রাজধানীর সোনারগাঁও মোড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পান্থকুঞ্জ পার্কেটি আধুনিকায়ন করে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০১৮ সালে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরিকল্পনা ছিল এক বছরে অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে পার্কটি। এ নিয়ে একটি জাতীয় গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যে পার্কের সৌন্দর্য বাড়ানোর কথা ছিল সেটি এখন হয়ে পড়েছে শ্রীহীন। পার্কের ভেতরে হাঁটার মতো কোন পরিবেশ নেই। কোথাও কোথাও গর্ত করে রাখা হয়েছে, গর্তে পানি জমেছে। সেখানে পোকামাকড় গিজগিজ করছে। তিন বছর পরিত্যক্ত থাকায় আগাছা জন্মেছে, জঙ্গলের মতো হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
ক্লান্ত দুপুরে পথচারীরা বিশ্রাম নিতেন, সকালে প্রবীণেরা ব্যায়াম করতেন এ পার্কে। বিকালে অনেকে প্রকৃতির সবুজের সান্নিধ্যে সময় কাটাতেন। এসব এখন সুদূর অতীত! এ পার্ককে কেন্দ্র করে এখন চলছে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীরা এটিকে নিরাপদ আখড়া হিসেবে ব্যবহার করছে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাস পর্যন্ত পার্কটির ১৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাস্তবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি ছাড়া দৃশ্যমান কোন কাজই চোখে পড়ে না। কারণ কাজ শুরুর কয়েক দিন পর ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, পার্কের এক পাশে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক প্রকল্পের কয়েকটি খুঁটি বসতে পারে। তাই বন্ধ করে দেয়া হয় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।
পার্কের ভেতর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কবে শুরু হবে সেটা জানা নেই। ততদিন কী নগরবাসী দৈনন্দিন পার্ক ব্যবহারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেবে, পার্কটি বিভিন্ন অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার হবে- সেটা একটা প্রশ্ন।
রাজধানীতে শুধু এই একটি পার্কই নয়, শিশু পার্কসহ আরও কয়েকটি পার্ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। নানা উন্নয়নের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এসব পার্ক জনসাধারণের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন যেমন করতে হবে তেমনি নগরের পার্কগুলো রক্ষাও করতে হবে। ইট-কংক্রিটের শহরে দখল-দূষণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠলে তারা যেন পার্কে গিয়ে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে।
পান্থকুঞ্জ পার্ককে অপরাধের আখড়া হিসেবে ফেলে না রেখে শিগগিরই জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করা হোক। উন্নয়ন কর্মকান্ড চলুক কিন্তু তার কুঠারাঘাত যেন নগরের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর না পড়ে সেটাও দেখতে হবে।
শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীর সোনারগাঁও মোড়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পান্থকুঞ্জ পার্কেটি আধুনিকায়ন করে সৌন্দর্যবর্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০১৮ সালে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বরাদ্দ ছিল প্রায় ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরিকল্পনা ছিল এক বছরে অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটিয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হবে পার্কটি। এ নিয়ে একটি জাতীয় গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
যে পার্কের সৌন্দর্য বাড়ানোর কথা ছিল সেটি এখন হয়ে পড়েছে শ্রীহীন। পার্কের ভেতরে হাঁটার মতো কোন পরিবেশ নেই। কোথাও কোথাও গর্ত করে রাখা হয়েছে, গর্তে পানি জমেছে। সেখানে পোকামাকড় গিজগিজ করছে। তিন বছর পরিত্যক্ত থাকায় আগাছা জন্মেছে, জঙ্গলের মতো হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও নির্মাণসামগ্রী স্তূপ করে রাখা হয়েছে।
ক্লান্ত দুপুরে পথচারীরা বিশ্রাম নিতেন, সকালে প্রবীণেরা ব্যায়াম করতেন এ পার্কে। বিকালে অনেকে প্রকৃতির সবুজের সান্নিধ্যে সময় কাটাতেন। এসব এখন সুদূর অতীত! এ পার্ককে কেন্দ্র করে এখন চলছে নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড। ছিনতাইকারী ও মাদকসেবীরা এটিকে নিরাপদ আখড়া হিসেবে ব্যবহার করছে।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাস পর্যন্ত পার্কটির ১৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাস্তবে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি ছাড়া দৃশ্যমান কোন কাজই চোখে পড়ে না। কারণ কাজ শুরুর কয়েক দিন পর ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, পার্কের এক পাশে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়ক প্রকল্পের কয়েকটি খুঁটি বসতে পারে। তাই বন্ধ করে দেয়া হয় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।
পার্কের ভেতর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কবে শুরু হবে সেটা জানা নেই। ততদিন কী নগরবাসী দৈনন্দিন পার্ক ব্যবহারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকেবে, পার্কটি বিভিন্ন অপরাধীদের অভয়ারণ্য হিসেবে ব্যবহার হবে- সেটা একটা প্রশ্ন।
রাজধানীতে শুধু এই একটি পার্কই নয়, শিশু পার্কসহ আরও কয়েকটি পার্ক ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। নানা উন্নয়নের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এসব পার্ক জনসাধারণের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উন্নয়ন যেমন করতে হবে তেমনি নগরের পার্কগুলো রক্ষাও করতে হবে। ইট-কংক্রিটের শহরে দখল-দূষণে মানুষের নাভিশ্বাস উঠলে তারা যেন পার্কে গিয়ে মুক্ত বাতাসে বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারে সেই ব্যবস্থা থাকতে হবে।
পান্থকুঞ্জ পার্ককে অপরাধের আখড়া হিসেবে ফেলে না রেখে শিগগিরই জনসাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করা হোক। উন্নয়ন কর্মকান্ড চলুক কিন্তু তার কুঠারাঘাত যেন নগরের প্রাণ-প্রকৃতির ওপর না পড়ে সেটাও দেখতে হবে।