দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, হাসপাতাল নির্মাণ করছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এসব হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা কতটা কার্যকরভাবে পৌঁছাচ্ছে? কারণ, দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে এখনও জনবল সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার অন্যতম উদাহরণ।
৩১ শয্যার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনবল সংকটে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী যেখানে ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে পাঁচজন ডেপুটেশনে, পাঁচজন সাবসেন্টারে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে মাত্র তিনজন চিকিৎসককে সামলাতে হয় দৈনিক ৪০০ থেকে ৪৫০ রোগী। এদের মধ্যে একজনকে দাপ্তরিক কাজ ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতে হয়, ফলে কার্যত দুজন চিকিৎসকের ওপর চাপ পড়ে।
নার্সের ৩৬টি পদের মধ্যে ২৬ জন কর্মরত, তৃতীয় শ্রেণীর ৯২ পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৬৪ জন, চতুর্থ শ্রেণীর ২৬ পদের বিপরীতে মাত্র ১১ জন কর্মরত। ওয়ার্ডবয়, আয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও কার্যত মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরে অস্ত্রোপচার কক্ষটি অচল, দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি কাজ করছে না এবং তিনটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে দুটি অকেজো। এসব অব্যবস্থাপনার ফলে রোগীরা যেমন কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না, তেমনই চিকিৎসকদের ওপর অমানবিক কাজের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি মেটাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে যে সংখ্যক জনবল রয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অনুপস্থিত কর্মীদের বিষয়ে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যন্ত্রপাতি মেরামত এবং অচল সরঞ্জাম পুনরায় কার্যকর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা আশা করি, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের বিষয়টি প্রশাসন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেবে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সংকট দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গেলে সেবার মান বাড়বে।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, হাসপাতাল নির্মাণ করছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এসব হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা কতটা কার্যকরভাবে পৌঁছাচ্ছে? কারণ, দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে এখনও জনবল সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার অন্যতম উদাহরণ।
৩১ শয্যার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনবল সংকটে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী যেখানে ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে পাঁচজন ডেপুটেশনে, পাঁচজন সাবসেন্টারে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে মাত্র তিনজন চিকিৎসককে সামলাতে হয় দৈনিক ৪০০ থেকে ৪৫০ রোগী। এদের মধ্যে একজনকে দাপ্তরিক কাজ ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতে হয়, ফলে কার্যত দুজন চিকিৎসকের ওপর চাপ পড়ে।
নার্সের ৩৬টি পদের মধ্যে ২৬ জন কর্মরত, তৃতীয় শ্রেণীর ৯২ পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৬৪ জন, চতুর্থ শ্রেণীর ২৬ পদের বিপরীতে মাত্র ১১ জন কর্মরত। ওয়ার্ডবয়, আয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও কার্যত মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরে অস্ত্রোপচার কক্ষটি অচল, দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি কাজ করছে না এবং তিনটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে দুটি অকেজো। এসব অব্যবস্থাপনার ফলে রোগীরা যেমন কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না, তেমনই চিকিৎসকদের ওপর অমানবিক কাজের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি মেটাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে যে সংখ্যক জনবল রয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অনুপস্থিত কর্মীদের বিষয়ে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যন্ত্রপাতি মেরামত এবং অচল সরঞ্জাম পুনরায় কার্যকর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
আমরা আশা করি, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের বিষয়টি প্রশাসন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেবে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সংকট দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গেলে সেবার মান বাড়বে।