alt

মতামত » সম্পাদকীয়

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

: বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফল দেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কোভিড মহামারীর প্রভাবের কারণে শিশুদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার প্রতি অনীহা বাড়ছে। উল্লিখিত কারণে প্রায় ৩৭ শতাংশ শিশু স্কুলে যেতে আগ্রহী নয় এবং ৫৫ শতাংশ শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি শিক্ষার মান ও শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অস্থিরতা ও সহিংস পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। জরিপে দেখা গেছে যে, শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন, বিষণœতা এবং খিটখিটে মেজাজের মতো লক্ষণগুলো বেড়েছে। ৩৬ শতাংশ শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়েছে, যা তাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহের অভাবকেই প্রকাশ করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে সমাজে শিশুদের নিরাপত্তা সংকটাপন্ন, সেখানে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। আর এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে, যা শুধু শিক্ষা নয়, পুরো সমাজের ভবিষ্যৎকেও বিপদগ্রস্ত করে তুলবে। শিক্ষা শুধু বইপড়া বা পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন নয়, এটি একটি সামগ্রিক বিকাশের প্রক্রিয়া, যেখানে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতা একসঙ্গে কাজ করে। যখন কোনো শিশুর মধ্যে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, তখন তার জন্য শিক্ষা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা, তাদের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক কমানোর জন্য কার্যকরী কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে সঠিক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যেখানে শুধু স্কুলের পাঠ্যক্রম নয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্কুলে খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের সুযোগ বাড়ানো দরকার। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। খেলার মাঠ ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক চাপ কমানো সম্ভব।

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হলে তাদের শারীরিক ও শিক্ষাগত ফলাফলও ভালো হবে।

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য : শিক্ষার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন চ্যালেঞ্জ

বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফল দেশের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তার সৃষ্টি করেছে। বেসরকারি সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান ও ব্র্যাক শিক্ষা উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই জরিপ থেকে জানা যাচ্ছে, বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং কোভিড মহামারীর প্রভাবের কারণে শিশুদের মধ্যে স্কুলে যাওয়ার প্রতি অনীহা বাড়ছে। উল্লিখিত কারণে প্রায় ৩৭ শতাংশ শিশু স্কুলে যেতে আগ্রহী নয় এবং ৫৫ শতাংশ শিশু আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি শিক্ষার মান ও শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অস্থিরতা ও সহিংস পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু মানসিক অবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। জরিপে দেখা গেছে যে, শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, দুঃস্বপ্ন, বিষণœতা এবং খিটখিটে মেজাজের মতো লক্ষণগুলো বেড়েছে। ৩৬ শতাংশ শিশু অমনোযোগী হয়ে পড়েছে, যা তাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহের অভাবকেই প্রকাশ করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যে সমাজে শিশুদের নিরাপত্তা সংকটাপন্ন, সেখানে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের স্বাভাবিক উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। আর এই প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে, যা শুধু শিক্ষা নয়, পুরো সমাজের ভবিষ্যৎকেও বিপদগ্রস্ত করে তুলবে। শিক্ষা শুধু বইপড়া বা পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন নয়, এটি একটি সামগ্রিক বিকাশের প্রক্রিয়া, যেখানে শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতা একসঙ্গে কাজ করে। যখন কোনো শিশুর মধ্যে মানসিক চাপ বেড়ে যায়, তখন তার জন্য শিক্ষা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।

শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা, তাদের মধ্যে ভয় এবং আতঙ্ক কমানোর জন্য কার্যকরী কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় সরকারি ও বেসরকারি খাতের পক্ষ থেকে সঠিক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করতে হবে। শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, যেখানে শুধু স্কুলের পাঠ্যক্রম নয়, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্কুলে খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক কার্যক্রমের সুযোগ বাড়ানো দরকার। এতে তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। খেলার মাঠ ও সৃজনশীল কার্যক্রমের মাধ্যমে শিশুদের মানসিক চাপ কমানো সম্ভব।

শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে আমাদের জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হলে তাদের শারীরিক ও শিক্ষাগত ফলাফলও ভালো হবে।

back to top