alt

মতামত » সম্পাদকীয়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

: শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, হাসপাতাল নির্মাণ করছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এসব হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা কতটা কার্যকরভাবে পৌঁছাচ্ছে? কারণ, দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে এখনও জনবল সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার অন্যতম উদাহরণ।

৩১ শয্যার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনবল সংকটে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী যেখানে ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে পাঁচজন ডেপুটেশনে, পাঁচজন সাবসেন্টারে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে মাত্র তিনজন চিকিৎসককে সামলাতে হয় দৈনিক ৪০০ থেকে ৪৫০ রোগী। এদের মধ্যে একজনকে দাপ্তরিক কাজ ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতে হয়, ফলে কার্যত দুজন চিকিৎসকের ওপর চাপ পড়ে।

নার্সের ৩৬টি পদের মধ্যে ২৬ জন কর্মরত, তৃতীয় শ্রেণীর ৯২ পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৬৪ জন, চতুর্থ শ্রেণীর ২৬ পদের বিপরীতে মাত্র ১১ জন কর্মরত। ওয়ার্ডবয়, আয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও কার্যত মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরে অস্ত্রোপচার কক্ষটি অচল, দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি কাজ করছে না এবং তিনটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে দুটি অকেজো। এসব অব্যবস্থাপনার ফলে রোগীরা যেমন কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না, তেমনই চিকিৎসকদের ওপর অমানবিক কাজের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি মেটাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে যে সংখ্যক জনবল রয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অনুপস্থিত কর্মীদের বিষয়ে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যন্ত্রপাতি মেরামত এবং অচল সরঞ্জাম পুনরায় কার্যকর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।

আমরা আশা করি, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের বিষয়টি প্রশাসন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেবে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সংকট দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গেলে সেবার মান বাড়বে।

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি দূর করুন

শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের প্রতিটি নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে, হাসপাতাল নির্মাণ করছে, নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, এসব হাসপাতাল ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সেবা কতটা কার্যকরভাবে পৌঁছাচ্ছে? কারণ, দেশের অনেক সরকারি হাসপাতালে এখনও জনবল সংকট, চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাব এবং প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তার অন্যতম উদাহরণ।

৩১ শয্যার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি জনবল সংকটে কার্যত হিমশিম খাচ্ছে। জনবল কাঠামো অনুযায়ী যেখানে ১৩ জন চিকিৎসক থাকার কথা, সেখানে পাঁচজন ডেপুটেশনে, পাঁচজন সাবসেন্টারে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে মাত্র তিনজন চিকিৎসককে সামলাতে হয় দৈনিক ৪০০ থেকে ৪৫০ রোগী। এদের মধ্যে একজনকে দাপ্তরিক কাজ ও বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিতে হয়, ফলে কার্যত দুজন চিকিৎসকের ওপর চাপ পড়ে।

নার্সের ৩৬টি পদের মধ্যে ২৬ জন কর্মরত, তৃতীয় শ্রেণীর ৯২ পদের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র ৬৪ জন, চতুর্থ শ্রেণীর ২৬ পদের বিপরীতে মাত্র ১১ জন কর্মরত। ওয়ার্ডবয়, আয়া এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর পদ থাকলেও কার্যত মাত্র একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী দিয়ে হাসপাতালটি পরিচালিত হচ্ছে। এর বাইরে অস্ত্রোপচার কক্ষটি অচল, দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি কাজ করছে না এবং তিনটি এক্সরে মেশিনের মধ্যে দুটি অকেজো। এসব অব্যবস্থাপনার ফলে রোগীরা যেমন কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না, তেমনই চিকিৎসকদের ওপর অমানবিক কাজের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।

দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল ঘাটতি মেটাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে যে সংখ্যক জনবল রয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অনুপস্থিত কর্মীদের বিষয়ে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। যন্ত্রপাতি মেরামত এবং অচল সরঞ্জাম পুনরায় কার্যকর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।

আমরা আশা করি, দামুড়হুদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল সংকটের বিষয়টি প্রশাসন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নেবে। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এই সংকট দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন। হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীদের উপস্থিতি ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করা গেলে সেবার মান বাড়বে।

back to top