পল্লী এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এই চুরি শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত করছে না, বরং সেচনির্ভর কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ট্রান্সফরমার চুরির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। বিশেষত ধান, আলু এবং অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ট্রান্সফরমার চুরির কারণে সেচ বন্ধ হয়ে কৃষকদের ক্ষতির মাত্রা আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা কী ভূমিকা রাখছে সেটা একটা প্রশ্ন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। বরং থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে চুরির ঘটনা ‘হারানো’ হিসেবে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়। এ ধরনের উদাসীনতা চোর চক্রের সাহস বাড়াচ্ছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে একটি সিন্ডিকেট জড়িত। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার থেকে মূল্যবান তামার কয়েল সংগ্রহ করা হয়, যা পুনঃব্যবহারের উপযোগী করে নতুন মোড়কে বাজারে ফের বিক্রি করা হয়। কিছু অসাধু বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মচারী এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এই কাজে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
চুরি রোধে এবং ট্রান্সফরমার সরবরাহ নিশ্চিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত অবিলম্বে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করে ট্রান্সফরমার চুরি রোধ করা। ফসল উৎপাদন সুরক্ষিত রাখতে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এই সমস্যা সমাধান করা এখন সময়ের দাবি।
ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে যুক্ত চক্রকে চিহ্নিত করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেটের জাল ভেঙে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর অসাধু কর্মচারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে।
ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ, এবং রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে।
স্থানীয় জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। চোর চক্রের গতিবিধি সম্পর্কে জানলে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে উৎসাহিত করতে হবে।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
পল্লী এলাকায় প্রায়ই বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটে। এই চুরি শুধু বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত করছে না, বরং সেচনির্ভর কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। ট্রান্সফরমার চুরির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা। বিশেষত ধান, আলু এবং অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ট্রান্সফরমার চুরির কারণে সেচ বন্ধ হয়ে কৃষকদের ক্ষতির মাত্রা আরও প্রকট হয়ে উঠছে।
ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা কী ভূমিকা রাখছে সেটা একটা প্রশ্ন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। বরং থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে চুরির ঘটনা ‘হারানো’ হিসেবে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়। এ ধরনের উদাসীনতা চোর চক্রের সাহস বাড়াচ্ছে।
সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে একটি সিন্ডিকেট জড়িত। চুরি হওয়া ট্রান্সফরমার থেকে মূল্যবান তামার কয়েল সংগ্রহ করা হয়, যা পুনঃব্যবহারের উপযোগী করে নতুন মোড়কে বাজারে ফের বিক্রি করা হয়। কিছু অসাধু বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মচারী এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এই কাজে যুক্ত বলে অভিযোগ রয়েছে।
চুরি রোধে এবং ট্রান্সফরমার সরবরাহ নিশ্চিতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি।
আমরা বলতে চাই, সরকারের উচিত অবিলম্বে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করে ট্রান্সফরমার চুরি রোধ করা। ফসল উৎপাদন সুরক্ষিত রাখতে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে এই সমস্যা সমাধান করা এখন সময়ের দাবি।
ট্রান্সফরমার চুরির সঙ্গে যুক্ত চক্রকে চিহ্নিত করতে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেটের জাল ভেঙে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর অসাধু কর্মচারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে হবে।
ট্রান্সফরমার চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ, এবং রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করতে হবে।
স্থানীয় জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে হবে। চোর চক্রের গতিবিধি সম্পর্কে জানলে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে উৎসাহিত করতে হবে।