ঝালকাঠির নলসিটিতে বাবুই পাখির বাসায় আগুন দিয়ে ৫০ ছানা হত্যার পর এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দুই শতাধিক বাবুই পাখির ছানা (বাচ্চা) মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় শতাধিক বাবুই পাখির বাসাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষেতের ধান বাঁচাতে এক কৃষক এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ধান ‘রক্ষা’র নামে যেভাবে বাবুই পাখির ছানা মেরে ফেলা হয়েছে, তা সভ্য সমাজে মেনে নেয়া কঠিন। এ আচরণ অমানবিক, অচিন্তনীয়। কৃষক তার ক্ষেতের ফসল রক্ষা করতে চাইবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর জন্য তিনি যে পথ বেছে নিয়েছেন সেটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কার্যত পাখি যতটা ধান খায়, তার চেয়ে ক্ষেতের পোকামাকড় খেয়ে জমির ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমরা দেখেছি, বরং ক্ষতিকারক পোকা নিধন ও পরিবেশবান্ধব বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জমিতে ‘পাখি বসার খুঁটি’ বা ‘পার্চিং’-এর বিষয়ে জোর দিচ্ছে। কাজেই পাখির কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় অভিযোগ কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
আমরা মনে করি, বাবুই পাখি মেরে ফেলার প্রথম ঘটনায় অভিযুক্তকে স্থানীয় ইউএনও ক্ষমা করেছিলেন বলেই পিরোজপুরে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী নিধন আইনে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত। এর মাধ্যমে অন্যরাও সতর্ক হতো।
পশু-পাখি প্রতিবেশ ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনকি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এদের বিকল্পও নেই। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন ও বন উজাড়ের ফলে অনেক প্রাণী যেমন তাদের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারছে না, তেমনি আবাসহীন হয়ে পড়ছে। প্রকৃতিতে পশুপাখির বাস্তুসংস্থানের ব্যবস্থা যেন নির্বিঘ্ন থাকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে। পশু-পাখি হত্যা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
ঝালকাঠির নলসিটিতে বাবুই পাখির বাসায় আগুন দিয়ে ৫০ ছানা হত্যার পর এবার পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দুই শতাধিক বাবুই পাখির ছানা (বাচ্চা) মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় শতাধিক বাবুই পাখির বাসাও ভেঙে ফেলা হয়েছে। গত শনিবার উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ক্ষেতের ধান বাঁচাতে এক কৃষক এমন নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
ধান ‘রক্ষা’র নামে যেভাবে বাবুই পাখির ছানা মেরে ফেলা হয়েছে, তা সভ্য সমাজে মেনে নেয়া কঠিন। এ আচরণ অমানবিক, অচিন্তনীয়। কৃষক তার ক্ষেতের ফসল রক্ষা করতে চাইবে সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর জন্য তিনি যে পথ বেছে নিয়েছেন সেটা কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
কার্যত পাখি যতটা ধান খায়, তার চেয়ে ক্ষেতের পোকামাকড় খেয়ে জমির ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমরা দেখেছি, বরং ক্ষতিকারক পোকা নিধন ও পরিবেশবান্ধব বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জমিতে ‘পাখি বসার খুঁটি’ বা ‘পার্চিং’-এর বিষয়ে জোর দিচ্ছে। কাজেই পাখির কারণে ফসলের ক্ষতি হওয়ায় অভিযোগ কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।
আমরা মনে করি, বাবুই পাখি মেরে ফেলার প্রথম ঘটনায় অভিযুক্তকে স্থানীয় ইউএনও ক্ষমা করেছিলেন বলেই পিরোজপুরে দ্বিতীয় ঘটনা ঘটার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে। এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী নিধন আইনে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেত। এর মাধ্যমে অন্যরাও সতর্ক হতো।
পশু-পাখি প্রতিবেশ ব্যবস্থার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমনকি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এদের বিকল্পও নেই। নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন ও বন উজাড়ের ফলে অনেক প্রাণী যেমন তাদের খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারছে না, তেমনি আবাসহীন হয়ে পড়ছে। প্রকৃতিতে পশুপাখির বাস্তুসংস্থানের ব্যবস্থা যেন নির্বিঘ্ন থাকে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে। পশু-পাখি হত্যা বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।