বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক স্থানেই ক্রেতা সাধারণ চাইলেও বোতলজাত সয়াবিন পাচ্ছেন না। বাজারে ঘুরেও নির্ধারিত দামে তেল না পেয়ে ক্রেতারা হতাশ। যাওবা কোথাও মিলছে তার জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। নাগরিকদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, বোতলজাত সয়াবানি তেলের দেখা মিলছে না কেন, এর দাম বাড়ার কারণ কী।
ক্রেতারা সরাসরি অভিযোগ করছেন, একটি গোষ্ঠী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি ভিন্ন। তাদের ভাষায়, সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোই বাজারে পর্যাপ্ত তেল ছাড়ছে না। একদিকে কোম্পানিরা সংকট তৈরি করছে, অন্যদিকে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। ফলে খুচরা বিক্রেতারাও বেশি দামে তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরকার সম্প্রতি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়ে এক লিটার তেলের খরচ ১০ থেকে ১১ টাকা হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বাজারে এই উদ্যোগের কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। এর ফলে বোতলজাত তেলের সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে।
তেলের সংকটের সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা বোতলজাত তেলের দামে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এটি একদিকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে বাজারে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের অসাধু চর্চা বন্ধ হচ্ছে না।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে প্রথমেই বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ট্যারিফ কমিশনের গঠিত কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোকে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে বাধ্য করতে হবে। খুচরা বিক্রেতাদের ওপর নজরদারি বাড়িয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা পণ্যের নির্ধারিত দামেই তা বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে, সরকারি টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে তেল সরবরাহ বাড়ানো উচিত।
শীতের সবজির দাম কমে আসা সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতির একটি ইতিবাচক দিক। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছিল সেই হারে কমেছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ তৈরি করে চলেছে। সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট যদি দ্রুত সমাধান করা না যায়, তাহলে তা আরও বড় অর্থনৈতিক চাপের জন্ম দিতে পারে।
রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি হয়েছে। অনেক স্থানেই ক্রেতা সাধারণ চাইলেও বোতলজাত সয়াবিন পাচ্ছেন না। বাজারে ঘুরেও নির্ধারিত দামে তেল না পেয়ে ক্রেতারা হতাশ। যাওবা কোথাও মিলছে তার জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। নাগরিকদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, বোতলজাত সয়াবানি তেলের দেখা মিলছে না কেন, এর দাম বাড়ার কারণ কী।
ক্রেতারা সরাসরি অভিযোগ করছেন, একটি গোষ্ঠী কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে তেলের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটছে। তবে বিক্রেতাদের দাবি ভিন্ন। তাদের ভাষায়, সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোই বাজারে পর্যাপ্ত তেল ছাড়ছে না। একদিকে কোম্পানিরা সংকট তৈরি করছে, অন্যদিকে পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। ফলে খুচরা বিক্রেতারাও বেশি দামে তেল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
সরকার সম্প্রতি ভোজ্যতেল আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়ে এক লিটার তেলের খরচ ১০ থেকে ১১ টাকা হ্রাসের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু বাজারে এই উদ্যোগের কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে লিটারপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। এর ফলে বোতলজাত তেলের সংকট আরও তীব্রতর হয়েছে।
তেলের সংকটের সুযোগে খুচরা বিক্রেতারা বোতলজাত তেলের দামে অতিরিক্ত ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়িয়ে নিচ্ছেন। এটি একদিকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে বাজারে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় এ ধরনের অসাধু চর্চা বন্ধ হচ্ছে না।
উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে প্রথমেই বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। ট্যারিফ কমিশনের গঠিত কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি। ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোকে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয়ে বাধ্য করতে হবে। খুচরা বিক্রেতাদের ওপর নজরদারি বাড়িয়ে নিশ্চিত করতে হবে যে তারা পণ্যের নির্ধারিত দামেই তা বিক্রি করছেন। একই সঙ্গে, সরকারি টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে তেল সরবরাহ বাড়ানো উচিত।
শীতের সবজির দাম কমে আসা সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতির একটি ইতিবাচক দিক। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছিল সেই হারে কমেছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ তৈরি করে চলেছে। সয়াবিন তেলের সরবরাহ সংকট যদি দ্রুত সমাধান করা না যায়, তাহলে তা আরও বড় অর্থনৈতিক চাপের জন্ম দিতে পারে।