দেশে সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩০৯টি; এর মধ্যে ৮০টি বিদ্যালয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ওয়াশব্লক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে বরাদ্দ ধরা হয় ১৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
নির্মাণাধীন ওয়াশব্লকের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও অধিকাংশ কাজ পড়ে রয়েছে। ছয় মাস আগে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও এ বিষয়ে কোনো তোয়াক্কা করছে না।
উন্নয়ন কর্মকা-ে সরকারি প্রকল্পগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এসব প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারি প্রকল্পগুলোর অনিয়মের মূলে রয়েছে জবাবদিহিতার অভাব, কাজের প্রতি উদাসীনতা, দৃঢ় নজরদারির ঘাটতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ের অভাব। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই এই দুর্বলতাগুলোর সুযোগ নেয়। বিশেষ করে, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের ব্যবহার, প্রকল্পের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া, এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার না হলে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারায়, যা জনগণের করের টাকায় সংগ্রহ করা হয়। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। মোরেলগঞ্জের শিশুদের জন্য যে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে, তার বিলম্বে তাদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোরেলগঞ্জের প্রকল্পের অনিয়মগুলো তদন্ত করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। জনগণ শুধু উন্নয়ন প্রকল্পের নাম শুনতে চায় না; তারা চায় সেই প্রকল্পের বাস্তব সুফল। এভাবে কাজের মান ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে সরকারি প্রকল্পগুলোর প্রতি জনসাধারণের আস্থা বাড়বে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। সংবাদ-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বাগেরহাট মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৩০৯টি; এর মধ্যে ৮০টি বিদ্যালয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ওয়াশব্লক নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে বরাদ্দ ধরা হয় ১৩ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
নির্মাণাধীন ওয়াশব্লকের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও অধিকাংশ কাজ পড়ে রয়েছে। ছয় মাস আগে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানও এ বিষয়ে কোনো তোয়াক্কা করছে না।
উন্নয়ন কর্মকা-ে সরকারি প্রকল্পগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এসব প্রকল্প দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারি প্রকল্পগুলোর অনিয়মের মূলে রয়েছে জবাবদিহিতার অভাব, কাজের প্রতি উদাসীনতা, দৃঢ় নজরদারির ঘাটতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সমন্বয়ের অভাব। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়শই এই দুর্বলতাগুলোর সুযোগ নেয়। বিশেষ করে, সুষ্ঠু তদারকির অভাবে নির্মাণসামগ্রী নিম্নমানের ব্যবহার, প্রকল্পের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া, এবং বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার না হলে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব হারায়, যা জনগণের করের টাকায় সংগ্রহ করা হয়। সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় জনগণ এর সুফল থেকে বঞ্চিত হয়। মোরেলগঞ্জের শিশুদের জন্য যে স্বাস্থ্যসম্মত ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে, তার বিলম্বে তাদের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মোরেলগঞ্জের প্রকল্পের অনিয়মগুলো তদন্ত করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। জনগণ শুধু উন্নয়ন প্রকল্পের নাম শুনতে চায় না; তারা চায় সেই প্রকল্পের বাস্তব সুফল। এভাবে কাজের মান ও সময়মতো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা গেলে সরকারি প্রকল্পগুলোর প্রতি জনসাধারণের আস্থা বাড়বে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।