alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

: মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সংরক্ষিত বনভূমি দখলের ঘটনা সারাদেশেই কমবেশি ঘটছে। কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর-বাড়ি, খামার, হাট-বাজার ও পাকা মার্কেট। সেখানে ৩৯ শতাংশের অধিক বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামুতে সরকারি বনভূমি দখল করে পশুর হাট বসিয়েছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগে রক্ষিত ও সংরক্ষিত মিলে মোট বনভূমি রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৬.৭৭৩৯ একর। যেখানে সংরক্ষিত বন ১ লাখ ৯৫০.৮৪৪ এবং রক্ষিত জমি ২৪ হাজার ২২৯.৩২ একর। মোট জমি থেকে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৭.৮৪ একর। আর ৪৭,৯১৪ জন দখলদার দখলে নিয়েছে ২৫ হাজার ০০৭.৬৯ একর। এ হিসেবে বনবিভাগের মোট ৪৯ হাজার ৩৫৯.৫৩ একর জমিই ধ্বংস হয়েছে। বনভূমি রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সংরক্ষিত বন সংরক্ষণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা করে দায় সারছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আমরা বলতে চাই, সংরক্ষিত বন ধ্বংসের অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সেখানে অবৈধভাবে হাট স্থাপনকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বনভূমি উদ্ধারে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যক্তি বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে বনের জমি বরাদ্দ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সরকারকেই জরুরি ভিত্তিতে এসব পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা, সরকারের দায়িত্ব বনভূমি রক্ষা করা। বনকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সেই বন যাতে আবার দখন না হয়ে যায় নিয়োমিত দেখাশোনা ও নজরদারি বাড়াতে হবে এতে করে সংরক্ষিত বনভূমি ধ্বংশের হাত হতে রক্ষা পাবে।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে কেন পশুর হাট

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪

সংরক্ষিত বনভূমি দখলের ঘটনা সারাদেশেই কমবেশি ঘটছে। কক্সবাজারের সংরক্ষিত বনে গড়ে তোলা হচ্ছে ঘর-বাড়ি, খামার, হাট-বাজার ও পাকা মার্কেট। সেখানে ৩৯ শতাংশের অধিক বনভূমি ধ্বংস হয়েছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়া, ঈদগাঁও, রামুতে সরকারি বনভূমি দখল করে পশুর হাট বসিয়েছে স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট।

বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগে রক্ষিত ও সংরক্ষিত মিলে মোট বনভূমি রয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৫৬.৭৭৩৯ একর। যেখানে সংরক্ষিত বন ১ লাখ ৯৫০.৮৪৪ এবং রক্ষিত জমি ২৪ হাজার ২২৯.৩২ একর। মোট জমি থেকে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৭.৮৪ একর। আর ৪৭,৯১৪ জন দখলদার দখলে নিয়েছে ২৫ হাজার ০০৭.৬৯ একর। এ হিসেবে বনবিভাগের মোট ৪৯ হাজার ৩৫৯.৫৩ একর জমিই ধ্বংস হয়েছে। বনভূমি রক্ষায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। সংরক্ষিত বন সংরক্ষণের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলা করে দায় সারছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

আমরা বলতে চাই, সংরক্ষিত বন ধ্বংসের অভিযোগ আমলে নিতে হবে। সেখানে অবৈধভাবে হাট স্থাপনকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বনভূমি উদ্ধারে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যক্তি বা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে বনের জমি বরাদ্দ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

সরকারকেই জরুরি ভিত্তিতে এসব পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা, সরকারের দায়িত্ব বনভূমি রক্ষা করা। বনকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে হবে এবং সেই বন যাতে আবার দখন না হয়ে যায় নিয়োমিত দেখাশোনা ও নজরদারি বাড়াতে হবে এতে করে সংরক্ষিত বনভূমি ধ্বংশের হাত হতে রক্ষা পাবে।

back to top