সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টের আগুন নেভানো যায়নি ২৪ ঘণ্টাতেও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই আগুন বিচ্ছিন্নভাবে বনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ির দুই একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ির অন্তর্গত বনে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখতে পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ ও স্থানীয় মানুষ।
এবারের আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে গত প্রায় দুই দশকে ২৩ বার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনে। বারবার আগুন লাগার ঘটনা সার্বিকভাবে সুন্দরবনের অরক্ষিত দশার দিকেই ইঙ্গিত করছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। দফায় দফায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বনের ঐ অংশের জীবজন্তু, পশুপাখি অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই আগুন যদি কোনভাবে দাবানলে রূপ নেয়, তাহলে তা দেশের জন্য বড় ধরনের দুর্যোগ বয়ে আনবে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া ও মধুসহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে সুন্দরবনে।
কারণ জানার পরও কেন সমস্যার সমাধান হয়নি সেটা একটা প্রশ্ন। বনকে সুরক্ষা দিতে বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বনসংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটিগুলো। দুঃখজনক হলো, সুপারিশগুলো আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও প্রাণবৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য জৈব সম্পদ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এটা দক্ষিণাঞ্চলের পরীক্ষিত রক্ষাকবচ। যেভাবেই হোক একে রক্ষা করতে হবে। শুধু দূষণমুক্ত জীবনের স্বার্থেই নয়, বনভূমিকে পশু ও প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে এর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনাগুলোতে তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ দিয়েছে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার। আমরা আশা করব, বন বিভাগ সুন্দরবনের আগুনকে শুধুই ‘নাশকতা’ কিংবা ‘উদাসীনতা’ আখ্যা দিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকবে না। আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতারও পরিচয় দেবে। এবং যাদের কারণে বনে বারবার আগুন লাগছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মঙ্গলবার, ০৪ মে ২০২১
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ২৪ নম্বর কম্পার্টমেন্টের আগুন নেভানো যায়নি ২৪ ঘণ্টাতেও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এই আগুন বিচ্ছিন্নভাবে বনের শরণখোলা রেঞ্জের দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ির দুই একর এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে দাসের ভারানী টহল ফাঁড়ির অন্তর্গত বনে ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখতে পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে বন বিভাগ ও স্থানীয় মানুষ।
এবারের আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে গত প্রায় দুই দশকে ২৩ বার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবনে। বারবার আগুন লাগার ঘটনা সার্বিকভাবে সুন্দরবনের অরক্ষিত দশার দিকেই ইঙ্গিত করছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি। দফায় দফায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বনের ঐ অংশের জীবজন্তু, পশুপাখি অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। এই আগুন যদি কোনভাবে দাবানলে রূপ নেয়, তাহলে তা দেশের জন্য বড় ধরনের দুর্যোগ বয়ে আনবে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন সময়ে বন বিভাগের গঠিত তদন্ত দল নাশকতা, অসচেতনতা, অবহেলায় ফেলে দেয়া বিড়ি বা সিগারেটের আগুনকে দায়ী করেছে। অভিযোগ রয়েছে, বনরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু মানুষ গভীর জঙ্গলে ঢুকে মাছ, কাঁকড়া ও মধুসহ নানা সম্পদ সংগ্রহ করে। তাদের অসচেতনতার কারণে এমন দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে সুন্দরবনে।
কারণ জানার পরও কেন সমস্যার সমাধান হয়নি সেটা একটা প্রশ্ন। বনকে সুরক্ষা দিতে বন ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বনসংলগ্ন মরে যাওয়া নদ-নদী খনন এবং সীমান্ত এলাকায় বেড়া ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটিগুলো। দুঃখজনক হলো, সুপারিশগুলো আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ও প্রাণবৈচিত্র্য বাংলাদেশের অমূল্য জৈব সম্পদ। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে এটা দক্ষিণাঞ্চলের পরীক্ষিত রক্ষাকবচ। যেভাবেই হোক একে রক্ষা করতে হবে। শুধু দূষণমুক্ত জীবনের স্বার্থেই নয়, বনভূমিকে পশু ও প্রাণীদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনে এর সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনাগুলোতে তদন্ত কমিটি যে সুপারিশ দিয়েছে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা দরকার। আমরা আশা করব, বন বিভাগ সুন্দরবনের আগুনকে শুধুই ‘নাশকতা’ কিংবা ‘উদাসীনতা’ আখ্যা দিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকবে না। আগুনের পুনরাবৃত্তি রোধে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতারও পরিচয় দেবে। এবং যাদের কারণে বনে বারবার আগুন লাগছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।