমাধান কোথায়?

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

এলপি গ্যাসের বাজারে যে পরিস্থিতি বর্তমানে বিরাজ করছে, তা স্পষ্টতই ভোক্তাদের প্রতি অবিচার এবং ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। সরকারের নির্ধারিত দামের সঙ্গে বাজারের বাস্তবতার মিল নেই। রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভোক্তারা নির্ধারিত মূল্যে এলপি গ্যাস কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না। বরং তাদের প্রতি সিলিন্ডারের জন্য গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।

নজরুল ইসলাম কিংবা শেফিক রহমানের মতো ভোক্তাদের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, বিইআরসির নির্ধারিত দামের কোনো কার্যকর প্রভাব বাজারে নেই। নির্ধারিত মূল্য ১,৪৫৫ টাকা হলেও দোকানদাররা সেটি অগ্রাহ্য করে নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। অভিযোগ করলে সরবরাহ বন্ধ রাখার হুমকি দেন, এমনকি বিক্রয়ের রসিদও দেন না।

এ অবস্থায় ভোক্তাদের প্রশ্ন, দাম নির্ধারণের নিয়মটি কার্যকর করার কোনো প্রয়াসই যদি না থাকে, তবে এ ব্যবস্থা রেখে লাভ কী? প্রশাসনিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা এখানে অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ।

বর্তমানে দেশের এলপি গ্যাস বাজার প্রায় পুরোপুরি বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীল। সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেডের সরবরাহ ক্ষমতা মাত্র ১ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে বেসরকারি আমদানিকারকদের মুনাফার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করে বাজার ভোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত ভোক্তা স্বার্থের বিরুদ্ধে। তাছাড়া প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখে ভোক্তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এলপি গ্যাস ব্যবহারে ঠেলে দেয়া ব্যবসায়িক মুনাফার সুযোগ করে দেয়ার শামিল।

এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে নৈরাজ্য দূর করার জন্য বাজার মনিটরিং বাড়ানো দরকার। বিইআরসির মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম আরও সক্রিয় করতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বাইরে গ্যাস বিক্রি করলে জরিমানা এবং লাইসেন্স বাতিলের মতো কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

এলপি গ্যাসের সরকারি সরবরাহ সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন। এই খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভোক্তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। ভোক্তারা যেন সহজে অভিযোগ জানাতে পারেন এবং যথাযথ প্রতিকার পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। ক্রয় রসিদের বাধ্যবাধকতা কার্যকর করার পাশাপাশি একটি নির্ভরযোগ্য হটলাইন চালু করা যেতে পারে।

এলপি গ্যাসের বাজারে বর্তমান সংকট একটি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার ফল। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত এই সংকটের মূলে পৌঁছে সমাধানের পথ বের করা। শুধু মনিটরিং নয়, বরং একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং ভোক্তাবান্ধব গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই হতে পারে এই সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান। দেশের সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ ও সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্ব থেকে সরকার সরে দাঁড়াতে পারে না।

back to top