alt

সম্পাদকীয়

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

: রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের রামুতে বাঁকখালী নদীর আশপাশের উর্বর জমিতে একসময় বাদাম, ভুট্টা, সরিষা, শাকসবজি ও বোরো ধানের ফলন হতো। সেখানে কৃষকরা এখন তামাক চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য জানিয়েছে, চলতি বছর সেখানে ১৪০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।

রামুর কৃষকরা বাঁকখালী নদীর পানি দিয়ে তাদের ফসলে সেচ কার্যক্রম চালান। এ নদীর পানির ওপরই তাদের ফলন নির্ভর করে। কিন্তু কৃষকরা নদীর তীরে তামাক চাষ শুরু করেছেন। তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিমাত্রায় সার ও কীটনাশক। তামাক চাষে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক ও তামাকের রাসায়নিক উপাদান নদী ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যও পড়ছে হুমকিতে।

নদী তীরে তামাক চাষের কারণে মাছের ডিম ছাড়ার স্থানে কীটনাশক এসে মিশছে। এ কারণে মাছের বংশ বিস্তারে অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। তামাকে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক এর নিকোটিনের মতো ক্ষতিকর প্রভাবে জমির উর্বরতা ধ্বংস হচ্ছে। যে জমিতে তামাক চাষ করা হয় সেখানে আর অন্য ফসল হয় না। তামাক রোপণ, পাতা কাটা এবং শুকানোর কাজ পর্যন্ত বিষাক্ত উপাদান ছড়ায়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক চাষে নিয়োজিত শিশু ও নারী শ্রমিকরা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাকের ক্ষতিকর নিকোটিনে ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগেও তারা আক্রান্ত হতে পারে।

তামাক চাষ আগের চেয়ে কমে এসেছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দাবি করছে। তারা বলছে, শাক-সবজি ও ফসলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা তামাক চাষ ছেড়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তামাক চাষের ক্ষতিকর দিগুলো তুলে ধরে চাষিদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়ে। তামাক চাষ থেকে সরে আসতে তাদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে তামাক চাষ অনেকাংশে কমে আসবে। তবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষকদের অন্য ফসল ফলনে বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও করতে হবে।

শুধু রামু উপজেলায় কৃষকরা তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন তা না। দেশের আরও অনেক এলাকায় কৃষকরা তামাক চাষেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তামাক চাষিরা বলেছেন, অন্য ফসল চাষের চেয়ে তামাক চাষে আর্থিক লাভ বেশি। তাই স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি জেনেও তারা এ চাষ ছাড়তে চান না। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তাদের ঋণও দেয়।

তামাক কোম্পানিগুলো ঋণ, সার, কীটনাশকসহ নানা সুবিধা দেয় বলে কৃষকরা তামাক চাষ করছেন বলে কৃষকরা দাবি করেছেন। কথা হচ্ছে, তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের এত সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে সরকার কেন সেটা পারে না। ফসল উৎপাদনে কৃষকদের বেশি বেশি প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর কৃষকরা যাতে তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পায় সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

tab

সম্পাদকীয়

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রোববার, ০৭ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের রামুতে বাঁকখালী নদীর আশপাশের উর্বর জমিতে একসময় বাদাম, ভুট্টা, সরিষা, শাকসবজি ও বোরো ধানের ফলন হতো। সেখানে কৃষকরা এখন তামাক চাষ করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য জানিয়েছে, চলতি বছর সেখানে ১৪০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে।

রামুর কৃষকরা বাঁকখালী নদীর পানি দিয়ে তাদের ফসলে সেচ কার্যক্রম চালান। এ নদীর পানির ওপরই তাদের ফলন নির্ভর করে। কিন্তু কৃষকরা নদীর তীরে তামাক চাষ শুরু করেছেন। তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিমাত্রায় সার ও কীটনাশক। তামাক চাষে ব্যবহৃত সার, কীটনাশক ও তামাকের রাসায়নিক উপাদান নদী ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পানি দূষিত হচ্ছে। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যও পড়ছে হুমকিতে।

নদী তীরে তামাক চাষের কারণে মাছের ডিম ছাড়ার স্থানে কীটনাশক এসে মিশছে। এ কারণে মাছের বংশ বিস্তারে অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। তামাকে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক এর নিকোটিনের মতো ক্ষতিকর প্রভাবে জমির উর্বরতা ধ্বংস হচ্ছে। যে জমিতে তামাক চাষ করা হয় সেখানে আর অন্য ফসল হয় না। তামাক রোপণ, পাতা কাটা এবং শুকানোর কাজ পর্যন্ত বিষাক্ত উপাদান ছড়ায়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানিয়েছেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক চাষে নিয়োজিত শিশু ও নারী শ্রমিকরা শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তামাকের ক্ষতিকর নিকোটিনে ক্যান্সারের মতো মরণঘাতী রোগেও তারা আক্রান্ত হতে পারে।

তামাক চাষ আগের চেয়ে কমে এসেছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর দাবি করছে। তারা বলছে, শাক-সবজি ও ফসলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিরা তামাক চাষ ছেড়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তামাক চাষের ক্ষতিকর দিগুলো তুলে ধরে চাষিদের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়ে। তামাক চাষ থেকে সরে আসতে তাদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে তামাক চাষ অনেকাংশে কমে আসবে। তবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে কৃষকদের অন্য ফসল ফলনে বেশি বেশি সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থাও করতে হবে।

শুধু রামু উপজেলায় কৃষকরা তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন তা না। দেশের আরও অনেক এলাকায় কৃষকরা তামাক চাষেই বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তামাক চাষিরা বলেছেন, অন্য ফসল চাষের চেয়ে তামাক চাষে আর্থিক লাভ বেশি। তাই স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকি জেনেও তারা এ চাষ ছাড়তে চান না। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো তাদের ঋণও দেয়।

তামাক কোম্পানিগুলো ঋণ, সার, কীটনাশকসহ নানা সুবিধা দেয় বলে কৃষকরা তামাক চাষ করছেন বলে কৃষকরা দাবি করেছেন। কথা হচ্ছে, তামাক কোম্পানিগুলো কৃষকদের এত সুযোগ-সুবিধা দিতে পারলে সরকার কেন সেটা পারে না। ফসল উৎপাদনে কৃষকদের বেশি বেশি প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আর কৃষকরা যাতে তাদের ফসলের ন্যায্য দাম পায় সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

back to top