বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল আরও একবার এশিয়া কাপ জিতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে তারা শিরোপা ধরে রেখেছে। এই অর্জনের জন্য তাদেরকে জানাই অভিনন্দন। তাদের এই সাফল্যটি জাতির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হলেও, একই সময়ে প্রশ্ন উঠছে কেন মূল জাতীয় ক্রিকেট দল বিশ্ব অঙ্গনে তেমন সফল হতে পারছে না?
বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটের উত্থান কোনো নতুন বিষয় নয়। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয় এবং চলতি বছর সাফল্যের পর থেকে দেশের যুব ক্রিকেটে একটি পরিবর্তন দেখা গেছে। যুবারা যেখানে ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো ক্রিকেট শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, সেখানে জাতীয় দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই মানদ-ে পৌঁছাতে পারছে না। গত কয়েক বছর ধরে, বাংলাদেশের জাতীয় দল একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভালো সুযোগ পেয়েও শিরোপা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
যুবদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে দুর্দান্ত ফোকাস এবং পরিশ্রমের মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে আসছে। বিশেষ করে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ১৩৯ রানে অলআউট করে দেয়ার পর, এটা পরিষ্কার যে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং আক্রমণ কতটা শক্তিশালী ছিল। ইকবাল হোসেন ইমন, আল ফাহাদ, মারুফ মৃধা এবং আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিল্ডিং এবং বোলিংয়ে যে আগ্রাসন দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমনকি ফাইনালে, যখন ব্যাটিংয়ে বেশ বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি, তখন বোলিং-ফিল্ডিং ইউনিট তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করেছে, এবং এটি তাদের জয় অর্জনের মূল কারণ।
জাতীয় দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের অস্বাভাবিক ওঠানামা দেখা যায়। শীর্ষ স্তরের ক্রিকেটে বাংলাদেশের জাতীয় দল অনেক প্রতিযোগিতায় ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত বড় ম্যাচগুলোতে কৃতিত্ব অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, দলের সেরা খেলোয়াড়রা চাপের মুখে গিয়ে তাদের সেরাটা দিতে পারেন না, আর তারই ফলস্বরূপ বড় টুর্নামেন্টগুলোতে তারা শিরোপা জিততে পারেনি। তাছাড়া অনেক সময় দলের মধ্যে অভিজ্ঞতার অভাবও প্রতিযোগিতার পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলেছে।
যুবদলের সাফল্য থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাদের মধ্যে যে মানসিকতা, শৃঙ্খলা এবং আত্মবিশ্বাস রয়েছে, তা জাতীয় দলের জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। যুব ক্রিকেট থেকে শেখা পাঠগুলো প্রয়োগ করা হলে, আশা করা যায় যে জাতীয় দলও একদিন বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান শক্ত করবে।
মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল আরও একবার এশিয়া কাপ জিতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করেছে। ভারতকে ফাইনালে হারিয়ে তারা শিরোপা ধরে রেখেছে। এই অর্জনের জন্য তাদেরকে জানাই অভিনন্দন। তাদের এই সাফল্যটি জাতির জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত হলেও, একই সময়ে প্রশ্ন উঠছে কেন মূল জাতীয় ক্রিকেট দল বিশ্ব অঙ্গনে তেমন সফল হতে পারছে না?
বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটের উত্থান কোনো নতুন বিষয় নয়। ২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপ জয় এবং চলতি বছর সাফল্যের পর থেকে দেশের যুব ক্রিকেটে একটি পরিবর্তন দেখা গেছে। যুবারা যেখানে ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মতো ক্রিকেট শক্তিশালীদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে, সেখানে জাতীয় দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সেই মানদ-ে পৌঁছাতে পারছে না। গত কয়েক বছর ধরে, বাংলাদেশের জাতীয় দল একাধিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ভালো সুযোগ পেয়েও শিরোপা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
যুবদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে দুর্দান্ত ফোকাস এবং পরিশ্রমের মানসিকতা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে ব্যাটিং এবং বোলিংয়ে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়ে আসছে। বিশেষ করে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে ১৩৯ রানে অলআউট করে দেয়ার পর, এটা পরিষ্কার যে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং আক্রমণ কতটা শক্তিশালী ছিল। ইকবাল হোসেন ইমন, আল ফাহাদ, মারুফ মৃধা এবং আজিজুল হাকিমের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফিল্ডিং এবং বোলিংয়ে যে আগ্রাসন দেখিয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। এমনকি ফাইনালে, যখন ব্যাটিংয়ে বেশ বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি, তখন বোলিং-ফিল্ডিং ইউনিট তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করেছে, এবং এটি তাদের জয় অর্জনের মূল কারণ।
জাতীয় দলের প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের অস্বাভাবিক ওঠানামা দেখা যায়। শীর্ষ স্তরের ক্রিকেটে বাংলাদেশের জাতীয় দল অনেক প্রতিযোগিতায় ভালো শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত বড় ম্যাচগুলোতে কৃতিত্ব অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে, দলের সেরা খেলোয়াড়রা চাপের মুখে গিয়ে তাদের সেরাটা দিতে পারেন না, আর তারই ফলস্বরূপ বড় টুর্নামেন্টগুলোতে তারা শিরোপা জিততে পারেনি। তাছাড়া অনেক সময় দলের মধ্যে অভিজ্ঞতার অভাবও প্রতিযোগিতার পরিস্থিতিতে প্রভাব ফেলেছে।
যুবদলের সাফল্য থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাদের মধ্যে যে মানসিকতা, শৃঙ্খলা এবং আত্মবিশ্বাস রয়েছে, তা জাতীয় দলের জন্যও অনুকরণীয় হতে পারে। যুব ক্রিকেট থেকে শেখা পাঠগুলো প্রয়োগ করা হলে, আশা করা যায় যে জাতীয় দলও একদিন বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান শক্ত করবে।